নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ১ টি

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরয ও নফল ছালাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন আল্লাহ তা'আলার এই বাণীর অনুসরণেঃ

وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ

অর্থঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয় ভরে দাঁড়াও।[1]

তবে সফরে নফল ছলাত তিনি বাহনের উপর পড়তেন এবং স্বীয় উম্মতের জন্য প্রচণ্ড ভীতির সময় পায়ে হাঁটা অথবা আরোহী অবস্থায় ছলাত পড়ার রীতি রেখে যান। যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখ হয়েছে। আর তা হচ্ছে আল্লাহর এ বাণী অবলম্বনেঃ

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ٭ فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ

অর্থঃ তোমরা ছলাতসমূহ, বিশেষ করে মধ্যবর্তী ছলাত[2] পূর্ণ নিয়মানুবর্তিতার সাথে পালন কর এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয় সহকারে দাঁড়াও, যদি ভীতিগ্রস্ত হও তবে পদব্রজে অথবা আরোহী অবস্থায় (ছলাত পড়)। অতঃপর যখন নিরাপদ হও তখন তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা (আগে) জানতে না।[3]

নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মৃত্যুর রোগকালীন অবস্থায় বসে ছলাত আদায় করেছেন।[4]

ইতিপূর্বেও তিনি যখন অসুস্থ হয়েছিলেন তখন আরো একবার বসে ছলাত আদায় করেন। লোকেরা তার পিছনে দাঁড়িয়ে ছলাত পড়ছিল। তিনি তাদেরকে ইঙ্গিতে বললেন বস, তখন তারা সবাই বসে যায়। ছলাত শেষ করে বললেনঃ

ان کنتم آنفا لتفعلون فعل فارس والروم یقومون علی ملوکهم و هم قعود فلا تفعلوا إنما جعل الإمام ليؤتم به فإذا ركع فاركعوا وإذا رفع فارفعوا وإذا صلى جالساً فصلوا جلوسا (أجمعون

কিছুক্ষণ পূর্বে তোমরা পারস্য ও রোম সম্প্রদায়ের কাজ করতে শুরু করেছিলো। তারা তাদের রাজা-বাদশাদেরকে উপবিষ্ট অবস্থায় রেখে নিজেরা দাঁড়িয়ে থাকে। তোমরা এমনটি করো না। ইমামকে কেবল অনুকরণের জন্যই নিয়োগ করা হয়। তাই তিনি যখন রুকু করেন তখন তোমরা রুকু কর, আর তিনি যখন মাথা উঠান তখন তোমরাও মাথা উঠাও, তিনি যখন বসে ছলাত আদায় করেন তখন তোমরা সবাই বসে ছলাত আদায় করা।[5]

[1] সূরা আল-বাকারাহ ২৩৮ আয়াত।

[2] অধিকাংশ উলামার বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সে ছলাতটি হচ্ছে আছরের ছলাত। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা এবং তাঁর সাথীদ্বয়, এ বিষয়ে অনেক হাদীছ রয়েছে। হাফিয ইবনু কাছীর এগুলোকে তাঁর তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

[3] সূরা আল-বাকারাহ ২৩৮-২৩৯ আয়াত।

[4] তিরমিযী একে বর্ণনা করে ছহীহ বলেছেন, আহমাদও এটি বর্ণনা করেন।

[5] বুখারী, মুসলিম; এটি আমার কিতাব “ইরওয়াউল গালীল” এর ৩৯৪ নং হাদীছের আওতায় উদ্ধৃত হয়েছে।