৪. ৮. রমযান মাসে কিয়ামুল লাইল বা রাত জেগে নফল ইবাদত

রমযান মাস আল্লাহর মুবারক মাস, গোটা মাসটিই আল্লাহর নৈকট্য লাভের ক্ষেত্র; কারণ, তার দিনের বেলায় হলো সাওম পালন এবং রাতের বেলায় হলো নফল ইবাদত; আর ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস, যে রমযান মাস পেল, অথচ তার গুনাহ মাফ হলো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় এ মাসে রাত জেগে নফল ইবাদত করার জন্য উৎসাহিত করেছেন; কেননা, তিনি বলেছেন:

« مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হয়।”[1] তিনি আরও বলেন:

« مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ » . ( رواه البخاري و مسلم ) .

“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় কদরের রজনীতে ইবাদতের মধ্য দিয়ে রাত্রি জাগরণ করবে, তার অতীতের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে।”[2]

[1] বুখারী, হাদিস নং- ৩৭ ও ১৯০৫; মুসলিম, হাদিস নং- ১৮১৫; ইমাম বুখারী, মুসলিম রহ. ও অন্যান্য মুহাদ্দিস প্রমুখ হাদিসটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।

[2] বুখারী, হাদিস নং- ৩৫; মুসলিম, হাদিস নং- ১৮১৮ এবং তাঁরা উভয়ে হাদিসটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।