২৯১. নামাযে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে থুতু ফেলা

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) একদা ক্বিব্লার দিকে তথা তাঁর সামনের দেয়ালেই কিছুটা থুতু দেখতে পান। তখন তিনি তা অতি দ্রুত মুছে ফেলে নিজ সাহাবাগণকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلَا يَبْصُقُ قِبَلَ وَجْهِهِ فَإِنَّ اللَّهَ قِبَلَ وَجْهِهِ إِذَا صَلَّى

‘‘তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে সে যেন তার সামনের দিকে থুতু না ফেলে। কারণ, আল্লাহ্ তা’আলা তার সামনেই থাকেন যখন সে নামায পড়ে’’।[1]

তবে নামাযরত অবস্থায় অগত্যা কারোর বেশি থুতু আসলে সে যেন তার বাঁ দিকে কিংবা পায়ের নিচে থুতু ফেলে অথবা কোন রুমালে ফেলে উক্ত রুমালের এক পার্শ্ব দিয়ে অন্য পার্শ্ব ঘষে তাতে পুরাপুরি মিশিয়ে দেয়।

আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) একদা ক্বিব্লার দিকে কিছুটা কফ দেখে তিনি খুবই মর্মাহত হোন। যা তাঁর চেহারায় অতি দ্রুত পরিস্ফুট হয়। তখন তিনি তা নিজ হাতে মুছে ফেলে বললেন:

إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ، أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَلَا يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ، ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ: أَوْ يَفْعَلُ هَكَذَا

‘‘নিশ্চয়ই যখন তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ায় তখন সে তার প্রভুর সাথে বিশেষ সাক্ষাৎ দেয় কিংবা তার প্রভু তার মাঝে ও ক্বিব্লার মাঝে অবস্থান করেন। অতএব তোমাদের কেউ যেন তার ক্বিব্লার দিকে থুতু না ফেলে। বরং সে যেন তার বাঁ দিকে কিংবা পায়ের নিচে থুতু ফেলে। অতঃপর রাসূল (সা.) তাঁর চাদরের এক পার্শ্ব হাতে নিয়ে তাতে থুতু ফেলেন। এরপর উক্ত চাদরের একাংশ অন্যাংশের উপর চেপে দেন এবং বলেনঃ অথবা এভাবে থুতু চাদরে মিশে ফেলবে’’।[2]নামাযরত অবস্থায় নামাযীর বাঁ দিকে কিংবা পায়ের নিচে থুতু ফেলা ও তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার সুযোগ ছিলো বলেই তখন তা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। কারণ, তখনকার মসজিদগুলোতে কোন কার্পেট বা বিছানা ছিলো না। তবে বর্তমান যুগে যখন মসজিদগুলো কার্পেট সজ্জিত তাই এখন আর সে বিধান পালন করার কোন যুক্তিকতাই নেই। বরং বর্তমান এ টিস্যু পেপারের যুগে হাদীসে বর্ণিত দ্বিতীয় নিয়মই অতি সহজেই পালন করা যেতে পারে।

>
[1] (বুখারী, হাদীস ৪০৬ মুসলিম, হাদীস ৫৪৭)

[2] (বুখারী, হাদীস ৪০৫ মুসলিম, হাদীস ৫৫১)