নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ করার ব্যাপারে আল-কুরআনের নির্দেশ

১- আল-কুরআন ও সুন্নাহর এবং আলেমদের অভিমতের সার- সংক্ষেপ হলো: দাড়ি রাখা ওয়াজিব। দাড়ি শেভ করা বা কাটা হারাম ও নাজায়েয। কেননা, রাসূলের নির্দেশ দ্বারা এখানে ওয়াজিব বুঝায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ﴾ [الحشر: ٧]

“রাসুল তোমাদেরকে যা দেয়, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক এবং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৭]

২- দাড়ি শেভ করা আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা: আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিন আল-কুরআনে বলেন,

﴿وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [الاحزاب: ٣٦]

“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের কোনো রকম (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার থাকবে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল, সে নিঃসন্দেহে সুস্পষ্টভাবে গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হলো।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

৩- আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অবাধ্যতা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِلَّا بَلَٰغٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَٰلَٰتِهِۦۚ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ٢٣ ﴾ [الجن: ٢٣]

“শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকে পৌঁছানো এবং তাঁর রিসালাতের বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। আর যে- কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ২৩]

৪- আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য না করা আমল বরবাদ হওয়ার কারণ: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَلَا تُبۡطِلُوٓاْ أَعۡمَٰلَكُمۡ ٣٣﴾ [محمد: ٣٣]

“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসুলের আনুগত্য কর, আর তোমরা তোমাদের আমলগুলো বিনষ্ট করো না।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩৩]

৫- আল্লাহ ও তার রাসূলের বাধ্য মুমিনদের কাজ হলো আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূলের ফয়সালা মেনে নেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥١﴾ [النور: ٥١]

“মুমিনদের উক্তি তো এই –যখন তাদের মধ্যে বিচার- ফায়সালা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫১]

৬- নির্দ্বিধায় আল্লাহ তা‘আলার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফয়সালা মানতে হবে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥﴾ [النساء: ٦٥]

“কিন্তু না, আপনার রবের শপথ! তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের ঝগড়া-বিবাদের বিচারের ভার আপনার ওপর অর্পণ না করে, অতঃপর আপনার মীমাংসা সম্পর্কে তাদের মনে কোনো দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেয়।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]

৭- আল্লাহ তা‘আলা ও তার রাসূলের আনুগত্য না করলে ফিতনা ও শাস্তি অবতীর্ণ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। সূরা নূরে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَلۡيَحۡذَرِ ٱلَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنۡ أَمۡرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمۡ فِتۡنَةٌ أَوۡ يُصِيبَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴾ [النور: ٦٣]

“কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপদ বা বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬৩]

মহান আল্লাহর অবাধ্যতায় মগ্ন হবার সময় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, আল্লাহর একটি মাত্র আদেশের অবাধ্যতা করে ইবলিশ শয়তান জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।

৮- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের প্রতি বিরাগভাজন হওয়া দীন থেকে বের হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে আমার আদর্শের প্রতি বিরাগভাজন হয় সে আমার দলভুক্ত নয়”।[1]

৯- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যা আদর্শ নয় তা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। সহীহ মুসলিমে রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ»

“যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা নির্দেশ দেই নি, তা প্রত্যাখ্যাত।”[2]

দাড়ি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ। আদেশ, আমল এবং স্বীকৃতি ইত্যাদি সর্বোতভাবে তিনি বলেছেন দাড়ি বড় করার কথা, সেহেতু এটা কামিয়ে ফেলা তাঁর সম্মানিত আদর্শ তথা জীবনাচরণের প্রতি চরম অবমাননা।

১০- শুভ্র দাড়ির ব্যাপারে যত্নবান হতেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন। আমর ইবন শু‘আইব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لَا تَنْتِفُوا الشَّيْبَ، فَإِنَّهُ نُورُ الْمُسْلِمِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».

“বার্ধক্যে (সাদা চুলকে) উপড়ে ফেলো না। কেননা তা কিয়ামতের দিন মুসলিমের জন্য আলোকবর্তিকা হবে”।[3]

১১- দাড়ি রাখা অপছন্দ করা আর মোচ রাখা পছন্দ করার অর্থ সে রাসূলের দলভুক্ত লোক নয়। কারণ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার সুন্নাহ বা আদর্শকে অপছন্দ করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।[4]

শাইখ ইবন বায রহ. বলেছেন, মোচ কাটাও ওয়াজিব। মোচ ভালো করে কেটে নেওয়া উত্তম। এর অর্থ মোচ শেভ করা নয়। লম্বা, ঘন মোচ রাখা নাজায়েয ও গোনাহের কাজ, এটা করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা ও কাজের বিরোধিতা করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে মোচ কাটতে বলা হয়েছে, কামিয়ে ফেলতে বলা হয় নি।

১২- মোচ না কাটার ব্যাপারে কঠিন সাবধানবাণী এসেছে। সুনান নাসাঈতে সহীহ সনদে রয়েছে, সাহাবী যাইদ ইবনুল আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا»

“যে মোচ ছোট করে ছাটে না, সে আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নয়”।[5]

১৩- দাড়ি না রাখা অগ্নি উপাসকদের আদর্শ। ইমাম ইবন জারীর তাবারী রাদিয়াল্লাহু আনহু যায়েদ ইবন আবী হাবীব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে, ইয়েমেনের শাসকের পক্ষ থেকে দু’জন লোক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এল। তাদের দাড়ি মুণ্ডানো ছিল এবং মোচ লম্বা ছিল। তাদের চেহারার দিকে তাকাতেও আল্লাহর রাসূলের কষ্ট হচ্ছিল। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমাদের মরণ হোক! এ কাজ করতে কে তোমাদেরকে বলেছে? তারা বলল, আমাদের প্রভু (কিসরা) আমাদেরকে আদেশ করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

«وَلَكِنَّ رَبِّي أَمَرَنِي بِإِعْفَاءِ لِحْيَتِي وَقَصِّ شَارِبِي»

“কিন্তু আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন, দাড়ি লম্বা রাখার ও মোচ খাটো করার”।[6]

এখানে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার

দাড়ির বিধানটি শরীয়তের একটি মৌলিক ও সকলের পালনীয় বিধান। একে নিছক আরবীয় রীতি বা বিশেষ স্থান-কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করা মারাত্মক ভ্রান্তি।

১৪- অনেকে দাড়িকে অপছন্দ করে বা দাড়ি নিয়ে মজাক-মশকারী করে এটা কুফুরী কাজ। এটা দ্বারা তাদের দীন নষ্ট করে ফেলে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَرِهُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأَحۡبَطَ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٩﴾ [محمد: ٩]

“এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তারা তা অপছন্দ করেছে। কাজেই তিনি তাদের আমলসমূহ নিষ্ফল করে দিয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৯]

১৫- দাড়ি নিয়ে মশকারী করা মুনাফিকদের কাজ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ ٦٦﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]

“আর আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা অবশ্যই বলবে, ‘আমরা তো আলাপ- আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম।’ বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে বিদ্রূপ করছিলে?’ ‘তোমরা ওযর পেশ করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরী করেছ।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫ -৬৬]

দাড়ি মুসলিম জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বকীয়তার প্রতিক:

পৃথিবীর প্রত্যেকটি জাতি বা গোষ্ঠির মধ্যে কিছু স্বাতন্ত্রবোধ বা স্বকীয়তা রয়েছে যা তাদের একান্ত নিজস্ব ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে। যেমন আমেরিকাতে ইয়াহূদীদের চিনতে কোনো অসুবিধা হয় না। দাড়ি, দু’দিকে ছোট বেনী বিশিষ্ট জুলফি, কালো লম্বা পোষাক, মাথার তালুতে ছোট টুপি ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের অন্য জাতি থেকে আলাদা করা যায়। ইয়াহূদীরা তাদের এই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো প্রকার হীনমন্যতায় ভোগে না। বরং এসবকে তারা তাদের গর্ব ও আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ধারণ করে। স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বল্প কিছু ইয়াহূদী সমগ্র আমেরিকার অর্থনীতি ও রাজনীতিকে প্রচ্ছন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। ইয়াহূদী লবিকে সমীহ না করে আমেরিকায় কোনো সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে না।

ভারতের শিখজাতি সারা পৃথিবীতে তাদের পৃথক বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। সকল শিখ তাদের ধর্মগুরু নানকের নির্দেশকে শিরোধার্য করে দাড়িমন্ডিত থাকেন এবং বিশেষ এক ধরণের পাগড়ি ব্যাবহার করেন। পাগড়ী ও দাড়ি গোঁফের জন্য তারা বিব্রতবোধ করেন না বরং তাদের এসব ধর্মীয় এতিহ্য তাঁরা সর্বাবস্থায় ধারণ করেন। যে কারণে খেলার মাঠ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সকল স্থানে তাদের একই রূপ দৃষ্টিগোচর হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ শিখদেরকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ ব্যবহার করাতে কিংবা ক্লিন শেভড থাকতে বাধ্য করতে পারে নি। শিখরা তাদের ধর্মীয় চেতনা ও চিহ্নসমূহ ধারণ করেই গর্বের সাথে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে প্রশংসিত অবদান রেখে যাচ্ছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা যারা মুসলিম তারা ইসলামী ঐতিহ্য নিয়ে প্রচণ্ড হীনমন্যতায় ভুগি। দাড়ি, টুপি, টাখনুর উপর পোষাক পরিধান আমাদের ইসলামী ঐতিহ্যের নিশান বা “শি‘আর” হলেও আমরা তা পালন করতে দ্বিধাবোধ করি এবং এসব পালনের ব্যাপারে নানা অজুহাতের অবতারনা করি।

[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৩৬; সহীহ আল বুখারী; মুসনাদে আহমদ; সুনানে নাসাঈ।

[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৮।

[3] তিরমিযী, আবূ দাঊদ, রিয়াদুস সালেহীন।

[4] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৬৭৫।

[5] তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৬১, হাদীসটি হাসান ও সহীহ। আলবানী তার সহীহ আল জামে‘ এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আরও রয়েছে: মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৭৩৮।

[6] আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া (৪/২৭০) দারুল ফিকর সংস্করণ।