কোনো ইমাম সাহেব যদি ধূমপান কিংবা দাঁড়ি মুণ্ডন করেন অথবা যে কোনো প্রকাশ্য গুনাহ করেন তখন তাঁকে অবশ্যই এ ব্যাপারে নসীহত করতে হবে। যদি তিনি উক্ত নসীহত গ্রহণ করেন তাহলে তো ভালোই। আর যদি তিনি উক্ত নসীহত গ্রহণ না করেন তাহলে সম্ভব হলে তথা ফিতনার কোনো ভয় না থাকলে তাকে ইমামতি থেকে বাদ দিতে হবে। তা না হলে তাঁর পেছনে সালাত না পড়ে অন্য কোনো নেককার ইমামের পেছনে সালাত পড়বে। যাতে তাঁর শিক্ষা হয়ে যায় এবং তিনি এমন কাজ থেকে বিরত হোন। আর যদি সে এলাকায় তেমন কোনো নেককার ইমাম না থাকে অথবা অন্য কারোর পেছনে সালাত আদায় করতে গেলে ফিতনার ভয় থাকে তা হলে তাঁর পেছনেই সালাত পড়বে। তখন শরী‘আতের সূত্র অনুযায়ী দু’টি ক্ষতির কমটিই গ্রহণ করতে হবে। যেমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ও অন্যান্য সালফে সালিহীনগণ সে যুগের হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের পেছনেই সালাত পড়েছেন অথচ সেই ছিলো তখনকার যুগের সব চাইতে বড়ো যালিম। আর তা ছিলো কেবল ফিতনা ও মহা দ্বন্দ্বের ভয়ে এবং মানুষের মধ্যকার সেই পূর্বের ঐক্যটুকু টেকানোর জন্যে।