পলীয়গণ যীশুর অলৌকিক কর্মগুলোকে তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা বা ঈশ্বরত্বের প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন। যেমন, পিতা ব্যতিরেকে জন্ম ও মৃতকে জীবিত করা। বাইবেলের আলোকে এগুলি অলৌকিক ক্ষমতা বা ঈশ্বরত্বের প্রমাণ নয়। আদম পিতামাতা ব্যতিরেকে জন্মগ্রহণ করেন। ইবরাহীম (আঃ)-এর সমসাময়িক যাজক মল্কীষেদক (Melchisedec) পিতামাতা ব্যতিরেকেই জন্ম গ্রহণ করেন (ইব্রীয় ৭/১-৩)। মৃতকে জীবিত করাও যীশুর কোনো বিশেষত্ব নয়। ইঞ্জিলের বর্ণনানুসারে যীশু মাত্র তিন ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন। পক্ষান্তরে যিহিষ্কেল ভাববাদী হাজার হাজার মৃত মানুষকে জীবিত করেন (যিহিষ্কেল ৩৭/১-১৪)। মৃতকে জীবিত করা যদি ঈশ্বরত্বের প্রমাণ হয় তবে যিহিষ্কেল ভাববাদীই ঈশ্বর হওয়ার অধিকতর যোগ্যতা রাখেন। এছাড়া এলিয় (Elijah) একটি মৃত শিশুকে পুনর্জীবিত করেন (১ রাজাবলি ১৭/১৭-২৪)। ইলীশায় (Elisha) একজন মৃত বালককে পুনর্জীবিত করেন (২ রাজাবলি ৪/৮-৩৭)। ইলীশায় কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য করেন (২ রাজাবলির ৫/১-১৪)। মূসার (আঃ) অলৌকিক কার্যাদি প্রসিদ্ধ। অলৌকিক কার্য ঈশ্বরত্বের প্রমাণ হলে এরা সকলেই ঈশ্বর বলে গণ্য হতেন।