৩১৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (স্বামী-স্ত্রীর) সহবাস

৩১৯৬-[১৪] আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা তোমাদের সন্তানকে সংগোপনে হত্যা করো না, কেননা ’গীলাহ্’র প্রভাবে আরোহীকে ঘোড়া হতে নিচে ফেলে দেয়। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ سِرًّا فَإِنَّ الْغَيْلَ يُدْرِكُ الْفَارِسَ فيدعثره عَن فرسه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن اسماء بنت يزيد قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «لا تقتلوا اولادكم سرا فان الغيل يدرك الفارس فيدعثره عن فرسه» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: غِيلَةِ ‘গীলাহ’ শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ৩১৯৬ নং হাদীসে অতিবাহিত হয়েছে।

অত্র হাদীসে এ শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দুগ্ধদায়িনী স্ত্রীর সাথে সহবাস করার দরুন স্ত্রী পুনরায় গর্ভবতী হওয়া এবং এই গর্ভাবস্থায় দুগ্ধ দান করা। গর্ভাবস্থায় সন্তানকে দুগ্ধদান করলে তা হয় সন্তানের ক্ষতির কারণ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলেছেন, গর্ভবতী নারীর স্তনের দুধ হলো রোগ বিশেষ। তাই এ দুধ শিশু পান করলে সে রোগাক্রান্ত এবং অপ্রকৃতি স্বভাবের হতে পারে।

ইসলামী ‘আকীদা হলো সবকিছুর প্রকৃত প্রভাবক হলো আল্লাহ তা‘আলা, তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরীক্ষেত বিধান মেনে চলা উচিত। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ২১৬২; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)