ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, পৃথক পৃথক রাখলে কোনো ক্ষতি নেই। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘অন্যদিনে এর সংখ্যা পূর্ণ করবে’। সা‘ঈদ ইবন মুসায়্যাব রহ. বলেছেন, রমযানের কাযা আদায় না করে যিলহজ মাসের প্রথম দশকে সাওম পালন করা উচিত নয়। ইবরাহীম নাখ‘ঈ রহ. বলেন, অবহেলার কারণে যদি রমযান এসে যায় তাহলে উভয় রমযানের সাওম এক সাথে আদায় করবে। মিসকীন খাওয়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন না। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত একটি মুরসাল হাদীসে এবং ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, সে খাওয়াবে অথচ আল্লাহ তা‘আলা খাওয়ানোর কথাটি উল্লেখ করেন নি; বরং তিনি বলেছেন ‘অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে’।

আবু সালামা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,

«كَانَ يَكُونُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلَّا فِي شَعْبَانَ، قَالَ يَحْيَى: الشُّغْلُ مِنَ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

“আমার ওপর রমযানের যে কাযা থেকে যেতো তা পরবর্তী শা‘বান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যস্ততার কারণে কিংবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে।”[1]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৫০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৪৬।