এ পদ্ধতিতে যাদুকর রুগীর নিকট হতে তার কোন চিহ্ন তলব করে। যেমনঃ রুমাল, পাগড়ী, জামা বা এমন কোন ব্যবহৃত জিনিস যাতে রুগীর গায়ের গন্ধ পাওয়া যায়। তারপর সে রুমালের এক পাশ্বে গিরা দেয়। এরপর চার আঙ্গুল পরিমাণ পর খুব শক্ত করে রুমালটি ধারণ করে সূরা কাউসার বা অন্য যে কোন ছোট একটি সূরা স্বজোরে পড়ে চুপি চুপি শিরকী মন্ত্র পড়ে। তারপর জিনকে ডাকতে থাকে ও বলতে থাকেঃ যদি তার রোগ জিনের কারণে হয়ে থাকে তবে সে রুমাল (বা কাপড়) টি ছোট করে দাও। যদি তার রোগ বদনজরের কারণে হয় তবে তা লম্বা করে দাও । আর যদি সাধারণ ডাক্তারী কোন রোগ হয় তবে আপন অবস্থায় ছেড়ে দাও। এরপর সেটি পুনরায় পরিমাপ করে যদি তা চার আঙ্গুলের চেয়ে লম্বা পায় বলেঃ তুমি হিংসুকের বদনজরে আক্রান্ত হয়েছো। যদি তা ছোট পায় তবে বলে যে, তুমি জিনের আসরে পতিত হয়েছ। আর যদি অনুরূপ পায় আঙ্গুলই থাকে তবে বলেঃ তোমার নিকট কিছু নেই। তুমি ডাক্তারের নিকট যাও।

এই পদ্ধতির বিশ্লেষণঃ

১। রুগীর মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করে দেয়া, জোরে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে যে, সে কুরআনের দ্বারা তার চিকিৎসা করছে অথচ সে তখনই চুপে চুপে মন্ত্র পড়ে থাকে।

২। জিনের নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য কামনা এবং তাদেরকে আহবান করা ও তাদের নিকট প্রার্থনা করা। অথচ এগুলি শিরক।

৩ । জিনদের মাঝে অনেক মিথ্যা পাওয়া যায়। অতএব আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, এ ব্যাপারে এই জিনের কথা সত্য না মিথ্যা। আমরা কোন কোন যাদুকরের কথা ও কাজকে কখনও কখনও পরীক্ষা করেছি, তাতে দেখা গেছে, সে কখনও সত্য বলেছে; কিন্তু অধিকাংশই মিথ্যা। এমনও হয়েছে যে, আমাদের নিকট কোন রুগী এসে বলেছে, তাকে যাদুকর বলেছেঃ তোমাকে বদ নজর লেগেছে। অথচ যখন তার উপর কুরআন তেলাওয়াত করা হয়েছে তখন জিন কথা বলে উঠেছে। তা আসলে বদনজর নয়। এমন অনেক অনেক ধরণের পদ্ধতি আরো রয়েছে যা আমরা জানি না।