১৮০৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়

১৮০৪-[১১] ’আত্তাব ইবনু আসীদ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুরের যাকাতের ব্যাপারে বলেছেন, আঙ্গুরের ব্যাপারে এভাবে আন্দাজ অনুমান করতে হবে যেভাবে খেজুরের ব্যাপারে শুকিয়ে গেলে করা হয়। তারপর আঙ্গুর শুকিয়ে গেলে তার যাকাত আদায় করা হবে। যেভাবে খেজুরের যাকাত আদায় করা হয়। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي زَكَاةِ الْكُرُومِ: «إِنَّهَا تُخْرَصُ كَمَا تُخْرَصُ النَّخْلُ ثُمَّ تُؤَدَّى زَكَاتُهُ زَبِيبًا كَمَا تُؤَدَّى زَكَاةُ النَّخْلِ تَمْرًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعن عتاب بن اسيد ان النبي صلى الله عليه وسلم قال في زكاة الكروم: «انها تخرص كما تخرص النخل ثم تودى زكاته زبيبا كما تودى زكاة النخل تمرا» . رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যা: গাছের আঙ্গুর অনুমান করে ঘরের কিসমিস দ্বারা যাকাত আদায় করা জায়িয আছে। যেমন- গাছের খেজুরকে অনুমান করে ঘরের শুকনা খেজুর দ্বারা যাকাত দেয়া জায়িয আছে।

اَلْخَرْصُ (আল খর্‌স) বলা হয় খেজুর গাছের তাজা খেজুর শুকানো খেজুরের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা এবং গাছে থাকা আঙ্গুরকে কিসমিসের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা। আল্লামা সিনদী (রহঃ) বলেছেন, اَلْخَرْصُ (আল খরস) হল গাছে বিদ্যমান তাজা খেজুরকে শুকনো খেজুরের ভিত্তিতে পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং গাছে থাকা আঙ্গুরকে কিসমিসের ভিত্তিতে পরিমাণ নির্ধারণ করা যাতে তার উশরের পরিমাণ জানা যায়। অতঃপর পরিমাণকারী এবং মালিকের মাঝে ছেড়ে দিবে পরে ফল কর্তনের সময় মালিকের থেকে তা গ্রহণ করা হবে।

اَلْخَرْصُ (আল খর্‌স) বা অনুমান করে যাকাত আদায়ের উপকারিতা হল, ফলের মালিকের তা থেকে গ্রহণের প্রশস্ততা দান, তার পাকাগুলো বিক্রি করা, পরিবার, প্রতিবেশী এবং দারিদ্রের অগ্রাধিকার দেয়া। কেননা তাদের এ থেকে বিরত রাখলে তা তাদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে যায়। আল আমির আল ইয়ামানী (রহঃ) বলে, খর্সের উপকারিতা হল, মালিকের খিয়ানাত হতে নিরাপদ হওয়া। খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, খর্‌স বা অনুমানটি হবে সেই সময় যখন ফলের পরিপক্কতা প্রকাশ পাবে খাওয়া এবং ধ্বংস হওয়ার পূর্বেই যাতে তার থেকে সদাক্বার পরিমাণ জানা যায়। ফলে শুকানোর পর সে পরিমাণ শুকনা খেজুর বা কিসমিস আদায় করা যায়।

এই হাদীসটি আঙ্গুর এবং খেজুরের যাকাতের ক্ষেত্রে অনুমানের বৈধতার সুস্পষ্ট দলীল। এর পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ), সাহল বিন আবী হাসমাহ্, মারওয়ান আল ক্বাসিম বিন মুহাম্মাদ, যুহরী সহ আরো অনেক আহলে ‘ইলমগণ।

যদিও ইমাম আবূ হানীফাহ্ এবং তার দুই সাথি اَلْخَرْصُ (আল খর্‌স) এর বিষয়টি বাতিল বলে এর স্বপক্ষের হাদীসগুলো বিভিন্ন যুক্তিতে খন্ডন করার চেষ্টা করেছেন।

তবে অনুমান করে যাকাত আদায়ের পদ্ধতিটি ওয়াজিব, মুস্তাহাব, নাকি জায়িয বা বৈধ এ নিয়ে ‘উলামাদের মতভেদ রয়েছে। জমহূরের মতে তা মুস্তাহাব।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)