“আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-১১৯)

অল্পে তৃপ্তি বহু কল্যাণময় ফল বহন করে। যা তকদীরে আছে অন্য যে কোন স্তরে উড্ডীয়ন করা যায়।

কেউ হয়তো শুধুমাত্র ভালোটাই তাদের উপর বার্তাক (বা আপতিত) হোক এমনটাই আশা করতে পারে, শুধুমাত্র সুখকর জিনিসই তাদের জীবনে ঘটুক এমনটাই আশা করতে পারে। কিন্তু আল্লাহর বান্দা এমনটা বুঝে না যে, বহু সত্যিকার ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য হলো ধৈর্য, সম্পূর্ণ তাওাক্কুল, পরিতৃপ্তি, বিনয় ও আল্লাহর ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণ। যখন তারা অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হতেন তখন তাদের এসব গুণ প্রকাশিত হতো। অতএব, তকদীরে সন্তুষ্ট হওয়ার অর্থ এ নয় যে, কেবলমাত্র চাহিদানুযায়ী বা মনের মতো জিনিসের প্রতিই সন্তুষ্ট থাকা; (বরং) সত্যিকার পরিতুষ্টির প্রকৃত মাপকাঠি তখনই নির্ণীত হয় যখন কেউ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করে। বান্দার এ অধিকার নেই যে, সে তকদীরের বিষয়াবলি নিয়ে মাতব্বরী করবে; সে শুধুমাত্র খুশী বা বেজার হতে পারে এবং একথার কোন ব্যত্যয় (অন্যথা/ব্যতিক্রম) নেই যে, বেজার হয়ে সে পাপী হয়। এলাহী তকদীরের (স্বর্গীয় বিধানের) ব্যাপারে মানুষের পছন্দ করার বেশি কিছু নেই (বেশি কিছু নয় বরং কিছুই নেই-অনুবাদক)। তকদীরের পছন্দ ও সিদ্ধান্ত করার বিষয় একমাত্র আল্লাহর নিকট। তিনি সর্বজ্ঞ ও সর্বোচ্চ।