৫৭৪

পরিচ্ছেদঃ যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যের সাথে বসে, একে অন্যকে দেখতে যায়, তাদের জন্য আল্লাহর ভালবাসা অবধারিত হওয়ার বর্ণনা

৫৭৪. আবু ইদরীস আল খাওলানী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি দামেশকের মাসজিদে প্রবেশ করলাম। অতঃপর সেখানে একজন যুবককে দেখতে পেলাম, যাঁর দাঁতগুলো ছিল চকচকে। লোকজন তাঁর সাথে আছেন। যখন তারা কোন বিষয়ে মতানৈক্য করেন, তখন তারা বিষয়টিকে তাঁর দিকে ঠেলে দেন এবং  তাঁর মত অনুসারে আমল করেন। আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলা হলো যে, তিনি মু‘আয বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। এরপর পরের দিন আমি সকাল সকাল মাসজিদে আসলাম। গিয়ে আমি দেখলাম যে, তিনি আমার আগেই এসেছেন। আমি তাঁকে সালাতরত অবস্থায় দেখতে পেলাম।” তিনি বলেন: “আমি তাঁর সালাত সম্পন্ন করা পর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করলাম। অতঃপর আমি সামনের দিক দিয়ে তাঁর কাছে আসলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম এবং বললাম: “আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি।” তিনি বললেন: “আল্লাহর জন্য?” আমি বললাম: “আল্লাহর জন্য।” অতঃপর তিনি আমার চাদরের কিনারা ধরে আমাকে তাঁর দিকে টেনে নিলেন এবং বললেন: “শুভ সংবাদ গ্রহণ করুন। কেননা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেছেন: “আমার ভালবাসা তাদের জন্য অবধারিত হয়ে গেছে, যারা আমার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে, যারা আমার জন্য একে অন্যের সাথে বসে এবং যারা আমার জন্য পরস্পরকে দেখতে যায়।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ اسْمُهُ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ سَيِّدَ قُرَّاءِ أَهْلِ الشَّامِ فِي زَمَانِهِ وَهُوَ الَّذِي أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ مُحَارَبَتَهُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ حِينَ قَالَ لَهُ: مَنْ أَنْتَ حَتَّى تُقَاتِلَ عَلِيًّا وَتُنَازِعُهُ الْخِلَافَةَ وَلَسْتَ أَنْتَ مِثْلَهُ لَسْتَ زَوْجَ فَاطِمَةَ وَلَا بِأَبِي الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَلَا بِابْنِ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَشْفَقَ مُعَاوِيَةُ أَنْ يُفْسِدَ قُلُوبَ قُرَّاءِ الشَّامِ فقَالَ لَهُ: إِنَّمَا أَطْلُبُ دَمَ عُثْمَانَ قَالَ: فَلَيْسَ عَلِيٌّ قَاتِلَهُ قَالَ: لَكِنَّهُ يَمْنَعُ قَاتِلَهُ عَنْ أَنْ يُقتصَّ مِنْهُ قَالَ: اصْبِرْ حَتَّى آتِيَهُ فَأَسْتَخْبِرَهُ الْحَالَ فَأَتَى عَلِيًّا وَسَلَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ: مَنْ قَتَلَ عُثْمَانَ؟ قَالَ: اللَّهُ قَتَلَهُ وَأَنَا مَعَهُ ـ عَنَى: وَأَنَا مَعَهُ مَقْتُولٌ وَقِيلَ: أَرَادَ اللَّهُ قَتْلَهُ وَأَنَا حَارَبْتُهُ فَجَمَعَ جَمَاعَةَ قُرَّاءِ الشام وحثهم على القتال.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আবু ইদরীস আল খাওলানীর নাম ‘আয়িযুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ, তিনি তৎকালীন সময়ে শামের কারীদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর যুদ্ধ করার প্রতিবাদ করেন। তিনি মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন: “আপনি এমন কোন ব্যক্তি যে, আপনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে যুদ্ধ করছেন এবং খিলাফতের জন্য তাঁর সাথে বাদানুবাদ করছেন, অথচ আপনি তাঁর মতো নন, আপনি তো ফাতিমার স্বামী নন, হাসান-হুসাইনের বাবা নন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচাত ভাইও নন?
তখন মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আশংকা করলেন যে, তিনি শামের কারীদের মন খারাপ করে দিবেন। ফলে তিনি তাকে বলেন: “আমি তো কেবল উসমান হত্যার বিচার চাচ্ছি।” তিনি বলেন: “আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তো উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করেননি।” মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “কিন্তু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যাকারীদের থেকে কিসাস গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করছেন।” তখন তিনি বলেন: “আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে অবস্থার কথা জানাবো।” অতঃপর তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে যান এবং তাঁকে সালাম দিয়ে বলেন: “উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কে হত্যা করেছে?” জবাবে তিনি বলেন: “আল্লাহ তাঁকে হত্যা করেছেন আর আমিও তার সাথে।” এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন: “আর আমিও তাঁর সাথে মারা গিয়েছি।” এটাও বলা হয় যে, এর দ্বারা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উদ্দেশ্য ছিল: “আল্লাহ তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছা করেছেন আর আমি তাঁর সাথে (পক্ষে) যুদ্ধ করেছি (বাঁচানোর জন্য)। (কিন্তু আবু ইদরীস আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যের মর্ম বুঝতে পারেননি ফলে) তিনি শামের একদল কারীকে একত্রিত করেন এবং তিনি তাদেরকে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করেন।”

ذِكْرُ إِيجَابِ مَحَبَّةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِلْمُتَجَالِسِينَ فِيهِ وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيهِ

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ فَإِذَا فَتًى برَّاق الثَّنَايَا وَإِذَا النَّاسُ مَعَهُ إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَسْنَدُوهُ إِلَيْهِ وَصَدَرُوا عَنْ رَأْيِهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقِيلَ: هَذَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ هجَّرت فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بِالتَّهْجِيرِ وَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي قَالَ: فَانْتَظَرْتُهُ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ ثُمَّ جِئْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّكَ لِلَّهِ فقَالَ: آللَّهُ؟ قُلْتُ: آللَّهُ فَأَخَذَ بِحَبْوَةِ رِدَائِي فَجَذَبَنِي إِلَيْهِ وَقَالَ: أَبْشِرْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (قال اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فيَّ والمتجالسين فيَّ والمتزاورين فيَّ.)
الراوي : أَبو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 574 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

اخبرنا الحسين بن ادريس الانصاري قال: حدثنا احمد بن ابي بكر عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن ابي ادريس الخولاني انه قال: دخلت مسجد دمشق فاذا فتى براق الثنايا واذا الناس معه اذا اختلفوا في شيء اسندوه اليه وصدروا عن رايه فسالت عنه فقيل: هذا معاذ بن جبل فلما كان الغد هجرت فوجدته قد سبقني بالتهجير ووجدته يصلي قال: فانتظرته حتى قضى صلاته ثم جىته من قبل وجهه فسلمت عليه وقلت: والله اني لاحبك لله فقال: الله؟ قلت: الله فاخذ بحبوة رداىي فجذبني اليه وقال: ابشر فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (قال الله تبارك وتعالى: وجبت محبتي للمتحابين في والمتجالسين في والمتزاورين في.) الراوي : ابو ادريس الخولاني | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 574 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৬. সদাচারণ ও ন্যায়নিষ্ঠতা সংশ্লিষ্ট কিতাব (كِتَابُ الْبِرِّ وَالْإِحْسَانِ)