১৭২৭

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭২৭-[৬] আবূ মালিক আল আশ্’আরী (রাঃ)বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে জাহিলিয়্যাত যুগের চারটি বিষয় রয়ে গেছে যা তারা ছাড়ছে না, (১) নিজের গুণের গর্ব, (২) কারো বংশের নিন্দা, (৩) গ্রহ-নক্ষত্র যোগে বৃষ্টি চাওয়া এবং (৪) বিলাপ করা। অতঃপর তিনি বলেন, বিলাপকারিণী যদি তার মৃত্যুর পূর্বে তওবা্ না করে, কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তাকে উঠানো হবে- তখন তার গায়ে থাকবে আলকাতরার জামা ও ক্ষতের পিরান। (মুসলিম)[1]

اَلْبُكَاءُ عَلَى الْمَيِّتِ

وَعَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْبَعٌ فِي أُمَّتِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لَا يَتْرُكُونَهُنَّ: الْفَخْرُ فِي الْأَحْسَابِ وَالطَّعْنُ فِي الْأَنْسَابِ وَالِاسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُومِ وَالنِّيَاحَةُ . وَقَالَ: «النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبْلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِرْبَالٌ مِنْ قطران وَدرع من جرب» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي مالك الاشعري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اربع في امتي من امر الجاهلية لا يتركونهن: الفخر في الاحساب والطعن في الانساب والاستسقاء بالنجوم والنياحة . وقال: «الناىحة اذا لم تتب قبل موتها تقام يوم القيامة وعليها سربال من قطران ودرع من جرب» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মধ্যে এমন চারটি বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে, যা জাহিলী যুগের মানুষের মধ্যে প্রচলিত ছিল। যেগুলো অত্যন্ত গর্হিত ও গুনাহের কাজ। আর এ কাজগুলো এ উম্মাতের মধ্যে ব্যাপকহারে প্রচলিত হয়ে গেছে। আর তা হল মানুষের ধন-সম্পদ, বীরত্ব ও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যের কারণে গর্ববোধ করা।

আবার কারো মতে এখানে حسب বলতে এমন সব গুণকে বুঝানো হয়েছে যার কারণে লোকেরা কোন ব্যক্তির প্রশংসা করে। আবার কেউ কেউ বলেন, এখানে حسب দ্বারা কোন ব্যক্তির উন্নত দীনদারিতা ও উত্তম চরিত্রকে বুঝানো হয়েছে। অথবা কোন ব্যক্তির উপর অপর ব্যক্তির মান-মর্যাদাকে বুঝানো হয়েছে।

এখানে দ্বিতীয় যে বিষয়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির বংশীয় মান-মর্যাদা সম্পর্কে দোষ অন্বেষণ করা। একজনের পূর্বপুরুষদের ওপর অপরজনের পূর্ব-পুরুষদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া। এর দ্বারা মূলত গর্ব-অহংকার প্রকাশ করা হয় তাই শারী‘আতে এ ধরনের কাজ করা নিষেধ।

এখানে তৃতীয় যে বিষয়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে তা হল, তারকার কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা। অর্থাৎ তারকাকে বৃষ্টির মাধ্যম মনে করা। যেমন জাহিলী যুগের লোকেরা বলত অমুক তারকা আমাদেরকে বৃষ্টি দিয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তাদের বিশ্বাস ছিল তারকাই বৃষ্টির মালিক। এটা স্পষ্ট কুফরী। তাই এটা পরিত্যাগ করতে হবে।

সর্বশেষ যে বিষয়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে তা হল, মৃত ব্যক্তির কাছে উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করে ক্রন্দন করা। এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)