৭২৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১৭. অগ্নিকুণ্ডের অধিপতি এবং যাদুকর, পাদ্রী ও বালকের ঘটনা

৭২৩৯। হাদ্দাব ইবনু খালিদ (রহঃ) ... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে এক বাদশাহ ছিল। তাঁর ছিল এক যাদুকর। বার্ধক্যে উপনীত হয়ে সে বাদশাকে বলল, আমি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, সুতরাং একজন কিশোরকে আপনি আমার নিকট পাঠিয়ে দিন, যাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব। তখন যাদুবিদ্যা শিক্ষা দেয়ার জন্য বাদশাহ তাঁর নিকট এক কিশোর (বালক) কে পাঠাল। বালকের যাত্রাপথে ছিল এক পাদ্রী। বালক তাঁর নিকট বসল এবং তাঁর কথা শুনল। তাঁর কথা বালকের পছন্দ হল। অতঃপর বালক যাদুকরের নিকট যাত্রাকালে সর্বদাই পাদ্রির নিকট যেত এবং তাঁর নিকট বসত।

এরপর সে যখন যাদুকরের নিকট যেত তখন সে তাকে প্রহার করত। অবশেষে যাদুকরের ব্যাপারে সে পাদ্রির নিকট অভিযোগ করল। তখন পাদ্রি বলল, তোমার যদি যাদুকরের ব্যাপারে আশংকা হয় তবে বলবে, আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে, আর যদি তুমি তোমার পরিবারের লোকদের ব্যাপারে আশংকাবোধ কর তবে বলবে, যাদুকর আমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে।

এমনি একদিন হঠাৎ সে একটি ভয়ানক হিংস্র প্রাণীর সম্মুখীন হল, যা লোকদের পথ আটকিয়ে রেখেছিল। এ অবস্থা দেখে সে বলল, আজই জানতে পারব, যাদুকর উত্তম না পাদ্রী উত্তম। অতঃপর একটি পাথর হাতে নিয়ে সে বলল, হে আল্লাহ্‌! যদি যাদুকরের তরীকার তুলনায় পাদ্রীর তরীকা আপনার নিকট প্রিয় হয়, পছন্দনীয় হয়, তবে এই প্রস্তারাঘাতে এই হিংস্র প্রাণীটি নিহত করে দিন, যেন লোকজন চলাচল করতে পারে। অতঃপর সে তাঁর প্রতি পাথরটি নিক্ষেপ করল এবং উহাকে মেরে ফেলল। ফলে লোকজন আবার যাতায়াত আরম্ভ করল।

এরপর সে পাদ্রীর নিকট এসে সে সম্পর্কে পাদ্রীকে সংবাদ দিল। পাদ্রী বলল, বৎস আজ তুমি তো আমার থেকেও শ্রেষ্ঠ হয়ে গিয়েছ। তোমার মর্যাদা এ পর্যন্ত পৌঁছেছে যা আমি দেখতে পাচ্ছি। তবে অচিরেই তুমি পরীক্ষার সুম্মুখীন হবে। যদি পরীক্ষার মুখোমুখি হও তবে আমার কথা বলবে না। এ দিকে বালক জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য এবং লোকদের সমুদয় রোগ ব্যাধির চিকিৎসা করতে লাগল। বাদশাহের পরিষদবর্গের এক ব্যাক্তি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর সংবাদ সে শুনতে পেয়ে বহু উপহার ও উপঢৌকন নিয়ে তাঁরা তাঁর কাছে আসল এবং তাকে বলল, তুমি যদি আমাকে আরোগ্য দান করতে পার তবে এ সব মাল আমি তোমাকে দিয়ে দিব। এ কথা শুনে বালক বলল, আমি তো কাউকে আরোগ্য দান করতে পারি না। আরোগ্য তো দেন আল্লাহ্‌ তা’আলা। আপনি যদি আল্লাহর উপন ঈমান আনয়ন করেন তবে আমি আল্লাহর নিকট দু’আ করব, আল্লাহ্‌ আপনাকে আরোগ্য দান করবেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করলেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে রোগমুক্ত করে দিলেন।

অতঃপর সে বাদশাহের নিকট এসে অন্যান্য সময়ের ন্যায় এবারও বসল। বাদশাহ তাকে বললেন, তোমার দৃষ্টিশক্তি কে ফিরিয়ে দিয়েছেন? সে বলল, আমার প্রতিপালক। এ কথা শুনে বাদশাহ বলল, আমি ব্যাতিত তোমার অন্য কোন প্রতিপালকও আছে কি? সে বলল, আমার ও আপনার সকলের প্রতিপালকই আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন। অতঃপর বাদশাহ তাকে পাকড়াও করে অব্যাহতভাবে শাস্তি দিতে লাগল। অবশেষে সে বালকের কথা বলে দিন। তখন বালককে আনা হল। বাদশাহ তাকে বললেন, হে বৎস! তুমি তো যাদুতে এত দক্ষ হয়েছ যে, তুমি জন্মান্ধকে ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করে দাও এবং এই কর সেই কর ...। সে বলল, আমি কাউকে নিরাময় করি না। আল্লাহই শিফা দান করেন।

তখন বাদশাহ তাকেও পাকড়াও করে শাস্তি দিতে থাকল। অবশেষে সে পাদ্রীর কথা বলে দিল। এবার পাদ্রীকে ধরে আনা হল এবং তাকে বলা হল তুমি তোমার দ্বীন পরিত্যাগ কর। সে অস্বীকার করল, ফলে তাঁর মাথার তালুতে করাত রেখে তাকে বিদীর্ণ করে ফেল হল। এতে তাঁর দেহ দুই খণ্ড হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। অতঃপর বাদশাহর পরিষদকে আনা হল এবং তাকে বলা হল তোমার দ্বীন থেকে ফিরে আস। সে তা অস্বীকার করলে তার মাথার মাঝখানে করার রাখল এবং তাকেও দুই টুকরা করল। পরিশেষে ঐ বালকটিকে আনা হল এবং তাকেও একই কথা বলা হল যে তুমি তোমার দ্বীন থেকে ফিরে আসো। সেও অস্বীকার করল। অতঃপর বাদশাহ তাকে তাঁর করিপয় সহযোগী (কর্মচারী)’র হাওলা করে দিয়ে বলল, তোমরা তাকে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও এবং তাকে সহ পাহাড়ে আরোহণ কর। পর্বত শৃঙ্গে পৌছার পর সে যদি তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে আসে (তবে ভাল)। অন্যথা তাকে সেখান থেকে ছুঁড়ে মারবে।

তারপর তাঁরা তাকে নিয়ে গেল এবং তাকে সহ পাহাড়ে আরোহণ করল। তখন সে দু’আ করে বলল, হে আল্লাহ্‌! আপনার যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান (আমাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন) তৎক্ষণাৎ তাদেরকে সহ পর্বত প্রকম্পিত হতে লাগল। ফলে তাঁরা পাহাড় হতে গড়িয়ে পড়ল। আর সে হেঁটে হেঁটে বাদশাহের নিকট চলে এলো। এ দেখে বাদশাহ তাকে বলল তোমরা সঙ্গীরা কোথায়? সে বলল, আল্লাহ্‌ আমার জন্য তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট হয়েছে (আমাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করেছেন)।

আবার বাদশাহ তাকে তাঁর কতিপয় সহচরের হাওলা করে বলল, তোমরা তাকে নিয়ে যাও এবং ক্ষুদ্র নৌকায় উঠিয়ে তাকে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাও। অতঃপর সে যদি তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে আসে তবে ভাল, অন্যথা তোমরা তাকে সমুদ্রে ফেলে দাও। তাঁরা তাকে সমুদ্রে নিয়ে গেল। এবারও সে দু’আ করে বলল, হে আল্লাহ্‌! আপনার যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান (আমাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন)। তৎক্ষণাৎ নৌকাটি তাদেরকে সহ উল্টে গেল। ফলে তাঁরা সকেলেই পানিতে ডুবে গেল আর ছেলেটি হেঁটে হেঁটে বাদশাহের নিকট চলে এলো।

বাদশাহ তাকে বলল, তোমার সাথিরা কোথায়? সে বলল, আল্লাহ্‌ তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছে (আমাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করেছেন)। অতঃপর সে বাদশাহকে বলল, তুমি আমাকে হত্যা করতে পারবে না যে পর্যন্ত না তুমি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি মুতাবিক কাজ করবে। বাদশাহ বলল, সে আবার কি? বালক বলল, একটি ময়দানে তুমি লোকদেরকে সমবেত কর, তারপর একটি কাঠের শূলীতে আমাকে উঠিয়ে আমার তীরদানি হতে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রাখ, এরপর بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ (বালকের পালনকর্তা আল্লাহর নামে) বলে আমার দিকে তীর ছুঁড়ে মার। এ যদি কর তবে তুমি আমাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে।

তাঁর কথা মোতাবেক বাদশাহ লোকদেরকে এক ময়দানে সমবেত করল এবং তাকে একটি কাঠের শূলীতে চড়াল, অতঃপর তাঁর তীরদানী হতে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রেখে বিসমিল্লাহি রাব্বুল আলামিন বলে তাঁর দিকে ছুঁড়ে মারল। তীর তাঁর কানপট্টিতে গিয়ে বিধল। অতঃপর সে (বালক) কানপট্টিতে তীরের স্থানে নিজের হাত রাখল এবং মারা গেল। এ দেখে সমবেত লোকজন বলে উঠলآمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ “আমরা এই বালকের রবের প্রতি ঈমান আনলাম”।

এই সংবাদ বাদশাহকে জানানো হল এবং তাকে বলা হল লক্ষ্য করেছেন কি? আপনি যে পরিস্থিতি হতে আশংকা করছিলেন, আল্লাহর কসম! সে আশংকাজনক পরিস্থিতই আপনার মাথার উপর চেপে বসেছে। সমস্ত মানুষই বালকের রবের উপর ঈমান আনয়ন করেছে। তখন বাদশাহ রাস্তার মাথায় গর্ত খননের নির্দেশ দিল। গর্ত খনন করা হল এবং তাদের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হল। অতঃপর বাদশাহ হুকুম করল যে, যে ব্যাক্তি তাঁর ধর্মমত বর্জন না করবে তাকে তাতে নিক্ষেপ করব, অথবা সে বলল, তাকে বলবে সে যেন অগ্নিতে প্রবেশ করে। লোকেরা তাই করল।

অবশেষে এক মহিলা আসল, তাঁর সঙ্গে ছিল এক শিশু। সে অগ্নিতে পতিত হবার ব্যাপারে ইতস্তত করছিল, এ দেখে শিশু তাকে বলল, হে আম্মাজান, ধৈর্যধারণ করুন, আপনি তো সত্য দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত।

باب قِصَّةِ أَصْحَابِ الأُخْدُودِ وَالسَّاحِرِ وَالرَّاهِبِ وَالْغُلاَمِ

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ كَانَ مَلِكٌ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ وَكَانَ لَهُ سَاحِرٌ فَلَمَّا كَبِرَ قَالَ لِلْمَلِكِ إِنِّي قَدْ كَبِرْتُ فَابْعَثْ إِلَىَّ غُلاَمًا أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ ‏.‏ فَبَعَثَ إِلَيْهِ غُلاَمًا يُعَلِّمُهُ فَكَانَ فِي طَرِيقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِبٌ فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ كَلاَمَهُ فَأَعْجَبَهُ فَكَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ مَرَّ بِالرَّاهِبِ وَقَعَدَ إِلَيْهِ فَإِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فَقَالَ إِذَا خَشِيتَ السَّاحِرَ فَقُلْ حَبَسَنِي أَهْلِي ‏.‏ وَإِذَا خَشِيتَ أَهْلَكَ فَقُلْ حَبَسَنِي السَّاحِرُ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَتَى عَلَى دَابَّةٍ عَظِيمَةٍ قَدْ حَبَسَتِ النَّاسَ فَقَالَ الْيَوْمَ أَعْلَمُ آلسَّاحِرُ أَفْضَلُ أَمِ الرَّاهِبُ أَفْضَلُ فَأَخَذَ حَجَرًا فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَمْرُ الرَّاهِبِ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فَاقْتُلْ هَذِهِ الدَّابَّةَ حَتَّى يَمْضِيَ النَّاسُ ‏.‏ فَرَمَاهَا فَقَتَلَهَا وَمَضَى النَّاسُ فَأَتَى الرَّاهِبَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ أَىْ بُنَىَّ أَنْتَ الْيَوْمَ أَفْضَلُ مِنِّي ‏.‏ قَدْ بَلَغَ مِنْ أَمْرِكَ مَا أَرَى وَإِنَّكَ سَتُبْتَلَى فَإِنِ ابْتُلِيتَ فَلاَ تَدُلَّ عَلَىَّ ‏.‏ وَكَانَ الْغُلاَمُ يُبْرِئُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ وَيُدَاوِي النَّاسَ مِنْ سَائِرِ الأَدْوَاءِ فَسَمِعَ جَلِيسٌ لِلْمَلِكِ كَانَ قَدْ عَمِيَ فَأَتَاهُ بِهَدَايَا كَثِيرَةٍ فَقَالَ مَا هَا هُنَا لَكَ أَجْمَعُ إِنْ أَنْتَ شَفَيْتَنِي فَقَالَ إِنِّي لاَ أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ فَإِنْ أَنْتَ آمَنْتَ بِاللَّهِ دَعَوْتُ اللَّهَ فَشَفَاكَ ‏.‏ فَآمَنَ بِاللَّهِ فَشَفَاهُ اللَّهُ فَأَتَى الْمَلِكَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ كَمَا كَانَ يَجْلِسُ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَنْ رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ قَالَ رَبِّي ‏.‏ قَالَ وَلَكَ رَبٌّ غَيْرِي قَالَ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ ‏.‏ فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الْغُلاَمِ فَجِيءَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ أَىْ بُنَىَّ قَدْ بَلَغَ مِنْ سِحْرِكَ مَا تُبْرِئُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ وَتَفْعَلُ وَتَفْعَلُ ‏.‏ فَقَالَ إِنِّي لاَ أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ ‏.‏ فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الرَّاهِبِ فَجِيءَ بِالرَّاهِبِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ ‏.‏ فَأَبَى فَدَعَا بِالْمِئْشَارِ فَوَضَعَ الْمِئْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فَشَقَّهُ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِجَلِيسِ الْمَلِكِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ ‏.‏ فَأَبَى فَوَضَعَ الْمِئْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فَشَقَّهُ بِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِالْغُلاَمِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ ‏.‏ فَأَبَى فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَاصْعَدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَإِذَا بَلَغْتُمْ ذُرْوَتَهُ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلاَّ فَاطْرَحُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَصَعِدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَقَالَ اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ ‏.‏ فَرَجَفَ بِهِمُ الْجَبَلُ فَسَقَطُوا وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ قَالَ كَفَانِيهِمُ اللَّهُ ‏.‏ فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَاحْمِلُوهُ فِي قُرْقُورٍ فَتَوَسَّطُوا بِهِ الْبَحْرَ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلاَّ فَاقْذِفُوهُ ‏.‏ فَذَهَبُوا بِهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ ‏.‏ فَانْكَفَأَتْ بِهِمُ السَّفِينَةُ فَغَرِقُوا وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ قَالَ كَفَانِيهِمُ اللَّهُ ‏.‏ فَقَالَ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لَسْتَ بِقَاتِلِي حَتَّى تَفْعَلَ مَا آمُرُكَ بِهِ ‏.‏ قَالَ وَمَا هُوَ قَالَ تَجْمَعُ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ وَتَصْلُبُنِي عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ خُذْ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِي ثُمَّ ضَعِ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ ثُمَّ قُلْ بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ ‏.‏ ثُمَّ ارْمِنِي فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتَنِي ‏.‏ فَجَمَعَ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ وَصَلَبَهُ عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ ثُمَّ وَضَعَ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ ثُمَّ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ ‏.‏ ثُمَّ رَمَاهُ فَوَقَعَ السَّهْمُ فِي صُدْغِهِ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي صُدْغِهِ فِي مَوْضِعِ السَّهْمِ فَمَاتَ فَقَالَ النَّاسُ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ ‏.‏ فَأُتِيَ الْمَلِكُ فَقِيلَ لَهُ أَرَأَيْتَ مَا كُنْتَ تَحْذَرُ قَدْ وَاللَّهِ نَزَلَ بِكَ حَذَرُكَ قَدْ آمَنَ النَّاسُ ‏.‏ فَأَمَرَ بِالأُخْدُودِ فِي أَفْوَاهِ السِّكَكِ فَخُدَّتْ وَأَضْرَمَ النِّيرَانَ وَقَالَ مَنْ لَمْ يَرْجِعْ عَنْ دِينِهِ فَأَحْمُوهُ فِيهَا ‏.‏ أَوْ قِيلَ لَهُ اقْتَحِمْ ‏.‏ فَفَعَلُوا حَتَّى جَاءَتِ امْرَأَةٌ وَمَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا فَتَقَاعَسَتْ أَنْ تَقَعَ فِيهَا فَقَالَ لَهَا الْغُلاَمُ يَا أُمَّهِ اصْبِرِي فَإِنَّكِ عَلَى الْحَقِّ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هداب بن خالد، حدثنا حماد بن سلمة، حدثنا ثابت، عن عبد الرحمن بن، ابي ليلى عن صهيب، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ كان ملك فيمن كان قبلكم وكان له ساحر فلما كبر قال للملك اني قد كبرت فابعث الى غلاما اعلمه السحر ‏.‏ فبعث اليه غلاما يعلمه فكان في طريقه اذا سلك راهب فقعد اليه وسمع كلامه فاعجبه فكان اذا اتى الساحر مر بالراهب وقعد اليه فاذا اتى الساحر ضربه فشكا ذلك الى الراهب فقال اذا خشيت الساحر فقل حبسني اهلي ‏.‏ واذا خشيت اهلك فقل حبسني الساحر ‏.‏ فبينما هو كذلك اذ اتى على دابة عظيمة قد حبست الناس فقال اليوم اعلم الساحر افضل ام الراهب افضل فاخذ حجرا فقال اللهم ان كان امر الراهب احب اليك من امر الساحر فاقتل هذه الدابة حتى يمضي الناس ‏.‏ فرماها فقتلها ومضى الناس فاتى الراهب فاخبره فقال له الراهب اى بنى انت اليوم افضل مني ‏.‏ قد بلغ من امرك ما ارى وانك ستبتلى فان ابتليت فلا تدل على ‏.‏ وكان الغلام يبرى الاكمه والابرص ويداوي الناس من ساىر الادواء فسمع جليس للملك كان قد عمي فاتاه بهدايا كثيرة فقال ما ها هنا لك اجمع ان انت شفيتني فقال اني لا اشفي احدا انما يشفي الله فان انت امنت بالله دعوت الله فشفاك ‏.‏ فامن بالله فشفاه الله فاتى الملك فجلس اليه كما كان يجلس فقال له الملك من رد عليك بصرك قال ربي ‏.‏ قال ولك رب غيري قال ربي وربك الله ‏.‏ فاخذه فلم يزل يعذبه حتى دل على الغلام فجيء بالغلام فقال له الملك اى بنى قد بلغ من سحرك ما تبرى الاكمه والابرص وتفعل وتفعل ‏.‏ فقال اني لا اشفي احدا انما يشفي الله ‏.‏ فاخذه فلم يزل يعذبه حتى دل على الراهب فجيء بالراهب فقيل له ارجع عن دينك ‏.‏ فابى فدعا بالمىشار فوضع المىشار في مفرق راسه فشقه حتى وقع شقاه ثم جيء بجليس الملك فقيل له ارجع عن دينك ‏.‏ فابى فوضع المىشار في مفرق راسه فشقه به حتى وقع شقاه ثم جيء بالغلام فقيل له ارجع عن دينك ‏.‏ فابى فدفعه الى نفر من اصحابه فقال اذهبوا به الى جبل كذا وكذا فاصعدوا به الجبل فاذا بلغتم ذروته فان رجع عن دينه والا فاطرحوه فذهبوا به فصعدوا به الجبل فقال اللهم اكفنيهم بما شىت ‏.‏ فرجف بهم الجبل فسقطوا وجاء يمشي الى الملك فقال له الملك ما فعل اصحابك قال كفانيهم الله ‏.‏ فدفعه الى نفر من اصحابه فقال اذهبوا به فاحملوه في قرقور فتوسطوا به البحر فان رجع عن دينه والا فاقذفوه ‏.‏ فذهبوا به فقال اللهم اكفنيهم بما شىت ‏.‏ فانكفات بهم السفينة فغرقوا وجاء يمشي الى الملك فقال له الملك ما فعل اصحابك قال كفانيهم الله ‏.‏ فقال للملك انك لست بقاتلي حتى تفعل ما امرك به ‏.‏ قال وما هو قال تجمع الناس في صعيد واحد وتصلبني على جذع ثم خذ سهما من كنانتي ثم ضع السهم في كبد القوس ثم قل باسم الله رب الغلام ‏.‏ ثم ارمني فانك اذا فعلت ذلك قتلتني ‏.‏ فجمع الناس في صعيد واحد وصلبه على جذع ثم اخذ سهما من كنانته ثم وضع السهم في كبد القوس ثم قال باسم الله رب الغلام ‏.‏ ثم رماه فوقع السهم في صدغه فوضع يده في صدغه في موضع السهم فمات فقال الناس امنا برب الغلام امنا برب الغلام امنا برب الغلام ‏.‏ فاتي الملك فقيل له ارايت ما كنت تحذر قد والله نزل بك حذرك قد امن الناس ‏.‏ فامر بالاخدود في افواه السكك فخدت واضرم النيران وقال من لم يرجع عن دينه فاحموه فيها ‏.‏ او قيل له اقتحم ‏.‏ ففعلوا حتى جاءت امراة ومعها صبي لها فتقاعست ان تقع فيها فقال لها الغلام يا امه اصبري فانك على الحق ‏"‏ ‏.‏


Suhaib reported that Allah's Messenger (ﷺ) thus said:
There lived a king before you and he had a (court) magician. As he (the magician) grew old, he said to the king: I have grown old, send some young boy to me so that I should teach him magic. He (the king) sent to him a young man so that he should train him (in magic). And on his way (to the magician) he (the young man) found a monk sitting there. He (the young man) listened to his (the monk's) talk and was impressed by it. It became his habit that on his way to the magician he met the monk and set there and he came to the magician (late). He (the magician) beat him because of delay. He made a complaint of that to the monk and he said to him: When you feel afraid of the magician, say: Members of my family had detained me. And when you feel afraid of your family you should say: The magician had detained me. It so happened that there came a huge beast (of prey) and it blocked the way of the people, and he (the young boy) said: I will come to know today whether the magician is superior or the monk is superior. He picked up a stone and said: O Allah, if the affair of the monk is dearer to Thee than the affair of the magician, cause death to this animal so that the people should be able to move about freely. He threw that stone towards it and killed it and the people began to move about (on the path freely). He (the young man) then came to that monk and Informed him and the monk said: Sonny, today you are superior to me. Your affair has come to a stage where I find that you would be soon put to a trial, and in case you are put to a trial don't give my clue. That young man began to treat the blind and those suffering from leprosy and he in fact began to cure people from (all kinds) of illness. When a companion of the king who had gone blind heard about him, he came to him with numerous gifts and said: If you cure me all these things collected together here would be yours. Be said: I myself do not cure anyone. It is Allah Who cures and if you affirm faith in Allah, I shall also supplicate Allah to cure you. He affirmed his faith in Allah and Allah cured him and he came to the king and sat by his side as he used to sit before. The king said to him: Who restored your eyesight? He said: My Lord. Thereupon he said: It means that your Lord is One besides me. He said: My Lord and your Lord is Allah, so he (the king) took hold of him and tormented him till he gave a clue of that boy. The young man was thus summoned and the king said to him: O boy, it has been conveyed to me that you have become so much proficient in your magic that you cure the blind and those suffering from leprosy and you do such and such things. Thereupon he said: I do not cure anyone; it is Allah Who cures, and he (the king) took hold of him and began to torment him. So he gave a clue of the monk. The monk was thus summoned and it was said to him: You should turn back from your religion. He, however, refused to do so. He (ordered) for a saw to be brought (and when it was done) he (the king) placed it in the middle of his head and tore it into parts till a part fell down. Then the courtier of the king was brought and it was said to him: Turn back from your religion. Arid he refused to do so, and the saw was placed in the midst of his head and it was torn till a part fell down. Then that young boy was brought and it was said to him: Turn back from your religion. He refused to do so and he was handed over to a group of his courtiers. And he 'said to them: Take him to such and such mountain; make him climb up that mountain and when you reach its top (ask him to renounce his faith) but if he refuses to do so, then throw him (down the mountain). So they took him and made him climb up the mountain and he said: O Allah, save me from them (in any way) Thou likest and the mountain began to quake and they all fell down and that person came walking to the king. The king said to him: What has happened to your companions? He said: Allah has saved me from them. He again handed him to some of his courtiers and said: Take him and carry him in a small boat and when you reach the middle of the ocean (ask him to renounce) his religion, but if he does not renounce his religion throw him (into the water). So they took him and he said: O Allah, save me from them and what they want to do. It was quite soon that the boat turned over and they were drowned and he came walking to the king, and the king said to him: What has happened to your companions? He said: Allah has saved me from them, and he said to the king: You cannot kill me until you do what I ask you to do. And he said: What is that? He said: You should gather people in a plain and hang me by the trunk (of a tree). Then take hold of an arrow from the quiver and say: In the name of Allah, the Lord of the young boy; then shoot an arrow and if you do that then you would be able to kill me. So he (the king) called the people in an open plain and tied him (the boy) to the trunk of a tree, then he took hold of an arrow from his quiver and then placed the arrow in the bow and then said: In the name of Allah, the Lord of the young boy; he then shot an arrow and it bit his temple. He (the boy) placed his hands upon the temple where the arrow had bit him and he died and the people said: We affirm our faith in the Lord of this young man, we affirm our faith in the Lord of this young man, we affirm our faith in the Lord of this young man. The courtiers came to the king and it was said to him: Do you see that Allah has actually done what you aimed at averting. They (the people) have affirmed their faith in the Lord. He (the king) commanded ditches to be dug at important points in the path. When these ditches were dug, and the fire was lit in them it was said (to the people): He who would not turn back from his (boy's) religion would be thrown in the fire or it would be said to them to jump in that. (The people courted death but did not renounce religion) till a woman came with her child and she felt hesitant in jumping into the fire and the child said to her: 0 mother, endure (this ordeal) for it is the Truth.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫৬/ যুহুদ ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা সম্পর্কিত বর্ণনা (كتاب الزهد والرقائق)