২২৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৮-[৩১] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সে ব্যক্তির মুখ উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন কথা শুনেছে, অতঃপর এ কথাকে স্মরণ রেখেছে ও রক্ষা করেছে এবং যা শুনেছে হুবহু তা মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দিয়েছে। কারণ জ্ঞানের অনেক বাহক নিজে জ্ঞানী নয়। আবার কেউ কেউ এমন আছে যারা নিজেরা জ্ঞানী হলেও, নিজের তুলনায় বড় জ্ঞানীর নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়। তিনটি বিষয়ে মুসলিমের অন্তর বিশ্বাসঘাতকতা (অবহেলা) করতে পারে নাঃ (১) আল্লাহর উদ্দেশে নিষ্ঠার সাথে কাজ করা, (২) মুসলিমের কল্যাণ কামনা করা এবং (৩) মুসলিমের জামা’আতকে আঁকড়ে ধরা। কারণ মুসলিমের দু’আ বা আহবান তাদের পরবর্তী (মুসলিমদেরও) শামিল করে রাখে। (শাফি’ঈ, বায়হাক্বী তাঁর ’মাদখাল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَضَّرَ اللَّهُ عَبْدًا سَمِعَ مَقَالَتِي فَحَفِظَهَا وَوَعَاهَا وَأَدَّاهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرِ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ. ثَلَاثٌ لَا يَغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنَّصِيحَةُ لِلْمُسْلِمِينَ وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ ورائهم» . رَوَاهُ الشَّافِعِي وَالْبَيْهَقِيّ فِي الْمدْخل

وعن ابن مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «نضر الله عبدا سمع مقالتي فحفظها ووعاها واداها فرب حامل فقه غير فقيه ورب حامل فقه الى من هو افقه منه. ثلاث لا يغل عليهن قلب مسلم اخلاص العمل لله والنصيحة للمسلمين ولزوم جماعتهم فان دعوتهم تحيط من وراىهم» . رواه الشافعي والبيهقي في المدخل

ব্যাখ্যা: হাদীসের প্রথমাংশ থেকে বুঝা যায়, দীনী বিদ্যা অর্জনের পর তা মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়াই মূল লক্ষ্য। জ্ঞানের অনেক বাহক আছে যারা অর্জন করা জ্ঞান থেকে মাসআলাহ্ সাব্যস্ত করতে পারে না বিধায় অর্জিত জ্ঞান থেকে তেমন কিছু উপকৃত হতে পারে না। পক্ষান্তরে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের কাছে জ্ঞান বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, তারা সে জ্ঞান থেকে যথার্থভাবে মাস্আলাহ্ সাব্যস্ত করতে পারে ফলে সে জ্ঞান দ্বারা নিজে উপকৃত হয় জ্ঞানের বাহক উপকৃত হয়।

হাদীসের শেষে বলা হচ্ছে, এমন তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা যার উপর একজন মু’মিন ব্যক্তিকে সদা অটল থাকতে হবে। তিনটি বৈশিষ্ট্যের মাঝে তৃতীয় নম্বর বৈশিষ্ট্যে বলা হয়েছে মুসলিমদের জামা‘আত বা দল আঁকড়িয়ে ধরতে হবে। অতএব মুসলিমকে অন্যান্য মুসলিমের সাথে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক বিশ্বাসে, সৎ ‘আমলে, জামা‘আতের সালাতে, জুমু‘আর সালাতে দু’ ঈদের সালাতে এবং মুসলিম নেতাদের আনুগত্যে ও অন্যান্য বিষয়ে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে। ফলে শায়ত্বনের (শয়তানের) চক্রান্ত ও পথভ্রষ্টতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২: ‘ইলম (বিদ্যা) (كتاب العلم)