৮৩. জায়গা-জমিন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এমনভাবে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া যাতে করে নিজ ওয়াজিব কাজে অমনোযোগ সৃষ্টি হয়

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لاَ تَتَّخِذُوْا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوْا فِيْ الدُّنْيَا

‘‘তোমরা জায়গা-জমিন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পেছনে এমনভাবে পড়ে যেও না যাতে করে তোমরা একদা দুনিয়াদার হয়ে যাও’’।[1]

আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

وَيْلٌ لِلْمُكْثِرِيْنَ ؛ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ، أَرْبَعٌ : عَنْ يَمِيْنِهِ ، وَعَنْ شِمَالِهِ ، وَمِنْ قُدَّامِهِ ، وَمِنْ وَرَائِهِ

‘‘চরম দুর্ভোগ অধিক সম্পদ সঞ্চয়কারীদের জন্য। তবে যারা ডানে, বাঁয়ে, সামনে, পেছনে তথা চতুর্দিকে দান করেছে তারা নয়’’।[2]

আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

الْأَكْثَرُوْنَ هُمُ الْأَسْفَلُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ؛ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالـْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا ، وَكَسَبَهُ مِنْ طَيِّبٍ

‘‘বেশি সম্পদশালীরা কিয়ামতের দিন নিচু হয়ে থাকবে। তবে যারা ডানে, বাঁয়ে সাদাকা করেছে এবং পবিত্র মাল সঞ্চয় করেছে তারা নয়’’।[3]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

تَعِسَ عَبْدُ الدِّيْنَارِ وَعَبْدُ الدِّرْهَمِ ، وَعَبْدُ الْخَمِيْصَةِ ، إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ ، وَإِنْ لَمْ يُعْطَ سَخِطَ ، تَعِسَ وَانْتَكَسَ ، وَإِذَا شِيْكَ فَلاَ انْتَقَشَ

‘‘ধ্বংস হোক দীনার ও দিরহামের গোলাম! ধ্বংস হোক পোশাক-পরিচ্ছদের গোলাম! তাকে কিছু দিলে খুশি। না দিলে বেজার। ধ্বংস হোক! কখনো সে সফলকাম না হোক! সমস্যায় পড়লে সমস্যা থেকে উদ্ধার না হোক! (কাঁটা বিঁধলে না খুলুক)’’।[4]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

مَا أُحِبُّ أَنَّ أُحُدًا عِنْدِيْ ذَهَبًا ؛ فَتَأْتِيَ عَلَيَّ ثَالِثَةٌ وَعِنْدِيْ مِنْهُ شَيْءٌ ؛ إِلاَّ شَيْءٌ أَرْصُدُهُ فِيْ قَضَاءِ دَيْنٍ

‘‘আমি পছন্দ করি না যে, উ’হুদ পাহাড় আমার জন্য স্বর্ণ হয়ে যাবে; অথচ আমার উপর তিনটি রাত অতিবাহিত হবে। আর আমি ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা ছাড়া কোন কিছু আমার নিকট রেখে দিয়েছি’’।[5]

>
[1] (আস্-সিল্সিলাতুস্-স্বা’হী’হাহ্, হাদীস ১২)

[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৪)

[3] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৫)

[4] (বুখারী, হাদীস ২৮৮৬, ২৮৮৭ বায়হাক্বী : ৯/১৫৯, ১০/২৪৫)

[5] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪২০৭)