৬. ১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা / ৬. ১. ১. কী বলেছিলেন ইমাম আবূ হানীফা?

৬. ১. ১. কী বলেছিলেন ইমাম আবূ হানীফা?

এ পরিচ্ছেদে ইমাম আযম আবূ হানীফা (রাহ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা, চাচা ও সন্তানদের বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রথম অনুচ্ছেদে তিনটি বাক্য বিদ্যমান। তিনটি বাক্যই মৃত্যু প্রসঙ্গে। প্রথম বাক্যে তাঁর পিতামাতার মৃত্যু, দ্বিতীয় বাক্যে তাঁর মৃত্যু ও তৃতীয় বাক্যে তাঁর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয় বাক্যটি সকল পান্ডুলিপিতে বিদ্যমান। প্রথম ও দ্বিতীয় বাক্যটি ‘‘আল-ফিকহুল আকবারের’’ কোনো কোনো পান্ডুলিপিতে বিদ্যমান ও অন্যান্য পান্ডুলিপিতে অবিদ্যমান।

‘‘আল-ফিকহুল আকবার’’ গ্রন্থের প্রসিদ্ধতম ব্যাখ্যা দশম-একাদশ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধতম হানাফী ফকীহ ও মুহাদ্দিস মোল্লা আলী কারী (১০১৪ হি/১৬০৬ খৃ) প্রণীত ‘‘শারহুল ফিকহিল আকবার’’। এ গ্রন্থের কোনো পান্ডুলিপিতে বাক্যদুটি বিদ্যমান এবং কোনো কোনোটিতে শুধু তৃতীয় বাক্যটি বিদ্যমান। থানবী প্রকাশনী, দেওবন্দ, ভারত থেকে প্রকাশিত ‘শারহুল ফিকহিল আকবার’ এ বাক্যগুলো এভাবেই বিদ্যমান। শাইখ মারওয়ান মুহাম্মাদ আশ-শা‘আর (الشيخ مروان محمد الشعار)-এর সম্পাদনায় লেবাননের দারুন নাফাইস কর্তৃক প্রকাশিত ‘‘শারহুল ফিকহিল আকবার’’ গ্রন্থেও বাক্যগুলো বিদ্যমান। কিন্তু দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ বৈরুত, লেবানন প্রকাশিত ‘শারহু ফিকহিল আকবার’ পুস্তকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন) বাক্যটি নেই। অনুরূপভাবে কাদীমী কুতুবখানা, আরামবাগ, করাচি, পাকিস্তান হতে প্রকাশিত মোল্লা আলী ক্বারীর শারহুল ফিকহিল আকবারেও বাক্যটি নেই।

আল-ফিকহুল আকবারের পান্ডুলিপিগুলো প্রসিদ্ধ হানাফী আলিমগণ সংরক্ষণ ও অনুলিপি করেছেন। এখানে দুটি সম্ভাবনা বিদ্যমান: (ক) ইমাম আযম বাক্যগুলো লিখেছিলেন, কিন্তু পরবর্তী যুগের কোনো কোনো লিপিকার হানাফী আলিম বাক্যগুলো অশোভনীয় হওয়ায় তা ফেলে দিয়েছেন। (খ) বাক্যগুলো তিনি লিখেন নি, পরবর্তী যুগের কোনো লিপিকার হানাফী আলিম অতিরিক্ত বাক্যগুলো সংযোজন করেছেন।

প্রথম সম্ভাবনাই স্বাভাবিক। পরবর্তী যুগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতার বিষয়ে এ বাক্য সংযোজন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা হানাফী আলিমদের ছিল বলে প্রতীয়মান হয় না। কিন্তু এ বাক্যদুটোকে পরবর্তী যুগের অনেক হানাফী আলিমই অশোভনীয় বলে গণ্য করেছেন। কাজেই অপ্রাসঙ্গিক বা অশোভনীয় হিসেবে তা ফেলে দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। আমরা দেখব যে, মোল্লা আলী কারীর ব্যাখ্যার মধ্যে এ বিষয়ক আলোচনা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তাঁর ব্যাখ্যা গ্রন্থের সাথে মুদ্রিত ‘আল-ফিকহুল আকবার’-এর কোনো কোনো মুদ্রণে এ বাক্যটি নেই। অর্থাৎ মুদ্রণ বা অনুলিপির সময় ইমাম আযমের বক্তব্য থেকে কথাটি ফেলে দেওয়া হয়েছে, যদিও ব্যাখ্যার মধ্যে তা বিদ্যমান। আমরা পরবর্তী আলোচনা থেকে দেখব যে, ইসলামের প্রথম তিন-চার শতাব্দীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা বিষয়ে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আলিমগণ যা বলেছেন পরবর্তী আলিমগণ সেগুলো সেভাবে বলা অশোভনীয় বলেই মনে করেছেন।

কোনো কোনো আলিম মত প্রকাশ করেছেন যে, হয়ত বক্তব্যটি নিম্নরূপ ছিল (والدا رسول الله صلى الله عليه وسلم ما ماتا على الكفر) ‘‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা কুফরের উপর মৃত্যুবরণ করেন নি’’। পান্ডুলিপিকারের ভুলে (ما) শব্দটি পড়ে যাওয়ায় অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে গিয়েছে। এটি একটি দূরবর্তী সম্ভাবনা। কারণ এক্ষেত্রে ‘কুফরের উপর মৃত্যুবরণ করেন নি’ না বলে ‘ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন’ বলাই ছিল স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য যে, মোল্লা আলী কারী এ বিষয়ে পৃথক একটি পুস্তক রচনা করেন। পুস্তকটির নাম (أدلة معتقد أبي حنيفة الأعظم في أبوي الرسول عليه السلام) অর্থাৎ ‘‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতার বিষয়ে ইমাম আযম আবূ হানীফার আকীদার পক্ষে দলীলসমূহ’’। এ গ্রন্থের শুরুতে তিনি বলেন:


"قَدْ قَالَ الإِمَامُ الأَعْظَمُ وَالْهُمَامُ الأَقْدَمُ فِيْ كِتَابِهِ الْمُعْتَبَرِ الْمُعَبَّرِ بِـ(الْفِقْهِ الأَكْبَرِ) مَا نَصُّهُ: "وَوَالِدَا رَسُوْلِ اللهِ مَاتَا عَلَى الْكُفْرِ". فَقَالَ شَارِحُهُ: هَذَا رَدٌّ عَلَى مَنْ قَالَ بِأَنَّ وَالِدَيْ رَسُوْلِ اللهِ مَاتَا عَلَى الإِيْمَانِ، وَعَلَى مَنْ قَال مَاتَا عَلَى الْكُفْرِ ثُمَّ (دَعَا) رَسُوْلُ اللهِ اللهَ لَهُمَا فَأَحْيَاهُمَا اللهُ وَأَسْلَمَا ثُمَّ مَاتَا عَلَى الإِيْمَانِ. فَأَقُوْلُ وَبِحَوْلِهِ أَصُوْلُ: إِنَّ هَذَا الْكَلاَمَ مِنْ حَضْرَةِ الإِمَامِ لاَ يُتَصَوَّرُ فِيْ هَذَا الْمَقَامِ لِتَحْصِيْلِ الْمَرَامِ إِلاَّ أَنْ يَكُوْنَ قَطْعِيَّ الدِّرَايَةِ لاَ ظَنِّيَّ الرِّوَايَةِ لأَنَّهُ فِيْ بَابِ الاِعْتِقَادِ لاَ يُعْمَلُ بِالظَّنِّيَّاتِ وَلاَ يُكْتَفَى بِالآحَادِ مِنَ الأَحَادِيْثِ الْوَاهِيَاتِ وَالرِّوَايَاتِ الْوَهْمِيَّاتِ إِذْ مِنَ الْمُقَرَّرِ وَالْمُحَرَّرِ فِيْ الأَصْلِ الْمُعْتَبَرِ أَنَّهُ لَيْسَ لأَحَدٍ مِنْ أَفْرَادِ الْبَشَرِ أَنْ يَحْكُمَ عَلَى أَحَدٍ بِأَنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَلاَ بِأَنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْعُقُوْبَةِ إِلاَّ بِنَقْلٍ ثَبْتٍ بِنَصٍّ مِنَ الْكِتَابِ أَوْ تَوَاتُرٍ مِنَ السُّنَّةِ أَوْ إِجْمَاعِ عُلَمَاءِ الأُّمَّةِ بِالإِيْمَانِ الْمَقْرُوْنِ بِالْوَفَاةِ أَوْ بِالْكُفْرِ الْمُنْضَمِّ إِلَى آخِرِ الْحَيَاةِ. فَإِذَا عَرَفْتَ ذَلِكَ فَنَسْتَدِلُّ عَلَى مَرَامِ الإِمَامِ بِحَسْبِ مَا اطَّلَعْنَا عَلَيْهِ فِيْ هَذَا الْمَقَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ وَاتِّفَاقِ أَئِمَّةِ الأَنَامِ".


‘‘ইমাম আযম তাঁর ‘‘আল-ফিকহুল আকবার’’ নামক নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে বলেছেন: ‘‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা কুফুরের উপর মৃত্যুবরণ করেন।’’ ব্যাখ্যাকার বলেন: এ কথার দ্বারা তিনি দুটি মত খন্ডন করেছেন: যারা বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মত এবং যারা বলেন যে, তাঁরা কুফরের উপর মৃত্যু বরণ করেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করেন, তখন আল্লাহ তাদের দুজনকে পুনর্জীবিত করেন এবং তাঁরা দুজন ইসলাম গ্রহণ করে ইসলাম-সহ মৃত্যুবরণ করেন- তাদের মত তিনি খন্ডন করেছেন। এ বিষয়ে আমি আল্লাহর সাহায্য ও তাওফীকে বলি যে, এ বিষয়ে হযরত ইমাম আযমের বক্তব্য বুঝতে হলে কোনো যন্নী বা ‘‘ধারণা’’ প্রদানকারী প্রমাণের উপর নির্ভর করা যাবে না; বরং কাতয়ী বা সুনিশ্চিত বিশ্বাস প্রদানকারী প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হবে। কারণ বিষয়টি আকীদা বা বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট, যে বিষয়ে ‘‘যন্নী’’ বা ধারণাজ্ঞাপক প্রমাণের উপর নির্ভর করা যায় না। আর এ বিষয়ে দুর্বল-অনির্ভরযোগ্য দু-চারটি হাদীস বা কাল্পনিক বর্ণনা যথেষ্ট নয়। কারণ নির্ভরযোগ্য মূলনীতিতে একথা নির্ধারণ ও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, কোনো মানুষের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে জান্নাতী বা শাস্তিপ্রাপ্ত (জাহান্নামী) বলে নিশ্চিত করা বৈধ নয়। কেবলমাত্র যদি কুরআন কারীমের সুস্পষ্ট বক্তব্য, মুতাওয়াতির হাদীস বা উম্মাতের আলিমগণের ইজমা দ্বারা যদি সুনিশ্চিত প্রমাণিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তি ঈমানসহ মৃত্যুবরণ করেছেন, অথবা জীবনের শেষ মুহূর্তে কাফির থেকে কুফরসহ মৃত্যুবরণ করেছেন, তাহলেই কেবল তাকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলে নিশ্চিত করা যায়। উপরের বিষয়টি বুঝার পরে আমি আমার জ্ঞান অনুসারে কুরআন হাদীস ও উম্মাতের ইমামগণের ইজমার আলোকে ইমাম আযমের বক্তব্য প্রমাণ করব।’’[1]

শারহুল ফিকহিল আকবার গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে মোল্লা আলী কারী বলেন:


هَذَا رَدٌّ عَلَى مَنْ قَالَ أَنَّهُمَا مَاتَا عَلَى الإِيْمَانِ أَوْ مَاتَا عَلَى الْكُفْرِ ثُمَّ أَحْيَاهُمُ اللهُ تَعَالَى فَمَاتَا فِيْ مَقَامِ الإِيْمَانِ. وَقَدْ أَفْرَدْتُ لِهَذِهِ الْمَسْأَلَةِ رِسَالَةً مُسْتَقِلَّةً وَدَفَعْتُ مَا ذَكَرَهُ السُّيُوْطِيُّ فِيْ رَسَائِلِهِ الثَّلاَثَةِ، فِيْ تَقْوِيَةِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ بِالأَدِلَّةِ الْجَامِعَةِ الْمُجْتَمِعَةِ مِنَ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ وَالْقِيَاسِ وَإِجْمَاعِ الأُمَّةِ. وَمِنْ غَرِيْبِ مَا وَقَعَ فِيْ هَذِهِ الْقَضِيَّةِ إِنْكَارُ بَعْضِ الْجَهَلَةِ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ عَلَى مَا فِيْ بَسْطِ هَذَا الْكَلاَمِ بَلْ أَشَارَ إِلَى أَنَّهُ غَيْرُ لاَئِقٍ بِمَقَامِ الإِمَامِ الأَعْظَمِ. وَهَذَا بِعَيْنِهِ كَمَا قَالَ الضَّالُّ جَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ: وَدِدْتُ أَنْ أَحُكَّ مِنَ الْمُصْحَفِ قَوْلَهُ تَعَالَى: ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ ... وَقَوْلِ الرَّافِضِيِّ الأَكْبَرِ إِنَّهُ بَرِيْءٌ مِنَ الْمُصْحَفِ الَّذِيْ فِيْهِ نَعْتُ الصِّدِّيْقِ الأَكْبَرِ.


‘‘এ কথা দ্বারা তাদের মত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে যারা বলেন যে, তাঁরা উভয়ে ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করেছিলেন, অথবা কুফর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন, পরে আল্লাহ তাঁদেরকে জীবিত করেন এবং তাঁরা ঈমানসহ মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে আমি পৃথক একটি পুস্তিকা রচনা করেছি। তাতে আমি সুয়ূতীর তিনটি পুস্তিকার বক্তব্য খন্ডন করেছি। এ পুস্তিকায় আমি কুরআন, হাদীস, কিয়াস ও ইজমার বক্তব্য দিয়ে ইমাম আযমের এ মত জোরদার করেছি। এ সম্পর্কিত একটি মজার বিষয় হলো, কিছু অজ্ঞ হানাফী এ বিষয়ক আলোচনা আপত্তিকর বলে মনে করেন। বরং তারা বলে, এ ধরনের কথা বলা ইমাম আযমের মর্যাদার পরিপন্থী। তাদের এ কথা অবিকল (জাহমী মতের প্রতিষ্ঠাতা) বিভ্রান্ত জাহম ইবনু সাফওয়ানের কথার মত। সে বলত: ‘‘আমার মনে চায় আল্লাহর বাণী ‘অতপর তিনি আরশে সমাসীন হলেন’ কথাটি আমি কুরআনের পৃষ্ঠা থেকে মুছে ফেলে দিই।’’ অনুরূপভাবে তাদের কথা অবিকল সেই শ্রেষ্ঠ শীয়া-রাফিযীর কথার মত, যে বলে: যে কুরআনের মধ্যে সিদ্দীকে আকবারের প্রশংসা বিদ্যমান সে কুরআনের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’’ (অর্থাৎ জাহম যেমন মুর্খতা বশত বলত যে, ‘আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন’ কথাটি আল্লাহর মর্যাদার পরিপন্থী এবং শীয়া-প্রবর যেমন মনে করেছে যে সিদ্দীকে আকবারের প্রশংসা কুরআনের মর্যাদার পরিপন্থী, তেমনি এ অজ্ঞ হানাফী ভেবেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পিতামাতা বিষয়ক আবূ হানীফার বক্তব্যটি তাঁর মর্যাদার পরিপন্থী।)[2]

মোল্লা আলী কারীর এ বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইমাম আবূ হানীফার বক্তব্যের মধ্যে এ বাক্যটির বিদ্যমান থাকার বিষয়ে তিনি সুনিশ্চিত ছিলেন এবং তার ব্যাখ্যা গ্রন্থের মধ্যেও বাক্যটি বিদ্যমান ছিল। সম্ভবত পরবর্তী কোনো কোনো প্রকাশক বাক্যটির বিষয়ে বিতর্কের কারণে বা বাক্যটি ইমাম আযমের মর্যাদার পরিপন্থী বলে মনে করে তা উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন। মহান আল্লাহই ভাল জানেন।

[1] মোল্লা আলী কারী, আদিল্লাতু মু’তাকাদি আবী হানীফা, পৃ. ৬১-৬৪।

[2] মোল্লা আলী কারী, শারহুল ফিকহিল আকবার ১৩১ পৃ. (মাকতাবায়ে থানবী)