পরিচ্ছেদঃ ২৪৪. জুম্মার ফরয সালাতের পর সুন্নাত সালাত
১১৩৩। ’আত্বা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে জুমু’আহর সালাতের পর সালাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি (ইবনু ’উমার) জুমু’আহর (ফারয) সালাত আদায়ের স্থান থেকে বেশী নয় বরং একটু সরে গিয়ে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন। বর্ণনাকারী ’আত্বা বলেন, অতঃপর সেখান থেকে একটু সরে গিয়ে চার রাক’আত সালাত আদায় করতেন। হাদীসের বর্ণনাকারী ইবনু জুরায়িজ বলেন, আমি ’আত্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ইবনু ’উমার (রাঃ) কে কতবার এরূপ করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, কয়েকবার।[1]
সহীহ।
باب الصَّلَاةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ رَأَى ابْنَ عُمَرَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَيَنْمَازُ عَنْ مُصَلَاهُ الَّذِي، صَلَّى فِيهِ الْجُمُعَةَ قَلِيلاً غَيْرَ كَثِيرٍ قَالَ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَالَ ثُمَّ يَمْشِي أَنْفَسَ مِنْ ذَلِكَ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ رَأَيْتَ ابْنَ عُمَرَ يَصْنَعُ ذَلِكَ قَالَ مِرَارًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَلَمْ يُتِمَّهُ .
- صحيح
-
জুমু‘আহ বিষয়ক (১০৪৬-১১৩৩ নং) হাদীসসমূহ হতে শিক্ষাঃ
১। জুমু‘আহ সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন।
২। জুমু‘আহর দিনে বেশি করে দরুদ পাঠ করা উত্তম।
৩। জুমু‘আহর দিনে দু‘আ ক্ববূলের বিশেষ একটি মুহুর্ত রয়েছে।
৪। জুমু‘আহর সালাতে উপস্থিত হলে পরবর্তী জুমু‘আহ সহ আরো তিনদিন অর্থাৎ মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ করা হয়।
৫। বিনা কারণে জুমু‘আহ বর্জন চরম অপরাধ।
৬। অকারণে জুমু‘আহ বর্জন করলে এ জন্য হাদীসে বর্ণিত কাফফারাহ আদায় করতে হবে।
৭। বৃষ্টি ও প্রচন্ড শীতের দিনে জুমু‘আহর জন্য মসজিদে হাজির হওয়ার আদেশ শিথিল করা হয়েছে।
৮। ঈদ ও জুমু‘আহ একই দিনে অনুষ্ঠিত হলে জুমু‘আহয় উপস্থিত হওয়ার আদেশ শিথিল।
৯। জুমু‘আহর দিন ফজরের সালাতে সূরাহ তানযীলুস সিজদা্ ও সূরাহ দাহর তিলাওয়াত করা সুন্নাত।
১০। জুমু‘আহর দিন সালাতের পূর্বে মসজিদে গোল হয়ে বসা নিষেধ।
১১। জুমু‘আহর খুত্ববাহর জন্য মসজিদে মিম্বার রাখতে হয়। মিম্বার হবে কাঠের তৈরি। মিম্বারের সর্বোচ্চ ধাপ হবে তিনটি।
১২। জুমু‘আহর খুত্ববাহ মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে দিবেন।
১৩। এ অবস্থায় খত্বীব ধনুক বা লাঠি জাতীয় কিছুতে ভয় করে দাঁড়াবেন।
১৪। জুমু‘আহর ওয়াক্ত সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পরার পর।
১৫। জুমু‘আহর সুন্নাতী আযান একটি। যা খত্বীব মিম্বারে উঠার পর মুয়াযযিন মসজিদের দরজায় বা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে দিবেন।
১৬। খুত্ববাহ চলাকালে খত্বীব কারো সাথে কথা বলতে পারবেন।
১৭। খুত্ববাহ সংক্ষেপ করবে।
১৮। খুত্ববাহতে সূরাহ ক্বাফ তিলাওয়াত করা সুন্নাত।
১৯। খুত্ববাহর সময় খত্বীব শাহাদাত অঙ্গুলি উঁচু করতে পারবেন। কিন্তু দু’ হাত উঠানো ইত্যাদি অনুচিত।
২০। খুত্ববাহর সময় ইমামের কাছাকাছি বসা উত্তম।
২১। কোন বিশেষ কারণে খুত্ববাহ বিরতী দেয়া বৈধ।
২২। খুত্ববাহর সময় হাঁটু উপরে উঠিয়ে কাপড়ে জড়িয়ে বসা নিষেধ।
২৩। কারো অযু নষ্ট হলে সে স্বীয় নাক চেপে ধরে বাইরে চলে আসবে।
২৪। খুত্ববাহ চলাকালে কেউ মসজিদে এলে সংক্ষেপে দু’ রাক‘আত আদায় করে বসবে।
২৫। খুত্ববাহর সময় কারো তন্দ্রা এলে স্থান পরিবর্তন করা ভাল।
২৬। খুত্ববাহ শেষে মিম্বার থেকে নামার পর খত্বীব কারো সাথে কথা বলা জায়িয।
২৭। কেউ জুমু‘আহর সালাত এক রাক‘আত পেলে তার জামা‘আত পাওয়া গণ্য হবে।
২৮। ইমাম ও মুক্তাদীর মাঝে প্রাচীর থাকলেও ইক্বতিদা হবে।
২৯। জুমু‘আহর সালাতের পর বাড়িয়ে গিয়ে দু’ রাক‘আত সুন্নাত পড়া ভাল।
৩০। খুত্ববাহ অবস্থায় মুসল্লীর কথা বলা, অনর্থক কাজ করা, কারো ঘার টপকিয়ে সামনে যাওয়া ইত্যাদি অপছন্দনীয়।
৩১। জুমু‘আহ সালাতের জন্য বিশেষ ভাল জামা পরা ভাল।
৩২। জুমু‘আহর দিনে আগেভাগে আসা উত্তম ও ফাযীলাতপূর্ণ।
৩৩। জুমু‘আহ প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর ফারয। কিন্তু নারী, শিশু, পাগল ও বৃদ্ধের উপর ফারয নয়।
Narrated Abdullah ibn Umar:
Ibn Jurayj said: Ata' told me that he saw Ibn Umar pray after the Friday prayer. He moved a little from the place where he offered the Friday prayer. Then he would pray two rak'ahs. He then walked far away from that place and would offer four rak'ahs. I asked Ata': How many times did you see Ibn Umar do that? He replied: Many times. AbuDawud said: This has been narrated by AbdulMalik ibn AbuSulayman, but did not narrate it completely.