১। কাতাদা বলেনঃ আমি সাঈদ বিন মুসাইয়্যাবকে জিজ্ঞাসা করলাম কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে অথবা পুরুষত্ব হীনতার জন্যে কি ঝাড়-ফুঁক করা যাবে? তিনি বললেন, তাতে কোন নিষেধ নেই। কেননা তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণ। (ফতহুল বারীঃ ১০/২৩২)

২। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ মুসলিম পন্ডিতদের এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যাদু দ্বারা যাদুর দমন করে মানুষের চিকিৎসা করাকে সাঈদ বিন মুসাইয়িব বৈধতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইমাম মুযনীও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম শা'বী বলেনঃ আরবী ভাষায় ঝাড়-ফুক হলে কোন দোষ নেই; কিন্তু হাসান বাসরী তা মাকরূহ বলেছেন। (কুরতুবীঃ ২/৪৯)

৩। ইবনে কুদামা বলেনঃ যাদুর চিকিৎসক যদি কুরআনের আয়াত অথবা কোন যিকিরের মাধ্যমে অথবা এমন বাক্য দ্বারা চিকিৎসা করে যে, যাতে কোন কুফুরির বিষয় নেই তবে কোন বাধা নেই; কিন্তু তা যদি যাদু দ্বারাই হয়ে থাকে তবে তা হতে ইমাম আহমদ বিমূখ হয়েছেন। (আল-মুগনীঃ ১০/১১৪)

৪ । হাফেয ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ

النشرة من عمل الشيطان

অর্থাৎ "ঝাড়-ফুঁক শয়তানী কর্মের অন্তর্ভুক্ত।" (মুসনাদে আহমদ ও আবু দাউদ)

এর উদ্দেশ্য হলো মৌলিকভাবে এটিই, তবে যার উদ্দেশ্য ভাল তাতে কোন দোষ নেই। ইবনে হাজার আরো বলেনঃ ঝাড়-ফুক দু'ধরণেরঃ

প্রথমঃ জায়েয ঝাড়-ফুকঃ এ পদ্ধতি হলো, যা কুরআন ও শরীয়তসম্মত দু'আর দ্বারা যাদুর চিকিৎসা করা।

দ্বিতীয়ঃ হারাম ঝাড়-ফুকঃ এ প্রকার হলো, যার মাধ্যমে যাদুকে যাদু দ্বারা নষ্ট করা হয়। অর্থাৎ যাদু নষ্ট করার জন্য শয়তানকে খুশী করা হয় এবং তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করে তার সাহায্য কামনা করা হয়। আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীসঃ

النشرة من عمل الشيطان

অর্থাৎ “ঝাড়-ফুক শয়তানের কর্মের অন্তর্ভুক্ত।" সাধারণত এদিকেই ইঙ্গিত করে। এজন্যে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কয়েক হাদীসে গণক ও যাদুকরের নিকট যেতে নিষেধ করেন এবং তা কুফরী সাব্যস্ত করেন।