হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৮৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে

৪৮৮৮-[৫] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক বৃদ্ধা মহিলাকে বললেনঃ কোন বৃদ্ধা জান্নাতে যাবে না। বৃদ্ধা জিজ্ঞেস করল, কি কারণে বৃদ্ধারা জান্নাতে যাবে না? অথচ এ বৃদ্ধা মহিলা কুরআন পাঠ করেছিল। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি কুরআনের এ আয়াত পাঠ করনি- إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنشاءً فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا অর্থাৎ- ’’তাদেরকে (অর্থাৎ ঐ হূরদেরকে) আমি সৃষ্টি করেছি এক অভিনব সৃষ্টিতে’’- (সূরাহ্ আল ওয়াক্বি’আহ্ ৫৬ : ৩৫)। (রযীন; আর শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে মাসাবীহের উদ্ধৃতিতে বর্ণিত)[1]

وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِامْرَأَةٍ عَجُوزٍ: «إِنَّهُ لَا تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَجُوزٌ» فَقَالَتْ: وَمَا لَهُنَّ؟ وَكَانَتْ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ. فَقَالَ لَهَا: «أَمَا تَقْرَئِينَ الْقُرْآنَ؟ (إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنشاءً فجعلناهُنَّ أَبْكَارًا) رَوَاهُ رَزِينٌ. وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ» بِلَفْظِ «الْمَصَابِيحِ»

ব্যাখ্যাঃ (قَالَ لِامْرَأَةٍ عَجُوزٍ) বলা হয়েছে যে, এই বৃদ্ধা মহিলার নাম সফিয়্যাহ্ বিনতু ‘আবদুল মুত্ত্বালিব। যিনি যুবায়র ইবনু ‘আও্ওয়াম (রাঃ)-এর মা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফুফু। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(لَا تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَجُوزٌ. فَقَالَتْ: وَمَا لَهُنَّ؟) অর্থাৎ বৃদ্ধা মহিলাগণ কোন কারণে জান্নাতে যেতে পারবে না অথচ তারা মু’মিনাদের অন্তর্ভুক্ত? অর্থাৎ তাদেরও তা সাধারণ যুবতী মু’মিনা নারীদের সাথে জান্নাতের যাওয়ার কথা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(فَقَالَ لَهَا:أَمَا تَقْرَئِينَ الْقُرْآنَ؟) অর্থাৎ বৃদ্ধা মহিলার প্রশ্নের উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করেন। তুমি কি কুরআন পড় না? পবিত্র কুরআন মাজীদেই তো তোমার প্রশ্নের উত্তর আছে। তা হলো মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا ‘‘তাদেরকে (অর্থাৎ ঐ হূরদেরকে) আমি সৃষ্টি করেছি এক অভিনব সৃষ্টিতে’’- (সূরাহ্ আল ওয়াক্বি‘আহ্ ৫৬ : ৩৫)।

মহিলাদেরকে কিভাবে কুমারী করা হবে তার ২টি ব্যাখ্যা আছে। ১. যখনই তাদের স্বামীরা তাদের কাছে সহবাসের জন্য আসবে তখনই তাদেরকে কুমারী পাবে। আর ২. আল্লাহ পরকালে তাদেরকে নব যৌবন দান করবেন। যাতে তারা হূরদের চেয়ে সুন্দরী হয়ে যাবে। আর সে সকল মহিলার কয়েকজন স্বামী থাকবে তাদেরকে সবচেয়ে উত্তম চরিত্রবান স্বামীকে বেছে নেয়ার জন্য স্বাধীনতা দেয়া হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ