৫১১০

পরিচ্ছেদঃ ২০. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১০-[৭] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’অহংকার আমার চাদর ও শ্রেষ্ঠত্ব আমার লুঙ্গিস্বরূপ’’। অতএব, যে ব্যক্তি এ দু’টোর কোন একটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নেবে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْغَضَبِ وَالْكِبَرِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي فَمَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا أَدْخَلْتُهُ النَّارَ . وَفِي رِوَايَةٍ: «قَذَفْتُهُ فِي النَّارِ» . رَوَاهُ مُسلم

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يقول الله تعالى: الكبرياء رداىي والعظمة ازاري فمن نازعني واحدا منهما ادخلته النار . وفي رواية: «قذفته في النار» . رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ (الْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي وَالْعَظَمَةُ إِزَارِي) উল্লেখিত হাদীসাংশে الْكِبْرِيَاءُ শব্দটি আল্লাহর জাত বা সত্তাগত আর الْعَظَمَةُ শব্দটি আল্লাহর সিফাত বা গুণগত।

رِدَائِي এবং إِزَارِي শব্দ দু’টি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। إِزَارِ এবং رِدَاء তথা লুঙ্গি ও চাদর- এ দু’টি কাপড় মানুষের শরীরে জড়ানো থাকে। এ দু’টি কাপড় হলো কোন মানুষের সৌন্দর্য। অনুরূপভাবে الْكِبْرِيَاءُ ও الْعَظَمَةُ তথা অহংকার ও মহত্ব- এ দু’টি বৈশিষ্ট্য আল্লাহর সাথেই জড়ানো এবং তিনিই এ দু’টোর একমাত্র দাবিদার আর এ দু’টি দ্বারাই তাঁর মর্যাদা এবং সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। কাজেই উল্লেখিত হাদীসে উপমা স্বার্থকরূপেই ফুটে উঠেছে।

(শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৬২০/১৩৬; মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ইবনু মাজাহ ৩য় খন্ড, হাঃ ৪১৭৪)

(فَمَنْ نَازَعَنِي وَاحِدًا مِنْهُمَا) অর্থাৎ কেউ যদি উক্ত দু’টি বৈশিষ্ট্য নিজের ভেতরে প্রকাশ করে এবং আল্লাহর সাথে অংশ সাব্যস্ত করতে চায় তাহলে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। কেননা অহংকার হলো আল্লাহর সত্ত্বাগত বৈশিষ্ট্য (যা আল্লাহর দেহে মনে সম্পৃক্ত) আর মহত্ব ও বড়ত্ব আল্লাহর গুণগত বৈশিষ্ট্য, যে দু’টোর অধিকারী একমাত্র আল্লাহই। এখন কেউ যদি নিজের ভেতরে এ দু’টির চর্চা করে, তাহলে সে আল্লাহর সাথে অংশ সাব্যস্ত করে বিধায় আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)