আপনি তখনই একজন প্রিয় স্বামী হবেন যখন আপনার স্ত্রীকে সন্তানদের লালন পালনের কাজে সহযোগিতা করবেন। আপনি সারা রাত নাক ডেকে ঘুমাবেন আর আপনার স্ত্রী একটু পর পর বাচ্চার ভিজা কাপড় পাল্টাবে, এভাবে হলে আপনার স্ত্রী আপনাকে একজন স্বার্থপর ভাববেন। আপনিও তার কাজে যতটুকু পারেন সহযোগিতা করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাচ্চাদেরকে খুব ভালোবাসতেন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ" مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَرْحَمُ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি বলেন, “পরিবার পরিজনের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত এত দয়াবান কাউকে দেখিনি”। [1]

বুখারি ও মুসলিমে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমি নামায শুরু করে লম্বা করতে চাই, তবে শিশুর কান্না শুনে হালকা করে শেষ করি, কারণ আমি মায়ের কষ্টের তীব্রতা জানি”।

বাচ্চাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তাদেরকে আদর করতেন এবং ভালো বাসতেন এর আরও প্রমাণ হল,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُؤْتَى بِأَوَّلِ الثَّمَرِ، فَيَقُولُ: «اللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا، وَفِي ثِمَارِنَا، وَفِي مُدِّنَا، وَفِي صَاعِنَا بَرَكَةً مَعَ بَرَكَةٍ»، ثُمَّ يُعْطِيهِ أَصْغَرَ مَنْ يَحْضُرُهُ مِنَ الْوِلْدَانِ

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “মৌসুমের প্রথম ফল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেওয়া হত। তিনি তখন বলতেন, হে আল্লাহ! আমাদের মদীনায় আমাদের ফলে (বা উৎপন্ন ফসলে) আমাদের মুদ্দ-এ ও আমাদের সা‘-এ বরকত দান করুন, বরকতের উপর বরকত দান করুন।” অতপর তিনি ফলটি তাঁর নিকট উপস্থিত সবচেয়ে ছোট শিশুকে দিয়ে দিতেন”। [2]

>
[1] সহীহ ইবন হিব্বান: হাদীস নং ৫৯৫০।

[2] মুসলিম, হাদীস নং ১৩৭৩।