২১৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দান-সদকায় উৎসাহ প্রদান

২১৭৮। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদিনায় এলাম। সে সময় কুরায়শ নেতৃবৃন্দের একটি হালকায় বসাছিলাম। তখন খসখসে বস্ত্র, খসখসে শরীর ও খসখসে চেহারা নিয়ে এক ব্যাক্তি এসে তাদের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, সম্পদ পূঞ্জীভূতকারী ব্যাক্তিদেরকে সুসংবাদ দিন, এমন গরম পাথরের যা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তাদের বুকের উপর রাখা হবে। ফলে তাদের গ্রীবা দেশের হাড় বিদীর্ণ করে অপর দিকে বের হয়ে যাবে। আবার তার ঘাড়ের হাড়ের উপর রাখা হবে। এমনকি তা স্তনাগ্র ভেদ করে বের হবে।

রাবী বলেন, এ সময় লোকেরা তাদের মাথা নত করে রাখলেন। উপস্থিত কাউকে তার এ কথার প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। এরপর লোকটি ফিরে গেলেন। আমি তাঁর পেছনে পেছনে গেলাম। অবশেষে তিনি একটি থামের নিকট গিয়ে বসলেন। আমি বললাম, আপনি তাদেরকে যা বলেছেন, আমার ধারণা তারা তা অপছন্দ মনে করছে। এ কথা শুনে তিনি বললেন, তারা এমন লোক যারা কিছুই বুঝতে পারছে না। আমার বন্ধু আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি তাঁর নিকট যাওয়ার পর তিনি বললেন, তুমি কি উহুদ পাহাড়টি দেখতে পাচ্ছ? তখন আমি লক্ষ্য করলাম, আমার উপর সূর্য আর কতটূকু অবশিষ্ট আছে এবং তিনি তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে তথায় পাঠাবেন। আমি বললাম, জী হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।

তখন তিনি বললেন, আমাকে আনন্দিত করবেনা এ সমপরিমাণ স্বর্ণ আমার কাছে হোক, আর আমি এসব ব্যয় করি তিনটি স্বর্ণ মুদ্রা ব্যতীত। এরপর এসব লোক দুনিয়া সঞ্চয় করছে। অথচ তারা কোন কিছুই বুঝছে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার কুরায়শী ভাইদের সাথে আপনার কী হয়েছে যে, আপনি তাদের সাথে মেলামেশা করেন না, যাননা এবং তাদের কাছ থেকে কিছু লাভ করেন না? তিনি বললেন, না তোমার রবের কসম! আমি তাদের নিকট দুনিয়াও চাইব না এবং দ্বীন সম্পর্কেও কোন কথা জিজ্ঞাসা করব না। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত।

باب التَّرْغِيبِ فِي الصَّدَقَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَبَيْنَا أَنَا فِي، حَلْقَةٍ فِيهَا مَلأٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ أَخْشَنُ الثِّيَابِ أَخْشَنُ الْجَسَدِ أَخْشَنُ الْوَجْهِ فَقَامَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْىِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفَيْهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيَيْهِ يَتَزَلْزَلُ قَالَ فَوَضَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ رَجَعَ إِلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَدْبَرَ وَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ هَؤُلاَءِ إِلاَّ كَرِهُوا مَا قُلْتَ لَهُمْ ‏.‏ قَالَ إِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا إِنَّ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَتَرَى أُحُدًا ‏"‏ ‏.‏ فَنَظَرْتُ مَا عَلَىَّ مِنَ الشَّمْسِ وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّهُ يَبْعَثُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ فَقُلْتُ أَرَاهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي مِثْلَهُ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ هَؤُلاَءِ يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا لَكَ وَلإِخْوَتِكَ مِنْ قُرَيْشٍ لاَ تَعْتَرِيهِمْ وَتُصِيبُ مِنْهُمْ ‏.‏ قَالَ لاَ وَرَبِّكَ لاَ أَسْأَلُهُمْ عَنْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ‏.‏

وحدثني زهير بن حرب، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن الجريري، عن ابي، العلاء عن الاحنف بن قيس، قال قدمت المدينة فبينا انا في، حلقة فيها ملا من قريش اذ جاء رجل اخشن الثياب اخشن الجسد اخشن الوجه فقام عليهم فقال بشر الكانزين برضف يحمى عليه في نار جهنم فيوضع على حلمة ثدى احدهم حتى يخرج من نغض كتفيه ويوضع على نغض كتفيه حتى يخرج من حلمة ثدييه يتزلزل قال فوضع القوم رءوسهم فما رايت احدا منهم رجع اليه شيىا - قال - فادبر واتبعته حتى جلس الى سارية فقلت ما رايت هولاء الا كرهوا ما قلت لهم ‏.‏ قال ان هولاء لا يعقلون شيىا ان خليلي ابا القاسم صلى الله عليه وسلم دعاني فاجبته فقال ‏"‏ اترى احدا ‏"‏ ‏.‏ فنظرت ما على من الشمس وانا اظن انه يبعثني في حاجة له فقلت اراه ‏.‏ فقال ‏"‏ ما يسرني ان لي مثله ذهبا انفقه كله الا ثلاثة دنانير ‏"‏ ‏.‏ ثم هولاء يجمعون الدنيا لا يعقلون شيىا ‏.‏ قال قلت ما لك ولاخوتك من قريش لا تعتريهم وتصيب منهم ‏.‏ قال لا وربك لا اسالهم عن دنيا ولا استفتيهم عن دين حتى الحق بالله ورسوله ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported:
I came to Medina and when I was in the company of the grandees of Quraish a man with a crude body and an uncouth face wearing coarse clothes came there. He stood up before them and said: Give glad tidings to those whom who amass riches of the stones which would be heated in the Fire of Hell, and would be placed at the tick of the chest till it would project from the shoulder bone and would he put on the shoulder bone till it would project from the tick of his chest, and it (this stone) would continue passing and repassing (from one side to the other). He (the narrator) said: Then people hung their heads and I saw none among them giving any answer. He then returned and I followed him till he sat near a pillar. I said: I find that these (people) disliked what you said to them and they do not understand anything. My friend Abu'l-Qasim (Muhammad) (may peace he upon him) called me and I responded to him, and he said: Do you see Uhud? I saw the sun (shining) on me and I thought that he would send me on an errand for him. So I said: I see it. Upon this he said: Nothing would delight me more than this that I should have gold like it (equal to the bulk of Uhud), and I should spend it all except three dinars. (How sad it is) that they hoard worldly riches, and they know nothing. I said: What about you and your brothers Quraish? You do not go to thein for any need and do not accept anything from them. He said: By Allah, I neither beg anything from them (from worldly goods), nor do I ask them anything about religion till I meet my Allah and His Messenger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৩/ যাকাত (كتاب الزكاة)