পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৭১. হারিছ হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার পরে অচিরেই আপনার উম্মাত ফিতনায় পতিত হবে। অত:পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, অথবা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তা হতে পরিত্রাণের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “মহা পরাক্রান্ত আল্লাহর কিতাব – কোনো মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না- অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান, প্রশংসনীয় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ। (সুরা ফুসসিলাত: ৪২) আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। আর যে ব্যক্তি শাসন ক্ষমতা লাভ করবে, অত:পর সে এ ব্যতীত অন্যকিছু দ্বারা বিচার-ফায়সালা করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির ও সুস্পষ্ট আলোকবর্তিকা; আর সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ।
এতে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল খবরা-খবর এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদ রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। এটি সুপথে পরিচালিত করে।” সুরা জ্বিন: ১) বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর উপদেশ-শিক্ষা বিস্ময়সমূহ কখনো নষ্ট হবে না এবং এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হবে না।” এরপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হারিছকে বললেন, ’হে আওয়ার, তুমি একে (কুরআনকে) আঁকড়ে ধরো।’[1]
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمَّتَكَ سَتُفْتَتَنُ مِنْ بَعْدِكَ قَالَ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ سُئِلَ مَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ الْكِتَابُ الْعَزِيزُ الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ مَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ وَمَنْ وَلِيَ هَذَا الْأَمْرَ مِنْ جَبَّارٍ فَحَكَمَ بِغَيْرِهِ قَصَمَهُ اللَّهُ هُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ فِيهِ خَبَرُ مَنْ قَبْلَكُمْ وَنَبَأُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ وَهُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ وَهُوَ الَّذِي سَمِعَتْهُ الْجِنُّ فَلَمْ تَتَنَاهَى أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عِبَرُهُ وَلَا تَفْنَى عَجَائِبُهُ ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ لِلْحَارِثِ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুত্তাফাকীহ ১/৫৫, ৫৬; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৫।