পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৯৪. স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ প্রয়োজনে) ‘‘তাদেরকে মৃদু প্রহার কর।’’ সূরাহ আন-নিসাঃ ৪/৩৪)
৫২০৪. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদেরকে গোলামের মত প্রহার করো না। কেননা, দিনের শেষে তার সঙ্গে তো মিলিত হবে। [৩৩৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৫)
بَاب مَا يُكْرَه“ مِنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمْ امْرَأَتَه“ جَلْدَ الْعَبْدِ ثُمَّ يُجَامِعُهَا فِي آخِرِ الْيَوْمِ
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম নারীদেরকে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করার প্রতি আহ্বান জানায়। এবং তাদের সাথে সুন্দর পন্থায় নম্রতা এবং ভদ্রতা বজায় রেখে ধৈর্যের সহিত জীবনযাপন করার প্রতিও আহ্বান জানায়। যেহেতু তাদের প্রতি ধৈর্যধারণ করা এবং তাদেরকে দৈহিক কষ্ট না দেওয়াই হলো সর্বোত্তম আচরণ।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে ভালোবাসার সহিত এবং উদারতার সহিত সদাচরণ বজায় রেখে জীবনযাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। তাই এই হাদীসটির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা এবং তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া হারাম ও অবৈধ।
৩। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ও যৌনমিলন ও সংসর্গ ওই সময় সুখদায়ক হয়, যখন তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা বিরাজ করে। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা বা তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর মিলন এবং যৌন সংসর্গকে নষ্ট করে দেয়। তাই এই হাদীসটির মধ্যে নিজের স্ত্রীকে প্রহার করার বিষয়টিকে কঠোরভাবে ঘৃণা করা হয়েছে।
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
The Prophet (ﷺ) said, "None of you should flog his wife as he flogs a slave and then have sexual intercourse with her in the last part of the day."