সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كُنْتُ أَتَسَحَّرُ فِي أَهْلِي، ثُمَّ تَكُونُ سُرْعَتِي أَنْ أُدْرِكَ السُّجُودَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

“আমি আমার পরিবার-পরিজনের মধ্যে সাহরী খেতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাতে শরীক হওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি করতাম”।[1]

যির রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«قُلْنَا لِحُذَيْفَةَ: أَيَّ سَاعَةٍ تَسَحَّرْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «هُوَ النَّهَارُ إِلَّا أَنَّ الشَّمْسَ لَمْ تَطْلُعْ»

“আমরা হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আপনি কখন সাহরী খেতেন? তিনি বললেন, খুব ভোরেই। তবে হ্যাঁ, তখনো সূর্য উদয় হত না (ভোর রাত্রের শেষের দিকে)।”[2]

‘আদী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যির ইবন হুবাইস রহ.কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন যে,

«تَسَحَّرْتُ مَعَ حُذَيْفَةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الصَّلَاةِ، فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمَسْجِدَ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ، وَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا إِلَّا هُنَيْهَةٌ»

“আমি হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সাথে সাহরী খেলাম। অতঃপর সালাত আদায় করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা মসজিদে পৌছে দু’রাকা‘আত সালাত আদায় করলাম (ফজরের সুন্নাত)। তখনই (জামা‘আতের) ইকামাত বলা হলো। উভয়ের মাঝখানে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ সময়ের ব্যবধান ছিল।”[3]

মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক রহ. বর্ণনায় এসেছে যে,

«فَشَرِبْتُ، وَالْمُؤَذِّنُ يُؤَذِّنُ فِي الْمَسْجِدِ قَالَ: «فَلَمَّا دَخَلْنَا الْمَسْجِدَ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، وَهُمْ يَغْلِسُونَ»

“আমি পানি পান করছিলাম, তখন মসজিদে মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছিল। আমরা যখন মসজিদে প্রবেশ করলাম তখন সালাতের ইকামত দেওয়া হলো, লোকজন তখন অন্ধকারে সালাত আদায় করছিল”।[4]

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯১৯।

[2] নাসায়ী, হাদীস নং ২১৫২, ইবন মাজাহ, ১৬৯৫। আলবনী রহ. বলেছেন, হাদীসটি হাসান। এ হাদীসের ব্যাখায় পরের হাদীস দ্বারা করা হয়েছে।

[3] নাসায়ী, হাদীস নং ২১৫৩, আলবনী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।

[4] মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক, ৭৬০৬।