পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৭-[৫৭] আবূ সা’লাবাহ্ আল খুশানী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা কিছু জিনিসকে ফরয হিসেবে নির্ধারিত করে দিয়েছেন, সেগুলো ছেড়ে দিবে না। তিনি কিছু জিনিসকে হারাম করে দিয়েছেন সে (হারাম) কাজগুলো করবে না। আর কতকগুলো (জিনিসের) সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেগুলোর সীমালঙ্ঘন করবে না। আর কিছু বিষয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই নীরব রয়েছেন, সে সকল বিষয়ে বিতর্ক-বাহাসে লিপ্ত হবে না। উপরের তিনটি হাদীসই দারাকুত্বনী বর্ণনা করেছেন।[1]
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن أبي ثَعْلَبَة الْخُشَنِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ فَرَضَ فَرَائِضَ فَلَا تُضَيِّعُوهَا وَحَرَّمَ حُرُمَاتٍ فَلَا تَنْتَهِكُوهَا وَحَدَّ حُدُودًا فَلَا تَعْتَدُوهَا وَسَكَتَ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ غَيْرِ نِسْيَانٍ فَلَا تَبْحَثُوا عَنْهَا» . رَوَى الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ الدَّارَقُطْنِيُّ
ব্যাখ্যা: আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন কিছু বিধানকে আবশ্যক করে দিয়েছেন। সেগুলোকে পালন না করে অথবা সেগুলোর শর্ত এবং রুকনকে বর্জনের মাধ্যমে তার আবশ্যকীয়তা নষ্ট করো না। অনুরূপ যে সকল পাপের কাজ হারাম করে দিয়েছেন সেগুলোর নিকটেও যাবে না। হালাল ও হারামের মাঝে যে সীমারেখা করে দিয়েছেন তা অতিক্রম করবে না। এখানে সীমা অতিক্রমের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বিরত না থেকে তা করা।
কিছু বিষয়ে হালাল, হারাম এবং ওয়াজিব ইত্যাদির কোন হুকুম লাগাননি। সেগুলোর কোন বিধান খুঁজতে যাবে না। কারণ তা করলে অন্যান্য হালাল ও হারামের সদৃশ মনে করে বিবেকের নিকট যা হালাল ছিল না তা হালাল অথবা যা হারাম ছিল না তা হারাম বলে বিবেচিত হতে পারে। তাই ঐ সকল বিষয়ে কোন প্রকার গবেষণা করা এবং প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।