بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله رب العلمین والصلاة والسلام على سيد المرسلين وخاتم الثبيين - وقائد الغر المحجلين محمد المبعوث إلى الخلق أجمعين . وعلى أله الطيبين - وصحبه الطاهرين وأمته المتقين وازواجه الطاهرات أمهات المؤمنين

আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে আমাদের নেতা, অভিভাবক, যিনি নিজ এলাকায় অনন্য ব্যক্তিত্ব, আল্লাহ্‌র অন্যতম নসীহতকারী বান্দা, যুগের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, কালের বিস্ময়, দীন ও মিল্লাতের সূর্য মুহাম্মদ ইবন আল কাশিম ইবন আবিল বাদর ইবন আল মালিহী আল মিযী ফকীহ, মুহাদ্দিস ও ওয়ায়েয থেকে। আল্লাহ্ তার সফলতাকে আরও বাড়িয়ে দিন। তাঁকে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ দান করুন। তিনি ওয়াসিত থেকে বাগদাদ পর্যন্ত বিভিন্ন আলিমের কাছে বেশ কিছু চিঠি লিখেছিলেন একথা জানার জন্য যে, ঈমানের মোট শাখা কয়টি- সহীহ আল বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসের আলোকে।

সেখানে আবু হুরাইরা (রাঃ) নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেনঃ “ঈমান ষাট কিংবা সত্তরের চেয়ে কিছু বেশী শাখায় বিভক্ত। তার মধ্যে সর্বোত্তম (সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, কিংবা সর্বোচ্চ অথবা সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ) হচ্ছে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই) একথার ঘোষণা দেয়া। আর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক কোন জিনিস সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাও ঈমানের একটি অংশ।”*

ইমাম বলেন, তারা তাদের জ্ঞানের শেষ পরিধি পর্যন্ত চেষ্টা করে বিস্তারিত জানিয়েছেন। বিভিন্ন শাখা প্রশাখা সম্পর্কেও। আমি সেগুলো যত্নের সাথে সাজাতে থাকি।

এরই মধ্যে সুদীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় সেসব বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সবগুলো বিষয় একত্রে সাজানোর পর তা ছয় খণ্ডের বিশাল গ্রন্থের রূপ নিলো। আমি খুঁটিনাটি বিস্তারিত বিষয়ই সেখানে এনেছি, যা ইতোপূর্বে এভাবে আর কেউ আনেনি। তারপর বিভিন্ন শিরোনামে ভাগ করে তা সাজিয়েছি, যেন প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুব সহজেই বের করা যায়। তাছাড়া প্রতিটি আয়াতের বরাত দিয়েছি, যাতে আল-কুরআনে খুঁজতে অসুবিধা না হয়। প্রতিটি বিষয়ে প্রথমে কুরআনুল কারীমের আয়াত, তারপর সহীহ সনদে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদীসসমূহ, তারপর বিভিন্ন ঘটনাবলী ও প্রমাণাদি, এইভাবে প্রতিটি বিষয়কে সাজিয়েছি। যেসব হাদীস আমার নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেছি সেগুলোতে বায়হাকী কথাটি উল্লেখ করিনি। পুরো কিতাবের বিষয়কে আমি মোট ৭৭ ভাগে বিভক্ত করে ঈমানের ৭৭টি শাখা নামে অভিহিত করেছি।

বিনীত

আবু বাকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন ইবনু আলী আল-বাইহাকী

* এ হাদীসটি সামান্য শাব্দিক পার্থক্যসহ আরও বর্ণিত হয়েছে- মুসনাদ ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, সুনান আবু দাউদ, সুনান আন-নাসাঈ, সুনান ইবন মাজা এবং ইবনু হিব্বান প্রভৃতি গ্রন্থসমূহে আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে। তাবারানী তাঁর আল-আওসাত গ্রন্থে আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। -গ্রন্থকার