১ । যেমন আমি পূর্বে বর্ণনা করেছি অনুরূপ, রোগীর সামনে কোরআনের আয়াত তিনবার তেলাওয়াত করার পর রোগী বেহুশ হয়ে গেলে অনুরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করতে হবে।

২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর সামান্য লক্ষণ কেবল দেখা দেয় তবে নিম্নের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবেঃ ক্যাসেটে সূরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা দুখান, সূরা জ্বিন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও রোগীকে দিবে। আর রোগী তা প্রত্যেকদিন তিনবার শুনবে।

এছাড়া রোগীকে কালো জিরার তেলের সাথে নিম্নের দুআ, আয়াত ও সূরাসমূহ পড়ে ফু দিয়ে দিবে এবং গুরুত্বের সাথে রোগীর কপালে ও ব্যথিত স্থানে সকাল-সন্ধ্যা মালিশ করতে বলবে।

সেই সব আয়াত ও সূরা এইঃ (১) সূরা ফাতেহা, (২) সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস

(৩) وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ এই আয়াতটি সাতবার পড়বে।

(৪) بسم الله أرقيك والله يشفيك من كلّ داء يؤذيك ومن كلّ نفس أو عين حاسد الله يشفيك
(৫) اللهم رب الناس أذهب البأس واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاء لا يغادر سقما

এই আমল ষাট দিন পর্যন্ত করবে। সুস্থ হলে তো ভাল আর না হয় দ্বিতীয়বার উক্ত ঝাড়-ফুক করবে অতঃপর একই পদ্ধতি প্রদান করবে। দ্বিতীয়বারের মত অনুরূপভাবে যা তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন সেভাবে পদ্ধতি গ্রহণ করবে।