জানাযা দর্পণ অসিয়তনামা আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, অসসালা-তু অসসালামু আলা রাসূলিহিল কারীম। আমি------আল্লাহ তার রসূল ও পরকালে বিশ্বাস রেখে সজ্ঞান ও সুস্থ মস্তিষ্কে আমার ওয়ারেসীনদেরকে সেই অসিয়ত করে যাচ্ছি; যা ইব্রাহীম ও ও ইয়াকুব (আঃ) তাদের পুত্রগণকে করেছিলেন, “হে পুত্রগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীন (ইসলাম)কে মনোনীত করেছেন। সুতরাং আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) না হয়ে তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করো না।” (সুরা বাক্বারাহ ১৩২ আয়াত) আর যা রসূল (ﷺ) তাঁর উম্মতকে করেছিলেন, “তোমরা নামাযে যত্নবান হও।”

অতঃপর তারা যেন সদা আল্লাহর ভয় রাখে, আপোসে সমিলে ও সদ্ভাবে বসবাস করে, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করে এবং সেই কাজ করে, যাতে আমার ও তাদের সকলের জন্য ইহ-পরকালে কল্যাণকর।

আমার মৃত্যুর পর আমার শোকে যেন কেউ মাতম করে কান্না না করে। জানাযার ব্যাপারে সকল বিদআত থেকে দুরে থাকে এবং সুন্নতী তরীকায় আমার শেষক্রিয়া সম্পাদন করে। আমি শরীয়তের পরিপন্থী প্রত্যেক কর্ম ও কথা থেকে সম্পর্কহীন। আমার সম্পত্তি বা টাকার এত পরিমাণ অমুক মসজিদ, মাদ্রাসা বা ব্যক্তিকে উইল করে যাচ্ছি। এই আমার অসিয়ত। “সুতরাং যে এ (অসিয়ত) শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করবে, তবে তার পাপ তাদের উপরেই বর্তাবে যারা তাতে পরিবর্তন করবে।” (সুরা বাকারাহ ১৮১ আয়াত) আর আল্লাহর নিকট সকলের জন্য সৎকর্মের তওফীক এবং শুভমরণ কামনা করি। অস্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ, অআলা আ-লিহি অসাহবিহী আজমাঈন।

ইতি-

তারীখঃ ----------- (স্বাক্ষর) ---------

সাক্ষীঃ (১) -------- সাক্ষী (2) --------

প্রস্তুতিস্বরূপ রোগী তার নখ কেটে, বগল ও নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করে রাখবে। মরণ আসন্ন বুঝে খুবাইব (রাঃ) এরূপ করেছিলেন। (বুখারী ৩৯৮৯, আবুদাউদ ২৬৬০নং)

রোগী তার মরণের সময় একান্ত নিকটবর্তী বুঝতে পারলে আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর অনুকরণে নিম্নের দুআ করবে।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِالأَعْلَى

উচ্চারণ, আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অআলহিক্বনী বিররাফীক্বীল আ’লা।

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর এবং সুমহান বন্ধুর সাথে। মিলিত কর। (বুখারী ৪০৮৬ক, মুসলিম ৪৪৭ ৪ছু তিরমী ৩৪ ৮ক, ইবনে মাজাহ ১৬০৮ ক)

“জীবন বলিছে মাটির মায়ায় আবার আসিব ফিরে,

বলিছে মরণ নিয়ে যাব তোরে মরণ-সাগর তীরে।”