পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৪০. (সহীহ লি গাইরিহী) হুরাইছ বিন কাবীছা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনা শরীফে আগমণ করে দু’আ করলাম হে আল্লাহ্ আমাকে একজন সৎ সঙ্গী মিলিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)এর নিকট বসলাম। তাঁকে বললামঃ আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করেছি তিনি যেন আমাকে একজন সৎসঙ্গী মিলিয়ে দেন। তাই আপনি আমাকে এমন একটি হাদীছ বর্ণনা করেন যা আপনি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে শুনেছেন। যাতে করে আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে উপকৃত করেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’কিয়ামত দিবসে বান্দার সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেয়া হবে তা হচ্ছে তার নামায। নামায যদি ঠিক হয়, তবে সে বিজয়ী হবে ও মুক্তি পাবে। আর নামায যদি নষ্ট হয়ে যায়, তবে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তার ফরয নামাযে যদি কোন ঘাটতি থাকে তবে আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ তোমরা দেখ আমার বান্দার কোন নফল নামায আছে কি না? তা দ্বারা তার ফরযের ঘাটতিকে পূর্ণ করা হবে। অতঃপর তার অবশিষ্ট আমলের এভাবেই হিসাব নেয়া হবে।’’
(হাদীছটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন ৪১৩)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) و عَنْ حُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ ارزقني جَلِيسًا صَالِحًا قَالَ فَجَلَسْتُ إِلَى أبِيْ هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَنِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ
فَقاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلَاتُهُ فَإِنْ صَلُحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ فَإِنْ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ قَالَ الله تعالى انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمَّلَ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنْ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ رواه الترمذي وغيره وقال حديث حسن غريب