প্রশ্ন-১০১ : শায়খের নিকট আমার আবেদন হলো, মাদীনার আলিমগণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট মতামত চাচ্ছি অর্থাৎ যাদেরকে সালাফী বলা হয় তারা কি তাদের কাজে-কর্মে সঠিক মানহাজের উপর রয়েছেন?

উত্তর : আমার জানা মতে মদীনাহর আলিমগণ কল্যাণের উপরই রয়েছেন।[1] তারা জন কল্যাণার্থে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন লেখকের ভুল ত্রুটি বর্ণনা করেন। বরং তারা সমালোচনার ক্ষেত্রে শব্দ, লাইন, প্যারা, পৃষ্ঠা নং, খণ্ড নং সহ উল্লেখ করেন। আপনারা তাদের সমালোচনাকৃত বিষয় গুলো যাচাই করে দেখুন ‘যদি তারা মিথ্যাচার করে থাকে তাহলে তা জনগনের সামনে উপস্থাপন করুন। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন আমীন। আমরা মিথ্যারোপ করা পছন্দ করি না। আপনারা তাদের সমালোচনাকৃত গ্রন্থগুলো যাচাই করে দেখুন ‘‘তারা মিথ্যারোপ করেছে অথবা কাটছাট করেছে’’ এমন প্রমাণ পেলে আমার নিকট পেশ করুন আমি আপনাদের পক্ষে থাকবো।

আপনারা লোকজনকে যা বলেন ‘‘আপনারা নীরব থাকুন। বাতিলকে ঐ অবস্থাতে ছেড়ে দিন। বাতিলের মতামত খণ্ডন করা ও অবস্থাদি তুলে ধরা পরিত্যাগ করুন।’’ আপনাদের এই বারণ করা সঠিক নয়। এটা সত্যকে গোপন করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জাল্লা ওয়া তা‘আলা বলেন,

{ وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلا تَكْتُمُونَهُ }

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ কিতাবপ্রাপ্তদের  অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, অবশ্যই তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে  বর্ণনা করবে এবং  তা গোপন করবে না। (সূরা আলি ইমরান আয়াত নং:-১৮৭)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন ,

{ إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُولَئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللَّهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللاَّعِنُونَ }

নিশ্চয় যারা গোপন করে সু-স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ ও হেদায়াত যা আমি অবতীর্ণ করেছি, কিতাবে মানুষের জন্য তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করার পর, তাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেন এবং লা‘নতকারীগণও তাদেরকে লা‘নত করে। (সূরা আল বাকারাহ আয়াত নং:- ১৫৯ )

আমরা কি ভুল-ভ্রান্তি হতে দেখেও নিরব-নিস্তব্ধ থেকে লোকজনকে ভুলের মধ্যে ঘুরপাক খেতে দেব? না এ কাজ কখনো জায়েয হতে পারে না। বরং কে সন্তুষ্ট হলো আর কে অসন্তুষ্ট হলো সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে হক বর্ণনা করা ওয়াজিব।


[1]. মদীনাহর আলিমগণ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: মুহাম্মাদ আমান আল- জামী (রহ.), রবি’ ইবনে হাদী আল-মাদখালী, উবাইদ আল জাবিরী, আলী আল ফাক্বীহী, ফালিহ আল হাররী, ছালিহ আস সুহাইমী, মুহাম্মাদ ইবনে হাদী হাফিযাহুমুল্লাহ প্রমুখ। আল্লাহর অনুগ্রহে উল্লেখিত শায়খগণ ইখওয়ানুল মুসলিমীন ফিরকা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেন এবং বিভিন্ন স্থানে তারা ইখওয়ানের নেতাদের মতামত খণ্ডন করেছেন।