৩৩৪০

পরিচ্ছেদঃ ৭৭. সূরা আল-বুরুজ

৩৩৪০। সুহাইব ইবনু সিনান আর-রুমী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায় করার পর নিঃশব্দে কিছু তিলাওয়াত করতেন। কারো মতে ’হামস্’ অর্থ ’ঠোট নাড়ানো। যেন তিনি কথা বলছেন। তাই তাকে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আসরের নামায আদায় করার পর আপনি ঠোট নেড়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার একজন নবী তার উম্মাতের (সংখ্যাধিক্যের) জন্য অধিক খুশী হন। তাই তিনি মনে মনে বলেন, কারা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে! সে সময় আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী পাঠানঃ তাদেরকে তুমি দুটি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের এখতিয়ার দাওঃ হয় তাদের উপর আমি প্রতিশোধ নিব কিংবা শত্রুবাহিনীকে তাদের উপর আধিপত্য দান করব। তারা প্রতিশোধ নেয়াকে এখতিয়ার করল। অতঃপর তাদের উপর আল্লাহ তা’আলা মৃত্যু চাপিয়ে দিলেন, ফলে এক দিনেই তাদের সত্তর হাজার লোক মারা গেল।

সহীহঃ তাখরীজ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ১২৫/৮৩)।

বর্ণনাকারী বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ঘটনা উদ্ধৃত করতেন সে সময় এর সঙ্গে তিনি আরো একটি ঘটনা বলতেন। তিনি বলেন জনৈক বাদশার এক যাদুকর ছিল। বাদশাকে সে ভবিষ্যদ্বাণী শুনাত। যাদুকরটি লোকদেরকে বলল, আমাকে তোমরা একটি বুদ্ধিমান, সাবধানী ও ধিশক্তি সম্পন্ন বালক এনে দাও। আমি তাকে আমার জ্ঞান শিখিয়ে দিব। কারণ আমার মনে হচ্ছে যে, আমি মারা গেলে আমার এ বিদ্যা হতে তোমরা বঞ্চিত হবে। তোমাদের মাঝে এই জ্ঞান সম্পন্ন আর কেউ থাকবে না। তিনি বলেনঃ লোকেরা (যাদুকরের) কথামত একটি বুদ্ধিমান ছেলে খুঁজে বের করে এবং তাকে সেই যাদুকরের নিকট প্রত্যহ যাতায়াতের ও তার সাহচর্য লাভের আদেশ দেয়।

ছেলেটি সেই যাদুকরের নিকট যাতায়াত করতে থাকে। ছেলেটির যাওয়া-আসার পথে একটি গীর্জায় এক পাদ্রী (রাহেব) অবস্থানরত ছিল। বর্ণনাকারী মা’মার বলেন, আমার বিশ্বাস সে সময় গীর্জার পাদ্রীগণ তাওহীদের বিশ্বাসী মুসলিম ছিলেন। সে এ পাদ্রীর কাছ দিয়ে যাতায়াতকালে তার নিকট (দীন প্রসঙ্গে) প্রশ্ন করত। অবশেষে সে বলল, আমি আল্লাহ তা’আলার ইবাদত করি।

তারপর পাদ্রীর নিকট ছেলেটি অবস্থান করতে শুরু করে এবং যাদুকরের নিকট বিলম্বে উপস্থিত হয়। যাদুকর ছেলের অভিভাবককে বলে পাঠায় যে আমার আশঙ্কা হয় সে আমার নিকট আসবে না। বালক পাদ্রীকে এ বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কোথায় ছিলে যাদুকর তোমাকে এ প্রশ্ন করলে তুমি বলবে, আমি বাড়ীতে ছিলাম। আর তোমাকে অভিভাবকরা প্রশ্ন করলে তুমি বলবে, আমি যাদুকরের নিকট ছিলাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এভাবে বেশ কিছু দিন বালকটির কেটে গেল। একদিন সে এক বিরাট সংখ্যক লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের পথে একটি হিংস্র জন্তু বাধা হয়ে দাড়ায়। কেউ কেউ বললেন, ঐ জন্তুটি ছিল বাঘ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বালকটি একটি পাথর তুলে নিয়ে বলে, হে আল্লাহ! পাদ্রী যা বলে তা যদি সত্য হয় তাহলে আমি আপনার নিকট চাই যে, এ জন্তুটিকে আমি হত্যা করি। এ কথা বলে সে পাথরটি ছুড়ে মারল এবং জন্তুটি হত্যা করল। লোকেরা বলল, জন্তুটি কে হত্যা করেছে? লোকেরা বলল, এ বালকটি।

লোকেরা বিমর্ষ হয়ে বলল, এমন জ্ঞান সে আয়ত্ত করেছে যা আর কারো নিকটে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এক অন্ধ লোক এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাকে বলল, যদি তুমি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পার তবে তোমাকে আমি এই এই পরিমাণ সম্পদ দিব। বালকটি তাকে বলল, তোমার নিকট আমি তা চাই না। তবে যদি তোমার দৃষ্টিশক্তি তুমি ফিরিয়ে পাও তাহলে যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিবে তার উপর কি তুমি ঈমান আনবে? অন্ধ বলল, হ্যাঁ। তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকট ছেলেটি দু’আ করল এবং আল্লাহ তা’আলা তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। অন্ধ ব্যক্তিও ঈমান আনল।

বিষয়টি বাদশার কানে গিয়ে পৌছলে সে তাদের ডেকে পাঠায়। তার নিকট তাদেরকে হাযির করা হলে সে বলল, তোমাদের প্রত্যেককে আমি এক এক নতুন পন্থায় হত্যা করব যে পন্থায় তার সঙ্গীকে হত্যা করব না। সে পাদ্রী ও অন্ধ লোকটিকে হত্যার হুকুম দিল এবং সে অনুযায়ী এদের একজনের মাথার উপর করাত চালিয়ে হত্যা করা হয় এবং অন্যজনকে আরেকভাবে হত্যা করা হয়। তারপর বালকটি প্রসঙ্গে বাদশা বলল, একে ঐ পর্বতে নিয়ে যাও এবং তার চূড়া হতে তাকে ফেলে দাও।

অতঃপর তারা তাকে নিয়ে সেই পর্বতে গেল। যখন তারা পাহাড়ের সেই নির্দিষ্ট জায়গা হতে তাকে ফেলে দিতে প্রস্তুত হল তখন একে একে তারা সকলে পড়ে মারা গেল এবং বালকটি ব্যতীত কেউই বাকি থাকল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে ফিরে এলে বাদশা তাকে নিয়ে নদীতে ডুবিয়ে মারার জন্য লোকদেরকে হুকুম দিল।

তারপর তাকে নদীতে নিয়ে যাওয়া হল। আল্লাহ তা’আলা বালকটির সাথী সকলকে ডুবিয়ে হত্যা করলেন এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখলেন। পরবর্তীতে ছেলেটিই বাদশাকে বলল, আমাকে তুমি হত্যা করতে পারবে না। তবে আমাকে তুমি শূলে চড়িয়ে “এ বালকের প্রতিপালকের নামে” বলে তীর নিক্ষেপ করলেই কেবল আমাকে হত্যা করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তার কথামত বাদশা হুকুম দিল এবং অতঃপর তাকে শূলে চড়িয়ে “এই বালকের প্রতিপালকের নামে" বলে তীর নিক্ষেপ করল, ছেলেটি তার হাত তার কান ও মাথার মাঝের জায়গায় স্থাপন করল এবং মারা গেল।

লোকেরা বলল, এমন জ্ঞান বালকটি লাভ করেছে যা আর কেউই লাভ করতে পারেনি। কাজেই এই বালকের প্রতিপালকের উপর আমরাও ঈমান আনলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বাদশাকে বলা হল, আপনি তো তিন ব্যক্তির বিরোধিতায় ভয় পেয়ে গেলেন। এখন সারা দুনিয়াই তো আপনার বিরোধী হয়ে গেল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে সময় বাদশা একটি সুদীর্ঘ গর্ত খুঁড়ে তাতে কাঠ দিয়ে আগুন ধরায়, তারপর লোকদেরকে একসঙ্গে বলে, “যে তার ধর্ম হতে ফিরে আসবে তাকে ছেড়ে দিব এবং যে ধর্ম হতে না ফিরবে তাকে আমি এ আগুনে নিক্ষেপ করব"। ঈমানদার লোকদেরকে সে আগুনের গর্তে নিপতিত করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “গর্তের অধিপতিরা ধ্বংস হয়েছে, যে গর্তে আগুন প্রজ্জ্বলিত ছিল। যখন ওরা ঐ গর্তের পাশে বসা ছিল, আর ওরা ঈমানদারদের সঙ্গে যা করছিল তা প্রত্যক্ষ করছিল। তারা তাদেরকে যুলম করেছিল কেবল এ কারণে যে, তারা মহাশক্তিমান ও প্রশংসিত আল্লাহ তা’আলার প্রতি ঈমান এনেছিল"- (সূরা বুরুজ ৪-৮)। বর্ণনাকারী বলেন, বালকটিকে দাফন করা হয়েছিল।

রাবী বলেন, উল্লেখিত আছে যে, ঐ বালকের লাশ উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে তোলা হয়েছিল। মারা যাওয়ার সময় তার হাত যেভাবে তার কান ও মাথার মধ্যবর্তী জায়গায় রাখা ছিল সেভাবেই তাকে পাওয়া যায়।

সহীহঃ মুসলিম (৮/২২৯-২৩১) আয়াতের উল্লেখ ব্যতীত।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ هَمَسَ - وَالْهَمْسُ فِي قَوْلِ بَعْضِهِمْ تَحَرُّكُ شَفَتَيْهِ كَأَنَّهُ يَتَكَلَّمُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا صَلَّيْتَ الْعَصْرَ هَمَسْتَ قَالَ ‏.‏ ‏"‏ إِنَّ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ كَانَ أُعْجِبَ بِأُمَّتِهِ فَقَالَ مَنْ يَقُولُ لِهَؤُلاَءِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ خَيِّرْهُمْ بَيْنَ أَنْ أَنْتَقِمَ مِنْهُمْ وَبَيْنَ أَنْ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوَّهُمْ فَاخْتَارَ النِّقْمَةَ فَسَلَّطَ عَلَيْهِمُ الْمَوْتَ فَمَاتَ مِنْهُمْ فِي يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ الآخَرِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَانَ مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ وَكَانَ لِذَلِكَ الْمَلِكِ كَاهِنٌ يَكْهَنُ لَهُ فَقَالَ الْكَاهِنُ انْظُرُوا لِيَ غُلاَمًا فَهِمًا أَوْ قَالَ فَطِنًا لَقِنًا فَأُعَلِّمُهُ عِلْمِي هَذَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ أَمُوتَ فَيَنْقَطِعَ مِنْكُمْ هَذَا الْعِلْمُ وَلاَ يَكُونُ فِيكُمْ مَنْ يَعْلَمُهُ ‏.‏ قَالَ فَنَظَرُوا لَهُ عَلَى مَا وَصَفَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَحْضُرَ ذَلِكَ الْكَاهِنَ وَأَنْ يَخْتَلِفَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ وَكَانَ عَلَى طَرِيقِ الْغُلاَمِ رَاهِبٌ فِي صَوْمَعَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْمَرٌ أَحْسِبُ أَنَّ أَصْحَابَ الصَّوَامِعِ كَانُوا يَوْمَئِذٍ مُسْلِمِينَ قَالَ ‏"‏ فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَسْأَلُ ذَلِكَ الرَّاهِبَ كُلَّمَا مَرَّ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخْبَرَهُ فَقَالَ إِنَّمَا أَعْبُدُ اللَّهَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَمْكُثُ عِنْدَ الرَّاهِبِ وَيُبْطِئُ عَلَى الْكَاهِنِ فَأَرْسَلَ الْكَاهِنُ إِلَى أَهْلِ الْغُلاَمِ إِنَّهُ لاَ يَكَادُ يَحْضُرُنِي فَأَخْبَرَ الْغُلاَمُ الرَّاهِبَ بِذَلِكَ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ إِذَا قَالَ لَكَ الْكَاهِنُ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْ عِنْدَ أَهْلِي ‏.‏ وَإِذَا قَالَ لَكَ أَهْلُكَ أَيْنَ كُنْتَ فَأَخِبِرْهُمْ أَنَّكَ كُنْتَ عِنْدَ الْكَاهِنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَبَيْنَمَا الْغُلاَمُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ مَرَّ بِجَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ كَثِيرٍ قَدْ حَبَسَتْهُمْ دَابَّةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ تِلْكَ الدَّابَّةَ كَانَتْ أَسَدًا قَالَ ‏"‏ فَأَخَذَ الْغُلاَمُ حَجَرًا قَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَقُولُ الرَّاهِبُ حَقًّا فَأَسْأَلُكَ أَنْ أَقْتُلَهَا ‏.‏ قَالَ ثُمَّ رَمَى فَقَتَلَ الدَّابَّةَ ‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ مَنْ قَتَلَهَا قَالُوا الْغُلاَمُ فَفَزِعَ النَّاسُ وَقَالُوا لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا لَمْ يَعْلَمْهُ أَحَدٌ ‏.‏ قَالَ فَسَمِعَ بِهِ أَعْمَى فَقَالَ لَهُ إِنْ أَنْتَ رَدَدْتَ بَصَرِي فَلَكَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ قَالَ لَهُ لاَ أُرِيدُ مِنْكَ هَذَا وَلَكِنْ أَرَأَيْتَ إِنْ رَجَعَ إِلَيْكَ بَصَرُكَ أَتُؤْمِنُ بِالَّذِي رَدَّهُ عَلَيْكَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ عَلَيْهِ بَصَرَهُ فَآمَنَ الأَعْمَى فَبَلَغَ الْمَلِكَ أَمْرُهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ فَأُتِيَ بِهِمْ فَقَالَ لأَقْتُلَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ قِتْلَةً لاَ أَقْتُلُ بِهَا صَاحِبَهُ فَأَمَرَ بِالرَّاهِبِ وَالرَّجُلِ الَّذِي كَانَ أَعْمَى فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ عَلَى مَفْرِقِ أَحَدِهِمَا فَقَتَلَهُ وَقَتَلَ الآخَرَ بِقِتْلَةٍ أُخْرَى ‏.‏ ثُمَّ أَمَرَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ انْطَلِقُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَأَلْقُوهُ مِنْ رَأْسِهِ فَانْطَلَقُوا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْجَبَلِ فَلَمَّا انْتَهَوْا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادُوا أَنْ يُلْقُوهُ مِنْهُ جَعَلُوا يَتَهَافَتُونَ مِنْ ذَلِكَ الْجَبَلِ وَيَتَرَدَّوْنَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ الْغُلاَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ رَجَعَ فَأَمَرَ بِهِ الْمَلِكُ أَنْ يَنْطَلِقُوا بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَيُلْقُونَهُ فِيهِ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَغَرَّقَ اللَّهُ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ وَأَنْجَاهُ فَقَالَ الْغُلاَمُ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لاَ تَقْتُلُنِي حَتَّى تَصْلُبَنِي وَتَرْمِيَنِي وَتَقُولَ إِذَا رَمَيْتَنِي بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَصُلِبَ ثُمَّ رَمَاهُ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ ‏.‏ قَالَ فَوَضَعَ الْغُلاَمُ يَدَهُ عَلَى صُدْغِهِ حِينَ رُمِيَ ثُمَّ مَاتَ ‏.‏ فَقَالَ أُنَاسٌ لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا مَا عَلِمَهُ أَحَدٌ فَإِنَّا نُؤْمِنُ بِرَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لِلْمَلِكِ أَجَزِعْتَ أَنْ خَالَفَكَ ثَلاَثَةٌ فَهَذَا الْعَالَمُ كُلُّهُمْ قَدْ خَالَفُوكَ ‏.‏ قَالَ فَخَدَّ أُخْدُودًا ثُمَّ أَلْقَى فِيهَا الْحَطَبَ وَالنَّارَ ثُمَّ جَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ مَنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ تَرَكْنَاهُ وَمَنْ لَمْ يَرْجِعْ أَلْقَيْنَاهُ فِي هَذِهِ النَّارِ فَجَعَلَ يُلْقِيهِمْ فِي تِلْكَ الأُخْدُودِ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ ‏)‏ حَتَّى بَلَغَ ‏:‏ ‏(‏العَزِيزِ الْحَمِيدِ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَمَّا الْغُلاَمُ فَإِنَّهُ دُفِنَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَيُذْكَرُ أَنَّهُ أُخْرِجَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأُصْبُعُهُ عَلَى صُدْغِهِ كَمَا وَضَعَهَا حِينَ قُتِلَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، وعبد بن حميد، - المعنى واحد قالا حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن ثابت البناني، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، عن صهيب، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى العصر همس - والهمس في قول بعضهم تحرك شفتيه كانه يتكلم فقيل له انك يا رسول الله اذا صليت العصر همست قال ‏.‏ ‏"‏ ان نبيا من الانبياء كان اعجب بامته فقال من يقول لهولاء فاوحى الله اليه ان خيرهم بين ان انتقم منهم وبين ان اسلط عليهم عدوهم فاختار النقمة فسلط عليهم الموت فمات منهم في يوم سبعون الفا ‏"‏ ‏.‏ قال وكان اذا حدث بهذا الحديث حدث بهذا الحديث الاخر ‏.‏ قال ‏"‏ كان ملك من الملوك وكان لذلك الملك كاهن يكهن له فقال الكاهن انظروا لي غلاما فهما او قال فطنا لقنا فاعلمه علمي هذا فاني اخاف ان اموت فينقطع منكم هذا العلم ولا يكون فيكم من يعلمه ‏.‏ قال فنظروا له على ما وصف فامره ان يحضر ذلك الكاهن وان يختلف اليه فجعل يختلف اليه وكان على طريق الغلام راهب في صومعة ‏"‏ ‏.‏ قال معمر احسب ان اصحاب الصوامع كانوا يومىذ مسلمين قال ‏"‏ فجعل الغلام يسال ذلك الراهب كلما مر به فلم يزل به حتى اخبره فقال انما اعبد الله ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ فجعل الغلام يمكث عند الراهب ويبطى على الكاهن فارسل الكاهن الى اهل الغلام انه لا يكاد يحضرني فاخبر الغلام الراهب بذلك فقال له الراهب اذا قال لك الكاهن اين كنت فقل عند اهلي ‏.‏ واذا قال لك اهلك اين كنت فاخبرهم انك كنت عند الكاهن ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ فبينما الغلام على ذلك اذ مر بجماعة من الناس كثير قد حبستهم دابة ‏"‏ ‏.‏ فقال بعضهم ان تلك الدابة كانت اسدا قال ‏"‏ فاخذ الغلام حجرا قال اللهم ان كان ما يقول الراهب حقا فاسالك ان اقتلها ‏.‏ قال ثم رمى فقتل الدابة ‏.‏ فقال الناس من قتلها قالوا الغلام ففزع الناس وقالوا لقد علم هذا الغلام علما لم يعلمه احد ‏.‏ قال فسمع به اعمى فقال له ان انت رددت بصري فلك كذا وكذا ‏.‏ قال له لا اريد منك هذا ولكن ارايت ان رجع اليك بصرك اتومن بالذي رده عليك قال نعم ‏.‏ قال فدعا الله فرد عليه بصره فامن الاعمى فبلغ الملك امرهم فبعث اليهم فاتي بهم فقال لاقتلن كل واحد منكم قتلة لا اقتل بها صاحبه فامر بالراهب والرجل الذي كان اعمى فوضع المنشار على مفرق احدهما فقتله وقتل الاخر بقتلة اخرى ‏.‏ ثم امر بالغلام فقال انطلقوا به الى جبل كذا وكذا فالقوه من راسه فانطلقوا به الى ذلك الجبل فلما انتهوا به الى ذلك المكان الذي ارادوا ان يلقوه منه جعلوا يتهافتون من ذلك الجبل ويتردون حتى لم يبق منهم الا الغلام ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ ثم رجع فامر به الملك ان ينطلقوا به الى البحر فيلقونه فيه فانطلق به الى البحر فغرق الله الذين كانوا معه وانجاه فقال الغلام للملك انك لا تقتلني حتى تصلبني وترميني وتقول اذا رميتني بسم الله رب هذا الغلام ‏.‏ قال فامر به فصلب ثم رماه فقال بسم الله رب هذا الغلام ‏.‏ قال فوضع الغلام يده على صدغه حين رمي ثم مات ‏.‏ فقال اناس لقد علم هذا الغلام علما ما علمه احد فانا نومن برب هذا الغلام ‏.‏ قال فقيل للملك اجزعت ان خالفك ثلاثة فهذا العالم كلهم قد خالفوك ‏.‏ قال فخد اخدودا ثم القى فيها الحطب والنار ثم جمع الناس فقال من رجع عن دينه تركناه ومن لم يرجع القيناه في هذه النار فجعل يلقيهم في تلك الاخدود ‏.‏ قال يقول الله تعالى ‏:‏ ‏(‏قتل اصحاب الاخدود * النار ذات الوقود ‏)‏ حتى بلغ ‏:‏ ‏(‏العزيز الحميد ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ فاما الغلام فانه دفن ‏"‏ ‏.‏ قال فيذكر انه اخرج في زمن عمر بن الخطاب واصبعه على صدغه كما وضعها حين قتل ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Suhaib narrated:
“When the Messenger of Allah had performed Asr, Hamasa (he began mumbling)” – and Al—Hams according to some of them, is moving the lips as if he is speaking – “It was said to him: ‘O Messenger of Allah! After you performed Asr, you were mumbling?’ He said: ‘There was a Prophet among the Prophets, he was amazed with his people, so he said: “Who can stand against these people?” Then Allah revealed to him, that they must choose between some of them suffering from wrath, and between enemies of theirs assaulting them. They chose the wrath. So death was inflicted upon them such that seventy-thousand of them died in one day.’”He said: And when he would narrated this Hadith, he would also narrated another: “There was a king among the kings, and that king had a fortune-teller (Kahin) who would see for him. The fortune teller said: ‘Search for a boy for me, he must be understanding” or he said: “clever and quick, so that I can teach him this knowledge of mine. For verily, I fear that I shall die, and this knowledge will be removed from you, and there will be no one among you who knows it.” He said: “They looked for a boy fitting his description. (After finding one) they ordered him to tend to that fortune teller, and to continue visiting him. So he began his frequent visits, and on the boy’s route, there was a monk at his hermitage.” – Ma’mar said: “I think that during that time, the people at the hermitage were Muslims.” – He said: “They boy began asking that monk questions each time he passed him, and he would not leave him until he informed him, so he said: ‘I only worship Allah.’” He said: “So the boy began spending more time with the monk and arriving late to the fortune-teller. The fortune-teller sent a message to the boy’s family saying: ‘He hardly ever attends me.’ The boy told that to the monk, so the monk said to him: ‘When the fortune-teller asks you where you’ve been, tell him: “I was with my family.” And when your family asks you where you’ve been, then tell them that you were with the fortune-teller.’” He said: “One day, the boy passed by a large group of people being held back by a beast.” Some of them said, it was a lion. He said: “So the boy took a rock and said: ‘O Allah, if what the monk says is true, then I ask you to kill it.’” [He said:] “Then he threw the rock, killing the beast. The people began asking who killed it and some of them replied: ‘It was the boy.’ They were terrified and said: ‘This boy has learned a knowledge that no one else has learned.’” He said: “A blind man heard about him so he said to him: ‘If you can return my sight, I shall give you this and that.’ He said to him: ‘I do not want this from you. However, if your sight is returned to you, would you believe in the One who gave it back to you?’ He said: ‘Yes.’” He said: “So he supplicated to Allah, and He returned his sight to him, and the blind man believed. His case was conveyed to the king, so he sent for him to be brought before him. He said: ‘I shall kill each of you in a manner different than his comrade was killed.’ He called for the monk and the man who used to be blind. He placed a saw upon the forehead of one of them and killed him. Then he killed the other one by a different means. Then he gave orders for the boy, he said: ‘Take him to this or that mountain, and throw him from its peak.’ They brought him to that mountain, and when they reached the place from where they intended to cast him off, they began tumbling off of that mountain, and all of them fell down until none of them remained except for the boy.” He said: “Then he returned and the king ordered that he be brought out to sea and cast into it. So he was brought out to sea, but Allah drowned those who were with him, and He saved him. Then the boy said to the king: ‘You will not kill me until you tie me to the trunk of a tree and shoot me, and when you shoot me, you said: “In the Name of Allah, the Lord of this boy.’” He said: “So he ordered that he be tied, then when he shot him, he said: ‘In the Name of Allah, the Lord of this boy.’ The boy placed his hand upon his temple where he was shot, then he died. The people said: “This boy had knowledge that no one else had! Verily we believe in the Lord of this boy!” He said: It was conveyed to the king “Your efforts have been thwarted by the opposition of these three, now all of these people have opposed you.” He said: “So he had ditches dug, then fire wood was filled into it and a fire was lit. Then he (the king) had all of the people gathered and he said: ‘Whoever leaves his religion, then we shall leave him. And whoever does not leave, we shall cast him into this fire.’ So he began casting them into that ditch.” He said: “Allah, Blessed is He and Most High, said about that: ‘Cursed were the People of the Ditch. Of fire fed with fuel…’ until he reached: ‘…The Almighty, Worthy of all praise!’” He said: “As for the boy, he was buried.” He said: “It has been mentioned, that he was excavated during the time of Umar bin Al-Khattab, and his finger was at his temple, just as he had placed it when he was killed.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)