১। (استغفر الله) আস্তাগফিরুল্লাহ, (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি) ৩ বার।

২।

اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিনকাস সালা-মু তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি অল ইকরাম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১৪১৪)

৩। তসবীহ ও তাহলীল’ পরিচ্ছেদের ১নং দুআ।

৪।

اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা লা মানিয়া লিমা আ’ত্বাই, অলা মু’ত্বিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী ১/২৫৫, মুসলিম ১৮৪১৪)।

৫। তসবীহ ও তাহলীল’ পরিচ্ছেদের ৮নং দুআ।

৬।

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النَّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدَّينَ وَلوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না'বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি'মাতু অলাহুল ফায্বলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুখলিস্বীনা লাহুদ্দীনা অলাউ কারিহাল কাফিরূন।

অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না, তারই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তারই যাবতীয় সুপ্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে। তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফেরদল তা অপছন্দ করে। (মুঃ ১৪১৫)

৭। (سبحان الله) সুবহা-নাল্লাহ। অর্থাৎ, আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। ৩৩ বার। (الحمد لله) আলহামদু লিল্লা-হ। অর্থাৎ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর নিমিত্তে। ৩৩ বার। (الله اكبر) আল্লা-হু আকবার। অর্থাৎ আল্লাহ সর্বমহান। ৩৩ বার। আর ১০০ পূরণ করার জন্য তসবীহ তাহলীল’ অনুচ্ছেদের প্রথম দুআ একবার পঠনীয়। এগুলি পাঠ করলে সমুদ্রের ফেনা বরাবর পাপ হলেও মাফ হয়ে যায়। (মুঃ ১/৪১৮, আহমদ ২/৩৭ ১)

প্রকাশ যে, তসবীহ গণনায় বাম হাত বা তসবীহ মালা ব্যবহার না করে কেবল ডান হাত ব্যবহার করাই বিধেয়। (সহীহুল জামে’ ৪৮-৬৫নং)

৮। সূরা ইখলাস,ফালাক ও নাস ১ বার করে। (আবু দাউদ ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১৮, নাসাঈ ৩/৬৮)।

৯। আয়াতুল কুরসী ১বার। প্রত্যেক নামাযের পর এই আয়াত পাঠ করলে মৃত্যু ছাড়া জান্নাত যাওয়ার পথে পাঠকারীর জন্য আর কোন বাধা থাকে না। (সঃ জামে ৫/৩৩৯, সিঃ সহীহাহ ৯৭২)

১০।

لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ لَهُ المُلْكُ ولَهُ الحمْدُ يُحْييْ وَيُمِيْتُ وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু য়্যুহয়ী অ য়্যুমীতু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তারই, তিনি জীবিত করেন, তিনিই মরণ দান করেন এবং তিনি সর্বোপরি শক্তিমান।

এটি ফজর ও মাগরিবের নামাযে সালাম ফিরার পর দশবার পড়লে দশটি নেকী লাভ হবে, দশটি গোনাহ ঝরবে, দশটি মর্যাদা বাড়বে, চারটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব লাভ হবে এবং শয়তান থেকে নিরাপদে থাকবে। (সহীহ তারগীব ২৬২ ২৬৩ পৃঃ)।

১১।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না-ফিআঁউ অ রিযক্কান তাইয়িবাউ অ আমালাম মুতাক্বাব্বালা।

অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ফলদায়ক শিক্ষা, হালাল জীবিকা এবং গ্রহণযােগ্য আমল প্রার্থনা করছি।

ফজরের নামাযের পর এটি পঠনীয়। (সহীহ ইবনে মাজাহ ১/১৫২, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১১১)

১২।

اللَّهُمَّ قِنِى عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ

উচ্চারণঃ-আল্লা-হুম্মা কিনী আযা-বাকা ইয়াওমাতাবআসু ইবা-দাক।

অর্থঃ হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম)

১৩।

لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ لَهُ المُلْكُ ولَهُ الحمْدُ يُحْييْ وَيُمِيْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু য়্যুহয়ী অয়ুমীতু বিয়াদিহিল খাইরু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থঃ আল্লাহ ভিন্ন কেউ সত্য মাবুদ নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। তারই জন্য সারা রাজত্ব এবং তারই নিমিত্তে সকল প্রশংসা। তিনিই জীবন দান করেন ও তিনিই মরণ দেন। তার হাতেই সকল মঙ্গল। আর তিনি সর্বোপরি ক্ষমতাবান।

এটি ফজরের নামাযের পর পা ঘুরিয়ে বসার পূর্বে ১০০ বার পড়লে পৃথিবীর মধ্যে ঐ দিনে সেই ব্যক্তিই অধিক উত্তম আমলকারী বলে গণ্য হবে। (সহীহ তারগীব ২৬২-২৬৩ পৃঃ)