প্রশ্ন-৪৬ : ফুটবল টুর্নামেন্ট ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা মূলক খেলা দেখার হুকুম কী?

উত্তর : মানুষের সময় খুবই মূল্যবান।[1] খেলা দেখা বা অহেতুক কাজে নষ্ট করা জায়েয নয়। কেননা এ কাজগুলো আল্লাহর যিকির থেকে ভুলিয়ে রাখে।[2] কখনো কখনো তাকে একজন খেলোয়াড় হতে প্ররোচিত করে। এভাবে ব্যক্তি গুরুত্ব ও মর্যাদার কাজ পরিত্যাগ করে বেফায়দা কাজে জড়িয়ে পড়ে।


[1]. মুসলিমের উপর সময়কে গুরুত্ব দেয়া ওয়াজিব। সে যেন তার সময়, তার জীবনকে আল্লাহর যিকির, আল্লাহর আনুগত্য এবং উপকারী ইলম অর্জনে ব্যয় করে। আমাদের উচিত সর্বদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিমেণাক্ত হাদীছকে স্মরণ রাখা। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ছাহাবীকে উপদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বলেন, পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গনিমত মনে করো; তোমার যৌবনকালকে বৃদ্ধ কাল আসার আগেই গানিমাত মনে করো। তোমার সুস্থতাকে অসুস্থতা আসার আগেই গানিমাত মনে করো। তোমার ধন-সম্পদকে দারিদ্র্য আসার আগেই গানিমাত মনে করো। তোমার অবসরকে ব্যস্ততা আসার আগেই গানিমাত মনে করো। তোমার হায়াতকে মৃত্যু আসার আগেই গানিমাত মনে করো’। ইবনু আববাস রদ্বিয়াআল্লাহু আনহুর হাদীছ থেকে গৃহীত। হাকিম (৪/৩০৬) একে বর্ণনা করে একে সহীহ বলেছেন। আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।

[2]. মানুষ অচিরেই ভালো-মন্দ সকলপ্রকার কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে, তার হিসাব গ্রহণ করা হবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিয়ামাতের দিন চারটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হওয়ার পূর্বে কোন বান্দার পা এক ধাপও নড়তে পারবে না; তার জীবন কোথায় ব্যয় করেছে? তার যৌবনকাল কি কাজে কাটিয়েছে?....ইমাম বায়হাকী (রহ.) মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, ইমাম তিরমিযী (রহ.) আবু বারযাহ আল-আসলামী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন হা/২৪১৭ তিরমিযীর বর্ণনায় যৌবনকালের পরিবর্তে রয়েছে ‘তার শরীর সম্পর্কে’ সহীহ আত তারগীব  হা/১৬২।