ইমাম রাগেব (রাহেমাহুল্লাহ)-এর নিকট যাদুর প্রকার

ইমাম রাগেব (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুর ব্যবহার বিভিন্ন অর্থে হয়ে থাকেঃ

১ । প্রত্যেক ঐ জিনিস যা অতি সূক্ষ ও গোপনীয় হয়ে থাকে। তাইতো বলা হয় سحرت الصبى অর্থাৎ আমি বাচ্চাটিকে প্রতারিত করেছি ও আকৃষ্ট করেছি। অতএব যেই কোন কিছুকে আকৃষ্ট করতে পারে সেই তাকে যেন

যাদু করল। এরই অন্তর্ভুক্ত হলো কবিদের কবিতা, অন্তর কেড়ে নেয়ার জন্য। অনুরূপ আল্লাহর বাণীঃ

بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَسْحُورُونَ

অর্থাৎ আমাদের দৃষ্টির বিভ্ৰাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্ৰস্ত হয়ে পড়েছি (সূরা হিজরঃ ১৫)

এরই অন্তর্ভুক্ত হলো হাদীসে বর্ণিতঃ إن من البيان لسحرا নিশ্চয় কিছু বক্তব্য রয়েছে যাদুময়ী ।

২। যা প্রতারণার মাধ্যমে হয়ে থাকে, যার কোন বাস্তবতা নেই, যেমনঃ ভেল্কিবাজদের কর্ম-কান্ড, হাতের প্যাচের সূক্ষতার মাধ্যমে মানুষকে নজর বন্দী করে ফেলে।

৩। শয়তানের সাহায্যে তার নৈকট্য গ্রহণ করতঃ যা কিছু অর্জন হয় এর প্রতিই আল্লাহর বাণীর ইঙ্গিতঃ

وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ

অর্থঃ “কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা শিক্ষা দিতো।” (সূরা বাকারাঃ ১০২)

৪ । তারকা পূজার মাধ্যমে জ্যোতিষীদের যাদু। (ফাতহুল বারী হতে গৃহীতঃ ১০/২২২ ও রাগেব ইস্পাহানীর আল-মুফরাদাত এ- س-ح-ر দ্রষ্টব্য)