হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৪৪১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মানৎ

৩৪৪১-[১৬] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উকবা ইবনু ’আমির (রাঃ)-এর বোন মানৎ করল যে, সে পদব্রজে হজে/হজ্জে যাবে অথচ তার সে শক্তি-সামর্থ্য নেই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার বোনের পায়ে হাঁটার প্রতি আল্লাহ তা’আলা মুখাপেক্ষী নন। সুতরাং সে যেন সওয়ারীতে আরোহণ করে যায় এবং (কাফফারা স্বরূপ) একটি উট যাবাহ করে। (আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]

আবূ দাঊদ-এর অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মহিলাকে আরোহণ করে যাওয়ার পরে একটি কুরবানী করার নির্দেশ করেছিলেন। আবূ দাঊদ-এর অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমার বোনের এ কষ্টের দরুন কোনো সাওয়াব দেবেন না। সুতরাং সে যেন আরোহণ করে হজে/হজ্জে যায় এবং মানতের কাফফারা আদায় করে।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ أُخْتَ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ مَاشِيَة وَأَنَّهَا لَا تطِيق ذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ عَنْ مَشْيِ أُخْتِكَ فَلْتَرْكَبْ وَلْتُهْدِ بَدَنَةً» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ: فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرْكَبَ وَتُهْدِيَ هَدْيًا وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَا يَصْنَعُ بِشَقَاءِ أُخْتِكَ شَيْئًا فَلْتَرْكَبْ ولتحج وتكفر يَمِينهَا»

ব্যাখ্যা: (وَتُهْدِىَ هَدْيًا) সর্বনিম্ন কুরবানী হলো ছাগল আর সর্বোচ্চ হলো উট, তবে ছাগল যথেষ্ট হবে আর উটের কুরবানী ভালো।

কাযী (রহঃ) বলেনঃ পায়ে হেঁটে হজ্জ/হজ করা যখন অন্যতম নৈকট্যৈর উদ্দেশ্য হয় তাতে মানৎ ওয়াজিব হয়। ফলে অন্য সকল ‘আমলও অন্তর্ভুক্ত হবে তা ছেড়ে দেয়া বৈধ না, তবে যে অপারগ ছেড়ে দেয়ার জন্য তাকে ফিদ্ইয়াহ্ দিতে হবে, ওয়াজিবের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। ‘আলী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য উট কুরবানী দিতে হবে। আবার কারও মতে ছাগল, যেমন কেউ মীকাত অতিক্রম করে তার জন্য ছাগল আর উটের বিষয়টি নুদুব তথা ভালো। আবার কারও মতে, কোনো কিছু ওয়াজিব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দের দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছেন, ওয়াজিব দৃষ্টিতে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)