৩০১৫

পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ -পানীয়। التَّسْنِيمُ জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।

৩০১৫। সাঈদ ইবনু আবূ মারয়ম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’এক সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম। দেখলাম আমি জান্নাতে অবস্থিত। হঠাৎ দেখলাম এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ প্রাসা’দটি কার? তারা উত্তরে বললেন, উমরের। তখন তাঁর (উমরের) আত্মমর্যাদাবোধের কথা আমার স্মরণ হল। আমি পেছনের দিকে ফিরে চলে আসলাম।’ এ কথা শুনে উমর (রাঃ) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সম্মুখে কি আমার মর্যাদাবোধ থাকতে পারে?

باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْجَنَّةِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ مُطَهَّرَةٌ مِنَ الْحَيْضِ وَالْبَوْلِ وَالْبُزَاقِ. {كُلَّمَا رُزِقُوا} أُتُوا بِشَيْءٍ ثُمَّ أُتُوا بِآخَرَ {قَالُوا هَذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ} أُتِينَا مِنْ قَبْلُ {وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا} يُشْبِهُ بَعْضُهُ بَعْضًا، وَيَخْتَلِفُ فِي الطُّعُومِ {قُطُوفُهَا} يَقْطِفُونَ كَيْفَ شَاءُوا دَانِيَةٌ قَرِيبَةٌ. الأَرَائِكُ السُّرُرُ. وَقَالَ الْحَسَنُ: النَّضْرَةُ فِي الْوُجُوهِ وَالسُّرُورُ فِي الْقَلْبِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {سَلْسَبِيلاً} حَدِيدَةُ الْجِرْيَةِ. {غَوْلٌ} وَجَعُ الْبَطْنِ {يُنْزَفُونَ} لاَ تَذْهَبُ عُقُولُهُمْ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {دِهَاقًا} مُمْتَلِئًا {كَوَاعِبَ} نَوَاهِدَ. الرَّحِيقُ الْخَمْرُ. التَّسْنِيمُ يَعْلُو شَرَابَ أَهْلِ الْجَنَّةِ {خِتَامُهُ} طِينُهُ {مِسْكٌ}، {نَضَّاخَتَانِ} فَيَّاضَتَانِ. يُقَالُ مَوْضُونَةٌ مَنْسُوجَةٌ، مِنْهُ وَضِينُ النَّاقَةِ. وَالْكُوبُ مَا لاَ أُذُنَ لَهُ وَلاَ عُرْوَةَ. وَالأَبَارِيقُ ذَوَاتُ الآذَانِ وَالْعُرَا. {عُرُبًا} مُثَقَّلَةً وَاحِدُهَا عَرُوبٌ، مِثْلُ صَبُورٍ وَصُبُرٍ، يُسَمِّيهَا أَهْلُ مَكَّةَ الْعَرِبَةَ، وَأَهْلُ الْمَدِينَةِ الْغَنِجَةَ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ الشَّكِلَةَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {رَوْحٌ} جَنَّةٌ وَرَخَاءٌ، {وَالرَّيْحَانُ} الرِّزْقُ، وَالْمَنْضُودُ الْمَوْزُ، وَالْمَخْضُودُ الْمُوقَرُ حَمْلاً وَيُقَالُ أَيْضًا لاَ شَوْكَ لَهُ، وَالْعُرُبُ الْمُحَبَّبَاتُ إِلَى أَزْوَاجِهِنَّ. وَيُقَالُ مَسْكُوبٌ جَارٍ، وَ{فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ} بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ. {لَغْوًا} بَاطِلاً. {تَأْثِيمًا} كَذِبًا. أَفْنَانٌ أَغْصَانٌ {وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ} مَا يُجْتَنَى قَرِيبٌ. {مُدْهَامَّتَانِ} سَوْدَاوَانِ مِنَ الرِّيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ قَالَ ‏ "‏ بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي فِي الْجَنَّةِ، فَإِذَا امْرَأَةٌ تَتَوَضَّأُ إِلَى جَانِبِ قَصْرٍ، فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ فَقَالُوا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَذَكَرْتُ غَيْرَتَهُ، فَوَلَّيْتُ مُدْبِرًا ‏"‏‏.‏ فَبَكَى عُمَرُ وَقَالَ أَعَلَيْكَ أَغَارُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏

حدثنا سعيد بن ابي مريم، حدثنا الليث، قال حدثني عقيل، عن ابن شهاب، قال اخبرني سعيد بن المسيب، ان ابا هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال بينا نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ قال ‏ "‏ بينا انا ناىم رايتني في الجنة، فاذا امراة تتوضا الى جانب قصر، فقلت لمن هذا القصر فقالوا لعمر بن الخطاب، فذكرت غيرته، فوليت مدبرا ‏"‏‏.‏ فبكى عمر وقال اعليك اغار يا رسول الله‏.‏


Narrated Abu Huraira:

While we were in the company of the Prophet, he said, "While I was asleep, I saw myself in Paradise and there I beheld a woman making ablution beside a palace, I asked, To whom does this palace belong? 'They said, To `Umar bin Al-Khattab.' Then I remembered `Umar's Ghaira (concerning women), and so I quickly went away from that palace." (When `Umar heard this from the Prophet), he wept and said, "Do you think it is likely that I feel Ghaira because of you, O Allah's Messenger (ﷺ)?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)