পরিচ্ছেদঃ ৩৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্তের সালাত
১৩২১-[১৩] মুওয়াররিক্ব আল ’ইজলী (রহঃ) বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি যুহার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেন? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, ’উমার (রাঃ) আদায় করতেন? তিনি বললেন, না। আবার আমি প্রশ্ন করলাম, আবূ বকর (রাঃ) কি আদায় করতেন? তিনি বললেন, না। পুনরায় আমি প্রশ্ন করলাম, তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আদায় করতেন? তিনি বললেন, আমার জানা মতে তিনিও আদায় করতেন না। (বুখারী)[1]
وَعَنْ مُوَرِّقٍ الْعِجْلِيِّ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: تُصَلِّي الضُّحَى؟ قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَعُمَرُ؟ قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَأَبُو بَكْرٍ؟ قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: لَا إخَاله. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের সমর্থনে সহীহুল বুখারীতে ‘উমরাহ্’ অধ্যায়ের প্রথমে অন্যভাবে রয়েছে যে,
عَنْ مُجَاهِد قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا عَبْدُ اللهِ بْنِ عُمَرَ جَالِسٌ إِلى حُجْرَةٍ عَائِشَةَ، وَإِذَا نَاسٌ يُصَلُّوْنَ الضُّحى فَسَأَلْنَاهُ عَنْ صَلَاتِهِمْ، فَقَالَ: بِدْعَةٌ
অর্থাৎ মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং ‘উরওয়াহ্ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ) মসজিদে নাবাবীতে প্রবেশ করলাম, দেখি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হুজরায় বসে আছেন আর লোকজন সালাতুয্ যুহা আদায় করছে, আমরা তাকে তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, (সালাতুয্ যুহা) বিদ্‘আত।
এখানে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসগুলোতে শার‘ঈভাবে প্রতিষ্ঠিত সালাতুয্ যুহা প্রত্যাখ্যান করছে না। কারণ তার নিষেধাজ্ঞাটা তার না দেখার উপর প্রমাণ করছে উক্ত ‘আমলে পতিত না হওয়ার উপর নয়। অথবা তিনি সালাতুয্ যুহার নির্দিষ্ট পদ্ধতি নিষেধ করছেন।
‘আয়ায (রহঃ) ও অন্যান্যগণ বলেছেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার (সালাতুয্ যুহা) আবশ্যকতা, মসজিদে আদায়ের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা এবং জামা‘আতের সাথে আদায় করতে অপছন্দ করতেন। নিশ্চয় তার ঘৃণাটি সুন্নাতের বিরোধী নয় (সালাতুয্ যুহা বিরোধী নয়)। আবার কেউ বলেছেন ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট সালাতুয্ যুহার প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমল ও এ মর্মে তাঁর নির্দেশ পৌঁছেনি।