দৈনিক পাঁচবার সালাত প্রতিষ্ঠিত করাকে অত্যাবশ্যকীয় (ফরয) করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা ইরশাদ করেন,

وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ

‘আল্লাহ তোমাদের ঈমান (তথা নামায)-কে নষ্ট করে দেবেন, ব্যাপারটি এমন নয়।[১]

আরও বলা হয়েছে,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ

‘তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠিত কর এবং যাকাত আদায় কর।[২]

সূরা আন নিসায় বলা হয়েছে,

إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

“নিশ্চয়ই মুমিনদের উপর নামায ফরয করা হয়েছে ওয়াক্ত (সময়) মত।'[৩]

হাদীসে রাসূলে বলা হয়েছে

إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلَاةِ

‘অবশ্যই একজন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্যকারী হচ্ছে সালাত (নামায)।[৪]

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কাজটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়? জবাবে তিনি বললেন

الصلوة لوقتها

সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা।[৫]

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন- বাপ মায়ের সাথে সদাচরণ । আমি বললাম- তারপর কোনটি? তিনি বললেন- জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্।

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন

صلاة الجماعة أفضل من صلاة الفَذِّ بسبع وعشرين درجة

জামায়াতের সাথে নামায পড়া একাকী নামায থেকে সাতশ' গুণ বেশী মর্যাদাসম্পন্ন।[৬]

উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

مَا مِنْ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلَاةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا إِلَّا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنْ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ

যখন কোনো মুসলিমের ফরয নামাযের সময় উপস্থিত হয়, তখন সে যদি উত্তমরূপে ওযু করে এবং একান্ত বিনয়-নম্রতার সাথে রুকু সিজদা আদায় করে তাহলে সে কবীরা গুনাহয় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আগের সব গুনাহ্ মাফ হয়ে যায়। আর এরূপ সারা বছরই হতে থাকে।[৭]

[১]. সূরা আল বাকারা, আয়াত : ১৪৩।

[২]. সূরা আন নিসা, আয়াত :৭৭; সূরা আন নূর, আয়াত : ৫৮; সূরা আল-মুযযাম্মিল, আয়াত : ২০।

[৩]. সূরা আন নিসা, আয়াত : ১০৩।

[৪]. সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, সালাত পরিত্যাগ করা কুফরী অনুচ্ছেদ। একই শিরোনামে আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজা জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

[৫]. সহীহ আল বুখারী, নামাযের ওয়াক্ত অধ্যায়, সময় মত নামায পড়ার ফযীলত” শিরোনাম। সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, উত্তম আমল হচ্ছে সঠিক সময়ে নামায' শিরোনাম।

[৬]. সহীহ মুসলিম, মাসজিদ ও নামাযের জায়গা অধ্যায় (হাদীস-১৩২৬)।

[৭]. সহীহ মুসলিম, পবিত্রতা অধ্যায়, ‘ওযু ও নামাযের ফযীলত’ শিরোনাম (হাদীস-৪৫০)।