প্রশ্ন-৯ : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত বিরোধী এ সকল ফিরকা থেকে (জনগণকে) সতর্ক করাতে কোন সমস্যা আছে কি?

উত্তর : আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত বিরোধী সকল দল থেকে সাধারণভাবে সতর্ক করি।[1] আমরা বলি যে, ‘‘আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পথ অবলম্বন করি এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত বিরোধীকে বর্জন করি। তাই তার বিরোধিতা ছোট হোক বা বড় হোক না কেন। আমরা যদি বিরোধিতার ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শন করি তাহলে সমস্যা বেড়ে যাবে, প্রকট আকার ধারণ করবে। বিরোধিতা ইসলামে বৈধ নয়।

বড় ছোট সকল বিষয়ে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা অত্যাবশ্যক।


[1]. বরং যারা চুপ থাকে তাদেরকে অপছন্দ করি। মুহম্মাদ ইবনে বুনদার আল জুরআনী ইমাম আহমাদ (রহ.) কে বলেন অমুক এটা বলেছে এভাবে বলা আমার নিকট খুব কঠিন মনে হয়। ইমাম আহমাদ (রহ.) বললেন ‘‘তুমিও যদি চুপ থাকো আমিও যদি চুপ থাকি তাহলে মুর্খরা /অজ্ঞরা সহীহ এবং দ্বঈফ (বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত ও দুর্বল সূত্রে বর্ণিত) সম্পর্কে জানতে পারবে কীভাবে? মাজমূ‘ ফাতওয়া ২৮/২৩১, শারহু ইলালিত তিরমিযী ০১/৩৫০। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) কে হুসাইন আল কারাবিসী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনি উত্তরে বলেন ‘‘তিনি বিদাতী’’। তিনি অন্যত্র বলেন ‘‘তুমি হুসাইন আল কারাবিসী থেকে খুব সতর্ক থাকো তার সাথে কথা বলবে না। তার সাথে যে কথা বলে ঔ ব্যক্তির সাথেও কথা বলবে না। তিনি ৪বার বা ৫বার একথা বললেন। সালাফে সালেহীনের মতে বিদাতীদের মুখোশ উম্মোচন করা নফল সিয়াম, নফল সালাত এবং সকল ইতিকাফে মশগুল হওয়া থেকে উত্তম।

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ‘‘যে ব্যক্তি নফল সিয়াম পালন করে, নফল সালাত আদায় করে, ইতিকাফ করে সে আপনার নিকট বেশি প্রিয় নাকি যে ব্যক্তি বিদ‘আতিদের মুখোশ উম্মোচন করে সে বেশি প্রিয়? তিনি প্রতুত্তরে বললেন ‘‘ব্যক্তি যখন সিয়াম, সালাত পালন করে তা শুধু তার নিজের কল্যাণেই করে থাকে, পক্ষান্তরে যখন বিদ‘আতিদের মুখোশ উম্মোচনের কথা বলে তা সকল মুসলিমের কল্যাণ হয়ে থাকে- এটাই উত্তম। মাজমূ‘ ফাতওয়া ২৮/২৩১।