হজ সফরে সহজ গাইড উমরাহ মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • তাওয়াফ শেষে আপনি সম্ভব হলে মাক্বামে ইবরাহীমে পেছনে যেতে পারেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত আয়াত অনুযায়ী সেখানে সালাত আদায় করেছেন। আয়াতে এসেছে,

﴿وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ مُصَلّٗىۖ﴾ [البقرة: ١٢٥]

‘‘আর তোমরা ইবরাহীমের দণ্ডায়মানস্থানকে সালাত আদায়ের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো”।[1]

  • সম্ভব হলে মাক্বামে ইবরাহীমের পেছনে দাঁড়িয়ে অথবা ভিড়ের কারণে সম্ভব না হলে মসজিদুল হারামের যে কোনো স্থানে দুই রাকাত সালাত আদায় করুন। এ সালাতের প্রথম রাকাআতে সূরা-ফাতিহা ও সূরা-কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা-ফাতিহা ও সূরা-ইখলাস পড়া সুন্নাত।[2]
  • এই দুই রাকাত সালাত ওয়াজিব নাকি সুন্নাত তা নিয়ে আলেমগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে। আরেকটি বিষয়, মাকরুহ সময় পরিহার করে এ সালাত আদায় করা উত্তম। এ সালাতের পর দুই হাত উঠিয়ে দো‘আ করার কোনো দলীল হাদীসে খুজে পাওয়া যায় না। এ সালাত তাওয়াফের কোনো অংশ নয় বরং এটি একটি আলাদা স্বতন্ত্র ইবাদত।
  • মসজিদুল হারামে সালাত পড়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, পুরুষ নারী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বা পুরুষ সরাসরি নারীর পেছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় না করেন। এমন করা জায়েয নয়। অনেকেই এ বিষয়টি জানেন না বা খেয়াল করেন না, তবে সকলের এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিৎ।
  • এবার যমযম কুপের পানির টেপ অথবা কন্টেইনারের কাছে গিয়ে পেট ভরে পানি পান করুন এবং কিছু পানি মাথায় ঢালুন। এখানে এখন যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করাই সুন্নাত বলে কোনো কোনো আলেম মত প্রকাশ করেছেন, কারণ এভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন। অন্য আলেমগণ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযরের কারণে এখানে দাঁড়িয়ে যমযমের পানি পান করেছেন। কারণ, তিনি মানুষের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন, সেখানে বসার সুব্যবস্থা ছিল না।
  • যমযমের পানি কয়েক ঢোকে পান করা উত্তম। খুব ঠাণ্ডা পানি পান না করে নরমাল (Not cold) পানি পান করা উত্তম।
  • যমযমের পানি পবিত্র পানি। পৃথিবীর বুকে সর্বোত্তম পানি। এ পানি ক্ষুধা নিবারক ও রোগের শেফা করে।

এবার সা‘ঈ করার জন্য সাফা পাহাড়ের দিকে রওয়ানা হোন।

[1] সূরা আল-বাকারা: ২:১২৫

[2] তিরমিযী, হাদীস নং ৮৬৯