পরিচ্ছেদঃ ১০. জিবরীল (আ.) এর ইমামতি
১০১২(২৯). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবু বাকর ইবনে আবু মূসা (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি তার প্রশ্নের কোন উত্তর দিলেন না। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে (আযান দেয়ার) নির্দেশ দেন এবং তিনি ফজর (সুবহে সাদেক) কেবল ফুটে উঠতেই ফজরের নামায পড়েন। তিনি পুনরায় বিলাল (রাঃ)-কে (আযানের) নির্দেশ দেন এবং তিনি এমন সময় যুহরের নামায পড়েন যে, কেউ সন্দেহ করতে পারত যে, সূর্য ঢলেছে কি না। অথচ তিনি তাদের তুলনায় অধিক জ্ঞাত ছিলেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে (আযানের) নির্দেশ দেন এবং তিনি আসরের নামায পড়েন তখন সূর্য অনেক উপরে ছিল। অতঃপর তিনি তাকে (আযানের) নির্দেশ দেন এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই মাগরিবের নামায পড়েন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে (আযানের) নির্দেশ দেন এবং শাফাক অদৃশ্য হলে তিনি এশার নামায পড়েন।
রাবী বলেন, পরদিন তিনি ফজরের নামায এতো বিলম্বে পড়েন যে, কোন ব্যক্তি সন্দেহ করতে পারে যে, হয়ত সূর্য উঠছে বা এখনই উঠবে। অথচ তিনি তাদের তুলনায় অধিক জ্ঞাত। তিনি যুহরের নামায প্রথম দিনের তুলনায় বিলম্বে আসরের নিকটবর্তী সময়ে আদায় করেন। তিনি আসরের নামায এতো বিলম্বে পড়েন যে, কোন ব্যক্তি বলতে পারতো, সূর্য রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর তিনি শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পূর্বে মাগরিবের নামায পড়েন। রাতের প্রথম এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তিনি এশার নামায পড়েন। অতঃপর তিনি বলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? এই দুই সময়সীমার মাঝখানে নামাযের ওয়াক্ত।
بَابُ إِمَامَةِ جِبْرِيلَ
نَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ ، نَا وَكِيعٌ ، ثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى ، عَنْ أَبِيهِ : أَنَّ سَائِلًا أَتَى النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ ؟ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا ، ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا ، فَأَقَامَ الصَّلَاةَ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ ، فَصَلَّى ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الظُّهْرَ ، وَالْقَائِلُ يَقُولُ : قَدْ زَالَتِ الشَّمْسُ أَوْ لَمْ تَزُلْ - وَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ - ثُمَّ أَمَرَهُ ، فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ، وَأَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ ، وَأَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ، قَالَ : وَصَلَّى الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ ، وَالْقَائِلُ يَقُولُ : طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ لَمْ تَطْلُعْ - وَهُوَ أَعْلَمُ مِنْهُمْ - وَصَلَّى الظُّهْرَ قَرِيبًا مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالْأَمْسِ ، وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالْقَائِلُ يَقُولُ : احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ، وَصَلَّى الْعِشَاءَ ثُلُثَ اللَّيْلِ الْأَوَّلَ ، ثُمَّ قَالَ : " أَيْنَ السَّائِلُ ؟ الْوَقْتُ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ