এ গবেষণার পরিশিষ্টে এসে এবার আমরা যা জানলাম তা বাস্তবে নিয়ে আসা ও তার উপর যথাযথ আমল করার ব্যাপারে মনোনিবেশ করি। এখানে আমল দ্বারা উদ্দেশ্য সে আমল নয়, যার উপকারিতা শুধু ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকে, এটাও একটা উদ্দেশ্য সন্দেহ নেই, তবে আমাদের উদ্দেশ্য সে আমল, যার দ্বারা ব্যক্তির সাথে মুসলিম উম্মতও উপকৃত হয়।

আমরা আমাদের ও অধীনদের ক্ষেত্রে বাস্তব বিশ্বাসে বিশ্বাসী হব ও তার উপর আমল করব। এতেই ক্ষান্ত হব না, বরং মানুষদেরকে আহ্বান করব ও ইসলামের হাকিকত সম্পর্কে বুঝাব। কিভাবে আমাদের শত্রুরা ভেতরে-বাইরে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে সেগুলো সম্পর্কে সতর্ক করব। মুসলিম উম্মাহ বর্তমান কি পরিমাণ দুর্দশায় ভোগছে তাও তুলে ধরব তাদের সামনে। কোনো কষ্ট, বাঁধা ও বিরোধিতা আমাদেরকে এ দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবে না। যদিও ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারী ও তার দোসররা আমাদেরকে কোণঠাসা করে কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, আমরা তার থেকে পিছপা হব না কখনো।

অবশ্যই আমাদেরকে দ্বীনের স্বার্থে দ্বীন মোতাবেক কাজ করতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূলের পছন্দনীয় আকিদা, কথা ও কর্মের উপর মানুষদের উঠাতে হবে, প্রয়োজনে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, যেন ফিতনা দূরীভূত হয় ও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।

আমার মনে হয় না, মুসলিমদের করণীয় সম্পর্কে আমি যথাযথ আলোচনা করতে পেরেছি, তবে এ গ্রন্থ একটি স্মারক হিসেবে কাজ করবে সন্দেহ নেই, যার দ্বারা আল্লাহ আমাদেরকে উপকৃত করবেন, হে আল্লাহ তুমি কবুল কর।

লেখক

৩-রবিউল আউয়াল, ১৪১১হি. রবিবার রাতে এ লেখা শেষ করলাম। শুরু-শেষে প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই।