নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ১ টি
الصلاة في النعال والأمر بها জুতা পরে ছলাত ও তার আদেশ

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনও খালি পায়ে দাঁড়াতেন। আবার কখনও জুতা পরে দাঁড়াতেন।[1] আর উম্মতের জন্য এটা বৈধ রেখেছেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ছলাত পড়বে তখন সে যেন স্বীয় জুতা জোড়া পরে নেয়, অথবা খুলে নিয়ে স্বীয় পদদ্বয়ের মধ্যভাগে রেখে দেয়, সে দুটির দ্বারা যেন অপরকে কষ্ট না দেয়।[2]

কখনও জুতা পরে ছলাত আদায়ের উপর জোর (তাগিদ) দিয়ে বলেছেনঃ

خالفوا اليهود فإنهم لا يصلون في نعالهم ولا خفافهم

তোমরা ইয়াহুদদের বিরোধিতা কর কেননা তারা জুতা এবং মোজা পরে ছলাত পড়ে না।[3]

কখনও ছলাতাবস্থাতেই স্বীয় পদযুগল থেকে জুতা জোড়া খুলে ছলাত চালিয়ে যেতেন।

যেমন আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ

আমাদেরকে নিয়ে একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছলাত পড়েছিলেন, ছলাতের এক পর্যায়ে তিনি স্বীয় জুতা জোড়া খুলে তার বাম পার্শ্বে রেখে দিলেন। এ দেখে লোকজনও তাদের জুতা খুলে ফেলল, তিনি ছলাত সম্পন্ন করে বললেনঃ তোমাদের কী হল যে, তোমরা জুতা খুলে রেখে দিলে? তারা বললঃ আমরা আপনাকে জুতাদ্বয় খুলে রাখতে দেখেছি তাই আমরাও আমাদের জুতাগুলো খুলে ফেলেছি।

তিনি বললেনঃ জিবরীল এসে আমাকে বললেন, জুতায় ময়লা (অথবা বললেনঃ কষ্টদায়ক বস্তু) (অপর বর্ণনায় অপবিত্র বস্তু) রয়েছে। তাই আমি জুতাদ্বয় খুলে ফেলেছি। অতএব তোমাদের কেউ যখন মসজিদে আসবে তখন সে যেন স্বীয় জুতাদ্বয়ের প্রতি লক্ষ করে, তাতে যদি ময়লা (অথবা বললেনঃ কষ্টদায়ক বস্তু) (অপর বর্ণনায় অপবিত্র বস্তু) দেখে তবে যেন জুতাদ্বয়কে মুছে নেয় এবং তা পরিধান করে ছলাত পড়ে।[4]

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন জুতাদ্বয় খুলতেন তখন তাঁর বাম পার্শ্বে রাখতেন।[5] তিনি বলতেনঃ তোমাদের কেউ যখন ছলাত পড়বে তখন স্বীয় জুতাদ্বয় যেন তার ডান পার্শ্বে না রাখে। আর অন্যের ডানে হলে বাম পার্শ্বেও না রাখে তবে বাম পার্শ্বে কেউ না থাকলে সে পাশ্বেই রাখবে। অন্যথায় জুতাদ্বয় স্বীয় পদদ্বয়ের মধ্যস্থানে রাখবে।[6]

[1] আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ। হাদীছটি মুতাওয়াতির যেমন ইমাম ত্বাহাবী উল্লেখ করেছেন।

[2] আবু দাউদ, বাযযার (স্বীয় যাওয়াইদে ৫৩) হাকিম একে ছহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

[3] আবু দাউদ, বাযযার (স্বীয় যাওয়াইদে ৫৩) হাকিম একে ছহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

[4] আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ, হাকিম; তিনি একে ছহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী ও নববী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। প্রথম হাদীছটি “আল ইরওয়া”-তে উদ্ধৃত হয়েছে (২৮৪ নং হাদীছ)।

[5] আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু খুযাইমা (১/১১০/২) ছহীহ সনদে।

[6] আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ, হাকিম; তিনি একে ছহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী ও নববী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। প্রথম হাদীছটি “আল ইরওয়া”-তে উদ্ধৃত হয়েছে (২৮৪ নং হাদীছ)।