যাকাতের চতুর্থ হকদার:

যাদের অন্তর ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা জরুরি, তাদেরকে যাকাত দেওয়া বৈধ। যাদেরকে যাকাত দিলে ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা যাদেরকে যাকাত দিলে ঈমান শক্তিশালী হবে অথবা যাদেরকে যাকাত দিলে মুসলিমদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবে, তাদেরকে যাকাত দেওয়া বৈধ, তারা সবাই এই খাতের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য যে, ইয়াহূদি-খ্রিস্টান ধর্ম থেকে যারা ইসলাম গ্রহণ করবে তারাও এই খাতের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম যুহরি রহ.কে: وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি বললেন: “ইয়াহূদী-খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণকারীগণ। তাকে প্রশ্ন করা হল: যদি তারা ধনী হয়? তিনি বললেন: যদিও ধনী হয়”।[1]

উল্লেখ্য যে, এই খাতের উদ্দেশ্য ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি ও তার মর্যাদা রক্ষা করা। আরেকটি বিষয়, এই খাত থেকে কাকে ও কী পরিমাণ যাকাত দেওয়া হবে সেটি নির্ভর করে খলিফার ওপর, তিনি কখনো এই খাতের প্রয়োজন মনে করতে পারেন, আবার কখনো নাও করতে পারেন। যখন তিনি দেখবেন যে, ইসলামের শক্তি ও সামর্থ্য যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোষামোদ করে কাউকে ইসলামে দাখিল করা বা যাকাত দিয়ে কারও অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা লাভ করার প্রয়োজন নেই।শাইখ আদিল আয্যাযী বলেন: “এই যুগে যারা ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তাদের অন্তর ধাবিত করার জন্য অথবা মুসলিমদের ওপর থেকে অনিষ্ট দূর করার জন্য অথবা সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা ও তাদের দীনকে নিরাপদ রাখার জন্য অথবা এ জাতীয় আরও খাত যাকাতের জন্য খুঁজে বের করা জরুরি। কারণ, শত্রুরা বর্তমান মুসলিমদের ওপর একযুগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

>
[1] ইবন আবি শায়বাহ: (৩/২২৩)