২৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান

২৩৩৮। আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... যায়দ ইবনু ওয়াহব জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ঐ সৈন্যদলের মধ্যে ছিলেন, যারা আলী (রাঃ) এর সাথে খারেজী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সফর করেছিলেন। আলী (রাঃ) বললেন, হে লোক সকল! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার উম্মাত থেকে এমন একদল সেনাক বের হবে যারা কুরআন পাঠ করবে। কিন্তু তোমাদের কিরা’আত তাদের কিরআতের সামনে কিছুই নয়। তোমাদের সালাত তাদের সালাতের তুলনায় কিছুই নয় এবং তোমাদের সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) তাদের সাওমের তুলনায় কিছুই নয়। তারা কুরআন পাঠ করবে আর ভাববে তা তাদের পক্ষে। প্রকৃতপক্ষে তা তাদের বিপক্ষে। তাদের সালাত তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে বের হয়ে যায়, যে সেনাদল কর্তৃক তারা আক্রান্ত হবে তাদের সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখে যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা যদি সৈন্যগণ জানত তবে অবশ্যই তারা আমল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকত।

তাদের নিদর্শন এই যে, তাদের মাঝে এমন এক ব্যাক্তি হবে যার বাহুর সঙ্গে হাত থাকবে না। স্তনের বোটার ন্যায় এর উপরে থাকবে সাদা কতগুলো পশম। [আলী (রাঃ)] বলেন, তোমরা মু’আবিয়া (রাঃ) ও সিরিয়াবাসীদের দিকে আগ্রসর হচ্ছে এবং তাদেরকে এড়িয়ে যাচ্ছ অথচ তারা তোমাদের পেছনে তোমাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে কষ্ট দিবে এবং তোমাদের ধন সম্পদ নষ্ট করবে। আল্লাহর শপথ! আমি আশংকা করি তারাই ঐ কাওম যারা অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটাবে এবং মানুষের পশুগুলো লূণ্ঠন করবে। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য চল।

সালামা ইবনু কুহায়ল (রাঃ) বলেন, এরপর যায়দ ইবনু ওয়াহব (রহঃ) আমার নিকট সৈন্যদের বিভিন্ন মনজিলে অবতরণের কথা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, যেতে যেতে আমরা একটি পুল অতিক্রম করলাম। এরপর আমরা তাদের সাক্ষাত পেলাম। সে দিন খারেজীদের সেনাপতি ছিল, আবদুল্লাহ ইবনু ওয়াহাব রাসিবী। সে তাদেরকে নির্দেশ দিল, তোমরা বর্শা রেখে দাও এবং তরবারী খাপ মুক্ত কর। আমি আশংকা করছি, তারা তোমাদের প্রতি হামলা করবে যেমন হারুরার দিন হামলা করেছিল। এরপর তারা ফিরে গিয়ে নিজ বর্শা খুলে রেখে দিল এবং তরবারী কোষমুক্ত করল। মুসলিমগণ বর্শা দ্বারা তাদের প্রতি আক্রমণ করলে তারা নিতে হয়ে একের পর এক ধরাশায়ী হতে লাগল। সে দিন মুসলিমদের দুই ব্যাক্তই কেবল শহীদ হয়েছিলেন।

তখন আলী (রাঃ) বললেন, তোমরা এদের মধ্যে খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে তালাশ কর। তারা সকলেই তাকে তালাশ করলেন কিন্তু কোথাও পেলেন না। এরপর আলী (রাঃ) স্বয়ং দাঁড়ালেন এবং একের পর এক পতিত লাশগুলোর কাছে গেলেন। এরপর তিনি লাশগুলো সরাবার নির্দেশ দিলেন। এ সময় তারা মাটির সাথে লেগে থাকা অবস্থায় খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে পেয়ে গেলেন।

তখন আলী (রাঃ) “আল্লাহু আকবার” ধ্বনি দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যথাযথভাবে পৌছিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আবীদা সালমানী (রাঃ) তার নিকট দাঁড়িয়ে বললেন, হে আমীযুল মুমিনীন! তিনিই আল্লাহ , যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আপনি এ হাদীস শুনেছো কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। এভাবে আবীদা তাকে তিনবার কসম করতে বললেন এবং তিনি তার কোথায় কসম করলেন।

باب التحريض على قتل الخوارج

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ، أَنَّهُ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - الَّذِينَ سَارُوا إِلَى الْخَوَارِجِ فَقَالَ عَلِيٌّ رضى الله عنه أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ بِشَىْءٍ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسِبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ‏"‏ ‏.‏ لَوْ يَعْلَمُ الْجَيْشُ الَّذِينَ يُصِيبُونَهُمْ مَا قُضِيَ لَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم لاَتَّكَلُوا عَنِ الْعَمَلِ وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّ فِيهِمْ رَجُلاً لَهُ عَضُدٌ وَلَيْسَ لَهُ ذِرَاعٌ عَلَى رَأْسِ عَضُدِهِ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ فَتَذْهَبُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ وَتَتْرُكُونَ هَؤُلاَءِ يَخْلُفُونَكُمْ فِي ذَرَارِيِّكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونُوا هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ فَإِنَّهُمْ قَدْ سَفَكُوا الدَّمَ الْحَرَامَ وَأَغَارُوا فِي سَرْحِ النَّاسِ فَسِيرُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ فَنَزَّلَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ مَنْزِلاً حَتَّى قَالَ مَرَرْنَا عَلَى قَنْطَرَةٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا وَعَلَى الْخَوَارِجِ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ فَقَالَ لَهُمْ أَلْقُوا الرِّمَاحَ وَسُلُّوا سُيُوفَكُمْ مِنْ جُفُونِهَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يُنَاشِدُوكُمْ كَمَا نَاشَدُوكُمْ يَوْمَ حَرُورَاءَ ‏.‏ فَرَجَعُوا فَوَحَّشُوا بِرِمَاحِهِمْ وَسَلُّوا السُّيُوفَ وَشَجَرَهُمُ النَّاسُ بِرِمَاحِهِمْ - قَالَ - وَقُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَمَا أُصِيبَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ رَجُلاَنِ فَقَالَ عَلِيٌّ رضى الله عنه الْتَمِسُوا فِيهِمُ الْمُخْدَجَ ‏.‏ فَالْتَمَسُوهُ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَامَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - بِنَفْسِهِ حَتَّى أَتَى نَاسًا قَدْ قُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ قَالَ أَخِّرُوهُمْ ‏.‏ فَوَجَدُوهُ مِمَّا يَلِي الأَرْضَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَبَلَّغَ رَسُولُهُ - قَالَ - فَقَامَ إِلَيْهِ عَبِيدَةُ السَّلْمَانِيُّ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَسَمِعْتَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ ‏.‏ حَتَّى اسْتَحْلَفَهُ ثَلاَثًا وَهُوَ يَحْلِفُ لَهُ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبد الرزاق بن همام، حدثنا عبد الملك بن ابي سليمان، حدثنا سلمة بن كهيل، حدثني زيد بن وهب الجهني، انه كان في الجيش الذين كانوا مع علي - رضى الله عنه - الذين ساروا الى الخوارج فقال علي رضى الله عنه ايها الناس اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ يخرج قوم من امتي يقرءون القران ليس قراءتكم الى قراءتهم بشىء ولا صلاتكم الى صلاتهم بشىء ولا صيامكم الى صيامهم بشىء يقرءون القران يحسبون انه لهم وهو عليهم لا تجاوز صلاتهم تراقيهم يمرقون من الاسلام كما يمرق السهم من الرمية ‏"‏ ‏.‏ لو يعلم الجيش الذين يصيبونهم ما قضي لهم على لسان نبيهم صلى الله عليه وسلم لاتكلوا عن العمل واية ذلك ان فيهم رجلا له عضد وليس له ذراع على راس عضده مثل حلمة الثدى عليه شعرات بيض فتذهبون الى معاوية واهل الشام وتتركون هولاء يخلفونكم في ذراريكم واموالكم والله اني لارجو ان يكونوا هولاء القوم فانهم قد سفكوا الدم الحرام واغاروا في سرح الناس فسيروا على اسم الله ‏.‏ قال سلمة بن كهيل فنزلني زيد بن وهب منزلا حتى قال مررنا على قنطرة فلما التقينا وعلى الخوارج يومىذ عبد الله بن وهب الراسبي فقال لهم القوا الرماح وسلوا سيوفكم من جفونها فاني اخاف ان يناشدوكم كما ناشدوكم يوم حروراء ‏.‏ فرجعوا فوحشوا برماحهم وسلوا السيوف وشجرهم الناس برماحهم - قال - وقتل بعضهم على بعض وما اصيب من الناس يومىذ الا رجلان فقال علي رضى الله عنه التمسوا فيهم المخدج ‏.‏ فالتمسوه فلم يجدوه فقام علي - رضى الله عنه - بنفسه حتى اتى ناسا قد قتل بعضهم على بعض قال اخروهم ‏.‏ فوجدوه مما يلي الارض فكبر ثم قال صدق الله وبلغ رسوله - قال - فقام اليه عبيدة السلماني فقال يا امير المومنين الله الذي لا اله الا هو لسمعت هذا الحديث من رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اي والله الذي لا اله الا هو ‏.‏ حتى استحلفه ثلاثا وهو يحلف له ‏.‏


Zaid b. Wahb Juhani reported and he was among the squadron which was under the command of Ali (Allah be pleased with him) and which set out (to curb the activities) of the Khawarij. 'Ali (Allah be pleased with him) said:
O people, I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There would arise from my Ummah a people who would recite the Qur'an, and your recital would seem insignificant as compared with their recital, your prayer as compared with their prayer, and your fast, as compared with their fast. They would recite the Qur'an thinking that it supports them, whereas it is an evidence against them. Their prayer does not get beyond their collar bone; they would swerve through Islam just as the arrow passes through the prey. If the squadron which is to encounter them were to know (what great boon) has been assured to them by their Messenger (ﷺ) they would completely rely upon this deed (alone and cease to do other good deeds), and their (that of the Khawarij) distinctive mark is that there would be (among them) a person whose wrist would be without the arm, and the end of his wrist would be fleshy like the nipple of the breast on which there would be white hair. You would be marching towards Muawiya and the people of Syria and you would leave them behind among your children and your property (to do harm). By Allah, I believe that these are the people (against whom you have been commanded to fight and get reward) for they have shed forbidden blood, and raided the animals of the people. So go forth in the name of Allah (to fight against them). Salama b. Kuhail mentioned that Zaid b. Wahb made me alight at every stage, till we crossed a bridge. 'Abdullah b. Wahb al-Rasibi was at the head of the Khawarij when we encountered them. He ('Abdullah) said to his army: Throw the spears and draw out your swords from their sheaths, for I fear that they would attack you as they attacked you on the day of Harura. They went back and threw their spears and drew out their swords, and people fought against them with spears and they were killed one after another. Only two persons were killed among the people (among the army led by 'Ali) on that day. 'Ali (Allah be pleased with him) said: Find out from among them (the dead bodies of the Khawarij) (the maimed). They searched but did not find him. 'Ali (Allah be pleased with him) then himself stood up and (walked) till he came to the people who had been killed one after another. He ('Ali) said: Search them to the last, and then ('Ali's companions) found him (the dead body of the maimed) near the earth. He ('Ali) then pronounced Allahu Akbar (Allah is the Greatest) and then said, Allah told the Truth and His Messenger (ﷺ) conveyed it. Then there stood before him 'Abida Salmani who said: Commander of the Believers, by Allah, besides Whom there is no god but He, (tell me) whether you heard this hadith from the Messenger of Allah (ﷺ). He said: Yes, by Allah, besides Whom there is no god but He. He asked him to take an oath thrice and he took the oath.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ যাকাত (كتاب الزكاة)