পরিচ্ছেদঃ ৩৩০। মদীনার রাস্তার মসজিদসমূহ এবং যে সকল স্থানে নবী (ﷺ) সালাত আদায় করেছিলেন

৪৬৭। মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর মুকাদ্দামী (রহঃ) ..... মূসা ইবনু উকবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে রাস্তার বিশেষ স্থান অনুসন্ধান করে সে সব স্থানে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছি এবং তিনি বর্ণনা করতেন যে, তাঁর পিতাও এসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। আর তিনিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এসব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছেন।

মূসা ইবনু উকবা (রহঃ) বলেনঃ নাফি (রহঃ)-ও আমার কাছে ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সেসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। তারপর আমি সালিম (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করি। আমার জানামতে তিনিও সেসব স্থানে সালাত আদায়ের ব্যাপারে নাফী (রহঃ) এর সাথে একমত পোষণ করেছেন; তবে ’শারাফুর-রাওহা’ নামক স্থানের মসজিদের ব্যাপারে তাঁরা ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَالْمَوَاضِعِ الَّتِي صَلَّى فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ رَأَيْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَتَحَرَّى أَمَاكِنَ مِنَ الطَّرِيقِ فَيُصَلِّي فِيهَا، وَيُحَدِّثُ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُصَلِّي فِيهَا، وَأَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ‏.‏ وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ‏.‏ وَسَأَلْتُ سَالِمًا، فَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ وَافَقَ نَافِعًا فِي الأَمْكِنَةِ كُلِّهَا إِلاَّ أَنَّهُمَا اخْتَلَفَا فِي مَسْجِدٍ بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ‏.‏

حدثنا محمد بن ابي بكر المقدمي، قال حدثنا فضيل بن سليمان، قال حدثنا موسى بن عقبة، قال رايت سالم بن عبد الله يتحرى اماكن من الطريق فيصلي فيها، ويحدث ان اباه كان يصلي فيها، وانه راى النبي صلى الله عليه وسلم يصلي في تلك الامكنة‏.‏ وحدثني نافع عن ابن عمر انه كان يصلي في تلك الامكنة‏.‏ وسالت سالما، فلا اعلمه الا وافق نافعا في الامكنة كلها الا انهما اختلفا في مسجد بشرف الروحاء‏.‏


Narrated Fudail bin Sulaiman: Musa bin `Uqba said, "I saw Salim bin `Abdullah looking for some places on the way and prayed there. He narrated that his father used to pray there, and had seen the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) praying at those very places." Narrated Nafi` on the authority of Ibn `Umar who said, "I used to pray at those places." Musa the narrator added, "I asked Salim on which he said, 'I agree with Nafi` concerning those places, except the mosque situated at the place called Sharaf Ar-Rawha."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সালাত (كتاب الصلاة) 8/ Prayers (Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩৩০। মদীনার রাস্তার মসজিদসমূহ এবং যে সকল স্থানে নবী (ﷺ) সালাত আদায় করেছিলেন

৪৬৮। ইবরাহীম ইবনু মুনযির আল-হিযামী (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরা ও হজ্জের জন্য রওয়ানা হলে ’যুল-হুলায়ফায়’ অবতরণ করতেন, বাবলা গাছের নীচে যুল-হুলায়ফার মসজিদের স্থানে। আর যখন কোন যুদ্ধ থেকে অথবা হাজ্জ (হজ্জ) বা উমরা করে সেই পথে ফিরতেন, তখন উপত্যকার মাঝখানে অবতরণ করতেন। যখন উপত্যকার মাঝখান থেকে উপরের দিকে আসতেন, তখন উপত্যকার তীরে অবস্থিত পূর্ব নিম্নভূমিতে উট বসাতেন। সেখানে তিনি শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিশ্রাম করতেন। এ স্থানটি পাথরের উপর নির্মিত মসজিদের কাছে নয় এবং যে মসজিদ টিলার উপর, তার নিকটেও নয়। এখানে ছিল একটি ঝিল, যার পাশে আবদুল্লাহ (রাঃ) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। এর ভিতরে কতগুলো বালির স্তূপ ছিল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানেই সালাত আদায় করতেন। তারপর নিম্নভূমিতে পানির প্রবাহ হয়ে আবদুল্লাহ (রাঃ) যে স্থানে সালাত আদায় করতেন তা সমান করে দিয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) [নাফি (রহঃ) কে] বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শারাফুর-রাওহা’র মসজিদের কাছে ছোট মসজিদের স্থানে সালাত আদায় করেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে সালাত আদায় করেছিলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) সে স্থানের পরিচয় দিতেন এই বলে যে, যখন তুমি মসজিদে সালাতে দাঁড়াবে তখন তা তোমার ডানদিকে। আর সেই মসজিদটি হল যখন তুমি (মদিনা থেকে) মক্কা যাবে তখন তা ডানদিকের রাস্তার এক পাশে থাকবে। সে স্থান ও বড় মসজিদের মাঝখানে ব্যবধান হল একটি ঢিল নিক্ষেপ পরিমাণ অথবা তার কাছাকাছি। আর ইবনু উমর (রাঃ) রাওহার শেষ মাথায় ’ইরক’ (ছোট পাহাড়) এর কাছে সালাত আদায় করতেন। সেই ’ইরক’ এর শেষ প্রান্ত হল রাস্তার পাশে মসজিদের কাছাকাছি মক্কা যাওয়ার পথে রাওহা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এখনে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এই মসজিদে সালাত করতেন না, বরং সেটাকে তিনি বামদিকে ও পেছনে ফেলে অগ্রসর হয়ে ’ইরক’ এর নিকটে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আর আবদুল্লাহ (রাঃ) রাওহা থেকে বেরিয়ে ঐ স্থানে পৌছার আগে যোহরের সালাত আদায় করতেন না। সেখানে পৌঁছে যোহর আদায় করতেন। মক্কা থেকে আসার সময় এ পথে ভোরের এক ঘণ্টা আগে বা শেষ রাতে আসলে তথায় অবস্থান করে ফজরের সালাত আদায় করতেন।

আবদুল্লাহ (রাঃ) আরো বর্ণনা করেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুওয়ায়ছা’র নিকটে রাস্তার ডানদিকে রাস্তা সংলগ্ন প্রশস্ত সমতল ভূমিতে একটা বিরাট গাছের নীচে অবস্থান করতেন। তারপর তিনি রুওয়ায়ছা’র ডাকঘরের দু’মাইল দূরে টিলার পাশ দিয়ে রওয়ানা হতেন। বর্তমানে গাছটির উপরের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে মাঝখানে ঝুঁকে গেছে। গাছের কাণ্ড এখনো দাঁড়িয়ে আছে। আর তার আশেপাশে অনেকগুলো বালির স্তূপ বিস্তৃত রয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আরো বর্ণনা করেছেনঃ আরজ গ্রামের পরে পাহাড়ের দিকে যেতে যে উচ্চভূমি রয়েছে, তার পাশে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছেন। এই মসজিদের পাশে দু’তিনটি কবর আছে। এসব কবরে পাথরের বড় বড় খণ্ড পড়ে আছে। রাস্তার ডান পাশে গাছের নিকটেই তা অবস্থিত। দুপুরের পর সূর্য ঢলে পড়লে আবদুল্লাহ (রাঃ) ’আরজ’ এর দিকে থেকে এসে গাছের মধ্য দিয়ে যেতেন এবং ঐ মসজিদে যোহরের সালাত আদায় করতেন।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আরো বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রাস্তার বাঁ দিকে বিরাট গাছগুলির কাছে অবতরণ করেন যা ’হারশা’ পাহাড়ের নিকটবর্তী নিম্নভূমির দিকে চলে গেছে। সেই নিম্নভূমিটি ’হারশা’-এর এক প্রান্তের সাথে মিলিত। এখানে থেকে সাধারণ সড়কের দূরত্ব প্রায় এক তীর নিক্ষেপের পরিমাণ। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) সেই গাছগুলির মধ্যে একটির কাছে সালাত আদায় করতেন, যা ছিল রাস্তার নিকটবর্তী এবং সবচাইতে উঁচু।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আরো বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবতরণ করতেন ’মাররুয যাহরান’ উপত্যকার শেষ প্রান্তে নিম্নভূমিতে, যা মদিনার দিকে যেতে ছোট পাহাড়গুলোর নীচে অবস্থিত। তিনি সে নিম্নভূমির মাঝখানে অবতরণ করতেন। এটা মক্কা যাওয়ার পথে বাম পাশে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মনযিল ও রাস্তার মাঝে দূরত্ব এক পাথর নিক্ষেপ পরিমাণ।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আরো বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’যূ-তুওয়া’য় অবতরণ করতেন এবং এখানেই রাত যাপন করতেন আর মক্কায় আসার পথে এখানেই ফজরের সালাত আদায় করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত আদায়ের সেই স্থানটা ছিল একটা বড় টিলার উপরে। যেখানে মসজিদ নির্মিত হয়েছে, সেখানে নয় বরং তার নীচে একটা বড় টিলার উপর।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) তাদের কাছে আরো বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাহাড়ের দু’টো প্রবেশপথ সামনে রাখতেন যা তার ও দীর্ঘ পাহাড়ের মাঝখানে কাবার দিকে রয়েছে। বর্তমানে সেখানে যে মসজিদ নির্মিত করা হয়েছে, সেটিকে তিনি [ইবনু উমর (রাঃ)] টিলার প্রান্তের মসজিদের বাম পাশে রাখতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের স্থান ছিল এর নীচে কাল টিলার উপরে। টিলা থেকে প্রায় দশ হাত দূরে দু’টো পাহাড়ের প্রবেশপথ যা তোমার ও কাবার মাঝখানে রয়েছে—সামনে রেখে তুমি সালাত আদায় করবে।

হাদিস নং - ৪৮৪, ৪৮৫, ৪৮৬, ৪৮৭, ৪৮৮,৪৮৯, ৪৯০, ৪৯১, ৪৯২

بَابُ الْمَسَاجِدِ الَّتِي عَلَى طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَالْمَوَاضِعِ الَّتِي صَلَّى فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ يَعْتَمِرُ، وَفِي حَجَّتِهِ حِينَ حَجَّ، تَحْتَ سَمُرَةٍ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ غَزْوٍ كَانَ فِي تِلْكَ الطَّرِيقِ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ هَبَطَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ، فَإِذَا ظَهَرَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي عَلَى شَفِيرِ الْوَادِي الشَّرْقِيَّةِ، فَعَرَّسَ ثَمَّ حَتَّى يُصْبِحَ، لَيْسَ عِنْدَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِحِجَارَةٍ، وَلاَ عَلَى الأَكَمَةِ الَّتِي عَلَيْهَا الْمَسْجِدُ، كَانَ ثَمَّ خَلِيجٌ يُصَلِّي عَبْدُ اللَّهِ عِنْدَهُ، فِي بَطْنِهِ كُثُبٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَّ يُصَلِّي، فَدَحَا السَّيْلُ فِيهِ بِالْبَطْحَاءِ حَتَّى دَفَنَ ذَلِكَ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي فِيهِ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى حَيْثُ الْمَسْجِدُ الصَّغِيرُ الَّذِي دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْلَمُ الْمَكَانَ الَّذِي كَانَ صَلَّى فِيهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ثَمَّ عَنْ يَمِينِكَ حِينَ تَقُومُ فِي الْمَسْجِدِ تُصَلِّي، وَذَلِكَ الْمَسْجِدُ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ الْيُمْنَى، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ الأَكْبَرِ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ‏.‏ **وَأَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي إِلَى الْعِرْقِ الَّذِي عِنْدَ مُنْصَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَذَلِكَ الْعِرْقُ انْتِهَاءُ طَرَفِهِ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ، دُونَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُنْصَرَفِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ‏.‏ وَقَدِ ابْتُنِيَ ثَمَّ مَسْجِدٌ، فَلَمْ يَكُنْ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ، كَانَ يَتْرُكُهُ عَنْ يَسَارِهِ وَوَرَاءَهُ، وَيُصَلِّي أَمَامَهُ إِلَى الْعِرْقِ نَفْسِهِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الرَّوْحَاءِ، فَلاَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حَتَّى يَأْتِيَ ذَلِكَ الْمَكَانَ فَيُصَلِّي فِيهِ الظُّهْرَ، وَإِذَا أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ فَإِنْ مَرَّ بِهِ قَبْلَ الصُّبْحِ بِسَاعَةٍ أَوْ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ عَرَّسَ حَتَّى يُصَلِّيَ بِهَا الصُّبْحَ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ تَحْتَ سَرْحَةٍ ضَخْمَةٍ دُونَ الرُّوَيْثَةِ عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، وَوِجَاهَ الطَّرِيقِ فِي مَكَانٍ بَطْحٍ سَهْلٍ، حَتَّى يُفْضِيَ مِنْ أَكَمَةٍ دُوَيْنَ بَرِيدِ الرُّوَيْثَةِ بِمِيلَيْنِ، وَقَدِ انْكَسَرَ أَعْلاَهَا، فَانْثَنَى فِي جَوْفِهَا، وَهِيَ قَائِمَةٌ عَلَى سَاقٍ، وَفِي سَاقِهَا كُثُبٌ كَثِيرَةٌ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي طَرَفِ تَلْعَةٍ مِنْ وَرَاءِ الْعَرْجِ وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى هَضْبَةٍ عِنْدَ ذَلِكَ الْمَسْجِدِ قَبْرَانِ أَوْ ثَلاَثَةٌ، عَلَى الْقُبُورِ رَضْمٌ مِنْ حِجَارَةٍ عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، عِنْدَ سَلِمَاتِ الطَّرِيقِ، بَيْنَ أُولَئِكَ السَّلِمَاتِ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الْعَرْجِ بَعْدَ أَنْ تَمِيلَ الشَّمْسُ بِالْهَاجِرَةِ، فَيُصَلِّي الظُّهْرَ فِي ذَلِكَ الْمَسْجِدِ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عِنْدَ سَرَحَاتٍ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، فِي مَسِيلٍ دُونَ هَرْشَى، ذَلِكَ الْمَسِيلُ لاَصِقٌ بِكُرَاعِ هَرْشَى، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ قَرِيبٌ مِنْ غَلْوَةٍ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي إِلَى سَرْحَةٍ، هِيَ أَقْرَبُ السَّرَحَاتِ إِلَى الطَّرِيقِ وَهْىَ أَطْوَلُهُنَّ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ فِي الْمَسِيلِ الَّذِي فِي أَدْنَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، قِبَلَ الْمَدِينَةِ حِينَ يَهْبِطُ مِنَ الصَّفْرَاوَاتِ يَنْزِلُ فِي بَطْنِ ذَلِكَ الْمَسِيلِ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، لَيْسَ بَيْنَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الطَّرِيقِ إِلاَّ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْزِلُ بِذِي طُوًى وَيَبِيتُ حَتَّى يُصْبِحَ، يُصَلِّي الصُّبْحَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، لَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ، وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ‏.‏ **وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَىِ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ نَحْوَ الْكَعْبَةِ، فَجَعَلَ الْمَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ يَسَارَ الْمَسْجِدِ بِطَرَفِ الأَكَمَةِ، وَمُصَلَّى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ، تَدَعُ مِنَ الأَكَمَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا، ثُمَّ تُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الْفُرْضَتَيْنِ مِنَ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ‏.

حدثنا ابراهيم بن المنذر، قال حدثنا انس بن عياض، قال حدثنا موسى بن عقبة، عن نافع، ان عبد الله، اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينزل بذي الحليفة حين يعتمر، وفي حجته حين حج، تحت سمرة في موضع المسجد الذي بذي الحليفة، وكان اذا رجع من غزو كان في تلك الطريق او حج او عمرة هبط من بطن واد، فاذا ظهر من بطن واد اناخ بالبطحاء التي على شفير الوادي الشرقية، فعرس ثم حتى يصبح، ليس عند المسجد الذي بحجارة، ولا على الاكمة التي عليها المسجد، كان ثم خليج يصلي عبد الله عنده، في بطنه كثب كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم يصلي، فدحا السيل فيه بالبطحاء حتى دفن ذلك المكان الذي كان عبد الله يصلي فيه‏.‏ **وان عبد الله بن عمر حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى حيث المسجد الصغير الذي دون المسجد الذي بشرف الروحاء، وقد كان عبد الله يعلم المكان الذي كان صلى فيه النبي صلى الله عليه وسلم يقول ثم عن يمينك حين تقوم في المسجد تصلي، وذلك المسجد على حافة الطريق اليمنى، وانت ذاهب الى مكة، بينه وبين المسجد الاكبر رمية بحجر او نحو ذلك‏.‏ **وان ابن عمر كان يصلي الى العرق الذي عند منصرف الروحاء، وذلك العرق انتهاء طرفه على حافة الطريق، دون المسجد الذي بينه وبين المنصرف، وانت ذاهب الى مكة‏.‏ وقد ابتني ثم مسجد، فلم يكن عبد الله يصلي في ذلك المسجد، كان يتركه عن يساره ووراءه، ويصلي امامه الى العرق نفسه، وكان عبد الله يروح من الروحاء، فلا يصلي الظهر حتى ياتي ذلك المكان فيصلي فيه الظهر، واذا اقبل من مكة فان مر به قبل الصبح بساعة او من اخر السحر عرس حتى يصلي بها الصبح‏.‏ **وان عبد الله حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم كان ينزل تحت سرحة ضخمة دون الرويثة عن يمين الطريق، ووجاه الطريق في مكان بطح سهل، حتى يفضي من اكمة دوين بريد الرويثة بميلين، وقد انكسر اعلاها، فانثنى في جوفها، وهي قاىمة على ساق، وفي ساقها كثب كثيرة‏.‏ **وان عبد الله بن عمر حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى في طرف تلعة من وراء العرج وانت ذاهب الى هضبة عند ذلك المسجد قبران او ثلاثة، على القبور رضم من حجارة عن يمين الطريق، عند سلمات الطريق، بين اولىك السلمات كان عبد الله يروح من العرج بعد ان تميل الشمس بالهاجرة، فيصلي الظهر في ذلك المسجد‏.‏ **وان عبد الله بن عمر حدثه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نزل عند سرحات عن يسار الطريق، في مسيل دون هرشى، ذلك المسيل لاصق بكراع هرشى، بينه وبين الطريق قريب من غلوة، وكان عبد الله يصلي الى سرحة، هي اقرب السرحات الى الطريق وهى اطولهن‏.‏ **وان عبد الله بن عمر حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم كان ينزل في المسيل الذي في ادنى مر الظهران، قبل المدينة حين يهبط من الصفراوات ينزل في بطن ذلك المسيل عن يسار الطريق، وانت ذاهب الى مكة، ليس بين منزل رسول الله صلى الله عليه وسلم وبين الطريق الا رمية بحجر‏.‏ **وان عبد الله بن عمر حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم كان ينزل بذي طوى ويبيت حتى يصبح، يصلي الصبح حين يقدم مكة، ومصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ذلك على اكمة غليظة، ليس في المسجد الذي بني ثم، ولكن اسفل من ذلك على اكمة غليظة‏.‏ **وان عبد الله حدثه ان النبي صلى الله عليه وسلم استقبل فرضتى الجبل الذي بينه وبين الجبل الطويل نحو الكعبة، فجعل المسجد الذي بني ثم يسار المسجد بطرف الاكمة، ومصلى النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اسفل منه على الاكمة السوداء، تدع من الاكمة عشرة اذرع او نحوها، ثم تصلي مستقبل الفرضتين من الجبل الذي بينك وبين الكعبة‏.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সালাত (كتاب الصلاة) 8/ Prayers (Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে