১১৭৯

পরিচ্ছেদঃ তোমার ব্যাপার তোমার হাতে বলা প্রসঙ্গে।

১১৭৯. আলী ইবনু নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়্যূব (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি হাসান ব্যতীত অন্য কাউকে জানেন যে, ’’তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ বললে তা তিন তালাক বলে তিনি গন্য করেছেন? তিনি বললেন, না। কেবল হাসানই (এমত পোষন করেন)। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, কাতাদা (রহঃ) আমাকে বানূ সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীর-আবূ সালামা-আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এতে তিন তালাক বলে গণ্য হবে। আয়্যূব বলেন, পরে আমি ইবনু সামূরার আযাদকৃত দাস কাছীরের সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তিনি এটি চিনতে পারেননি। অনন্তর কাতাদার কাছে এসে এই সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলে তিনি বললেন, কাছীর এটি ভুলে গেছেন। - যইফ আবু আউদ ৩৭৯, বিবৃতিটি হাসানের এটাই সহিহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। সুলায়মান ইবনু হারব-হাম্মাদ ইবনু যায়দ ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা তা অবহিত হইনি। আমি মুহাম্মাদ (আল-বুখারী) (রহঃ)-কে এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি বললেন, সুলায়মান ইবনু হারব এটিকে হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। এটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মওকুফ হিসেবে বর্ণিত আছে। তিনি এটিকে আবূ হুরায়রা (রা্) থেকে মারফূ’ হিসেবে জানেননা। রাবী আলী ইবনু নাসর ছিলেন, হাদীস বিশারদ এবং হাফিজুল হাদীস। ’’তোমার ব্যাপার তোমার হাতে’’ স্ত্রীকে এই কথা বললে কি হবে এতদ্বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। উমার ইবনুল খাত্তাব ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সহ কতক সাহাবী বলেন, এতে এক তালাক গণ্য হবে। এ হলো তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের অন্যান্য আলিমগেদর অভিমত।

উছমান ইবনু আফফান ও যায়দ ইবনু ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, স্ত্রী যা নিয়্যত করবে তার উপর ফায়সালা হবে। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যদি কেউ তার স্ত্রীকে তার ব্যাপার তার হাতেই ন্যস্ত করে দেয় এমতাবস্থায় সে নিজেকে তিন তালাক দিয়ে দেয় এবং স্বামী যদি তা স্বীকার না করে বরং বলে আমি তার হাতে মাত্র এক তালাকের অধিকার ন্যাস্ত করেছিলাম তবে স্বামীর নিকট থেকে কসম লওয়া হবে। এই বিষয়ে কসম সহ স্বামীর কথাই গ্রহণীয় হবে। ইমাম সুফইয়ান ও কূফাবাসী ফকীহগণ এই বিষয়ে উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর মতামত গ্রহন করেছেন। ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) বলেন, স্ত্রী যা করবে তার উপরই ফায়সালা হবে। ইমাম আহমদ (রহঃ) এরও এ অভিমত। আর ইমাম ইসহাক (রহঃ) ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মত গ্রহণ করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ لأَيُّوبَ هَلْ عَلِمْتَ أَنَّ أَحَدًا قَالَ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ أَنَّهَا ثَلاَثٌ إِلاَّ الْحَسَنَ فَقَالَ لاَ إِلاَّ الْحَسَنَ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ غَفْرًا إِلاَّ مَا حَدَّثَنِي قَتَادَةُ عَنْ كَثِيرٍ مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَيُّوبُ فَلَقِيتُ كَثِيرًا - مَوْلَى ابْنِ سَمُرَةَ فَسَأَلْتُهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ فَرَجَعْتُ إِلَى قَتَادَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ نَسِيَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ ‏.‏
وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، بِهَذَا وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مَوْقُوفٌ ‏.‏ وَلَمْ يُعْرَفْ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا ‏.‏ وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ حَافِظًا صَاحِبَ حَدِيثٍ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَمْرُكِ بِيَدِكِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ هِيَ وَاحِدَةٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ ‏.‏ وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا جَعَلَ أَمْرَهَا بِيَدِهَا وَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا ثَلاَثًا وَأَنْكَرَ الزَّوْجُ وَقَالَ لَمْ أَجْعَلْ أَمْرَهَا بِيَدِهَا إِلاَّ فِي وَاحِدَةٍ اسْتُحْلِفَ الزَّوْجُ وَكَانَ الْقَوْلُ قَوْلَهُ مَعَ يَمِينِهِ ‏.‏ وَذَهَبَ سُفْيَانُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ إِلَى قَوْلِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَأَمَّا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فَقَالَ الْقَضَاءُ مَا قَضَتْ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ ‏.‏ وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَذَهَبَ إِلَى قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا علي بن نصر بن علي، حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، قال قلت لايوب هل علمت ان احدا قال في امرك بيدك انها ثلاث الا الحسن فقال لا الا الحسن ‏.‏ ثم قال اللهم غفرا الا ما حدثني قتادة عن كثير مولى ابن سمرة عن ابي سلمة عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ثلاث ‏"‏ ‏.‏ قال ايوب فلقيت كثيرا - مولى ابن سمرة فسالته فلم يعرفه فرجعت الى قتادة فاخبرته فقال نسي ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث سليمان بن حرب عن حماد بن زيد ‏.‏ وسالت محمدا عن هذا الحديث، فقال حدثنا سليمان بن حرب، عن حماد بن زيد، بهذا وانما هو عن ابي هريرة، موقوف ‏.‏ ولم يعرف حديث ابي هريرة مرفوعا ‏.‏ وكان علي بن نصر حافظا صاحب حديث ‏.‏ وقد اختلف اهل العلم في امرك بيدك فقال بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم منهم عمر بن الخطاب وعبد الله بن مسعود هي واحدة ‏.‏ وهو قول غير واحد من اهل العلم من التابعين ومن بعدهم ‏.‏ وقال عثمان بن عفان وزيد بن ثابت القضاء ما قضت ‏.‏ وقال ابن عمر اذا جعل امرها بيدها وطلقت نفسها ثلاثا وانكر الزوج وقال لم اجعل امرها بيدها الا في واحدة استحلف الزوج وكان القول قوله مع يمينه ‏.‏ وذهب سفيان واهل الكوفة الى قول عمر وعبد الله ‏.‏ واما مالك بن انس فقال القضاء ما قضت ‏.‏ وهو قول احمد ‏.‏ واما اسحاق فذهب الى قول ابن عمر ‏.‏


Hammad bin Yazid said:
"I said to Abu Ayyub: 'Do you know of anyone who said that: "Your case is up to you?" counts as three besides Al-Hasan?' He said: "No, not besides Al-Hasan.' Then he said: 'O Allah forgive me - except for what has been narrated to me by Qatadah, from Kathir the freed slave of Banu Samurah, from Abu Salamah, from Abu Hurairah, that the Prophet said: "Three.'"Abu Ayyub said: 'So I met Kathir the freed slave of Banu Samurah and asked him about it, but he was not aware of it. So I returned to Qatadah and informed him about that and he said: "He forgot."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ তালাক ও লি’আন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ)