পরিচ্ছেদঃ ২২৯২. রোগীর মুখের ভিতর ঔষধ ঢেলে দেয়া

৫৩০৩। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃতদেহ মুবারকে চুমু নিয়েছেন। বর্ননাকারী বলেন আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুখের সময় আমরা তার মুখে ঔষধ ঢেলে দিলাম। তখন তিনি আমাদের ইশারা দিতে থাকলেন যে, তোমরা আমার মুখে ঔষধ ঢেল না। আমরা মনে করলাম এটা ঔষধের প্রতি একজন রোগীর অরুচির প্রকাশ মাত্র এরপর তিনি যখন সুস্থবোধ করলেন তখন বললেনঃ আমি কি তোমাদের আমার মুখে ঔষধ ঢেলে দিতে নিষেধ করিনি? আমরা বললামঃ আমরাতো ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারণ অনীহা মনে করেছিলাম। তখন তিনি বললেন আমি এখন যাদের এ ঘরে দেখতে পাচ্ছি তাদের সকলের মুখেই ঔষুধ ঢালা হবে। আব্বাস (রাঃ) ছাড়া কেউ বাদ যাবে না। কেননা, তিনি তোমাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন না।

(হাদিস ৫৭০৯, ৫৭১০, ৫৭১১ ও ৫৭১২)

باب اللَّدُودِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَبَّلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مَيِّتٌ‏.‏ قَالَ وَقَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَاهُ فِي مَرَضِهِ، فَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا، أَنْ لاَ تَلُدُّونِي‏.‏ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ‏.‏ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي ‏"‏‏.‏ قُلْنَا كَرَاهِيَةَ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لاَ يَبْقَى فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ إِلاَّ لُدَّ ـ وَأَنَا أَنْظُرُ ـ إِلاَّ الْعَبَّاسَ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ ‏"‏‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا سفيان، قال حدثني موسى بن ابي عاىشة، عن عبيد الله بن عبد الله، عن ابن عباس، وعاىشة، ان ابا بكر ـ رضى الله عنه ـ قبل النبي صلى الله عليه وسلم وهو ميت‏.‏ قال وقالت عاىشة لددناه في مرضه، فجعل يشير الينا، ان لا تلدوني‏.‏ فقلنا كراهية المريض للدواء‏.‏ فلما افاق قال ‏"‏ الم انهكم ان تلدوني ‏"‏‏.‏ قلنا كراهية المريض للدواء‏.‏ فقال ‏"‏ لا يبقى في البيت احد الا لد ـ وانا انظر ـ الا العباس فانه لم يشهدكم ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Abbas and `Aisha:

Abu Bakr kissed (the forehead of) the Prophet (ﷺ) when he was dead. `Aisha added: We put medicine in one side of his mouth but he started waving us not to insert the medicine into his mouth. We said, "He dislikes the medicine as a patient usually does." But when he came to his senses he said, "Did I not forbid you to put medicine (by force) in the side of my mouth?" We said, "We thought it was just because a patient usually dislikes medicine." He said, "None of those who are in the house but will be forced to take medicine in the side of his mouth while I am watching, except Al-`Abbas, for he had not witnessed your deed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬৩/ চিকিৎসা (كتاب الطب) 63/ Medicine

পরিচ্ছেদঃ ২২৯২. রোগীর মুখের ভিতর ঔষধ ঢেলে দেয়া

৫৩০৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... উম্মে কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম। ছেলেটির আলাজিহ্বা ফোলার কারণে আমি তা দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ এ ধরনের রোগ-ব্যাধি দমনে তোমরা নিজেদের সন্তানদের কেন কষ্ট দিয়ে থাক? তোমরা ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা তাতে সাত রকমের নিরাময় বিদ্যমান। তন্মধ্যে আছে পাজরের ব্যাথা। আলাজিহ্বা ফোলার কারণে এটির ধোয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। পাজরের ব্যখার রোগীকে তা সেবন করান যায়।

সুফিয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আমাদের কাছে দুটির কথা বর্ণনা করেছেন। আর পাঁচটির কথা বর্ণনা করেননি। বর্ননাকারী আলী বলেনঃ আমি সুফিয়ানকে বললাম মা’মার স্মরণ রাখতে পারেন নি। তিনি বলেছেন علقت عَلَيْهِ আর যুহরী তো বলেছেন أَعْلَقْتُ عَنْهُ শব্দ দ্বারা। আমি তার মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করেছি। আর সুফিয়ানের রেওয়াতে তিনি ছেলেটির অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, আঙ্গুলের সাহায্যে যার তালু দাবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান নিজের তালুতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন অর্থাৎ তিনি তাঁর আঙ্গুলের দ্বারা তালুকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তুأَعْلِقُوا عَنْهُ شَيْئًا‏ এভাবে কেউ বর্ণনা করেন নি।

باب اللَّدُودِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ، قَالَتْ دَخَلْتُ بِابْنٍ لِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ مِنَ الْعُذْرَةِ فَقَالَ ‏ "‏ عَلَى مَا تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهَذَا الْعِلاَقِ عَلَيْكُنَّ بِهَذَا الْعُودِ الْهِنْدِيِّ، فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ، مِنْهَا ذَاتُ الْجَنْبِ يُسْعَطُ مِنَ الْعُذْرَةِ، وَيُلَدُّ مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ ‏"‏‏.‏ فَسَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ بَيَّنَ لَنَا اثْنَيْنِ وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا خَمْسَةً‏.‏ قُلْتُ لِسُفْيَانَ فَإِنَّ مَعْمَرًا يَقُولُ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ‏.‏ قَالَ لَمْ يَحْفَظْ أَعْلَقْتُ عَنْهُ، حَفِظْتُهُ مِنْ فِي الزُّهْرِيِّ‏.‏ وَوَصَفَ سُفْيَانُ الْغُلاَمَ يُحَنَّكُ بِالإِصْبَعِ وَأَدْخَلَ سُفْيَانُ فِي حَنَكِهِ، إِنَّمَا يَعْنِي رَفْعَ حَنَكِهِ بِإِصْبَعِهِ، وَلَمْ يَقُلْ أَعْلِقُوا عَنْهُ شَيْئًا‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، عن الزهري، اخبرني عبيد الله، عن ام قيس، قالت دخلت بابن لي على رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد اعلقت عليه من العذرة فقال ‏ "‏ على ما تدغرن اولادكن بهذا العلاق عليكن بهذا العود الهندي، فان فيه سبعة اشفية، منها ذات الجنب يسعط من العذرة، ويلد من ذات الجنب ‏"‏‏.‏ فسمعت الزهري يقول بين لنا اثنين ولم يبين لنا خمسة‏.‏ قلت لسفيان فان معمرا يقول اعلقت عليه‏.‏ قال لم يحفظ اعلقت عنه، حفظته من في الزهري‏.‏ ووصف سفيان الغلام يحنك بالاصبع وادخل سفيان في حنكه، انما يعني رفع حنكه باصبعه، ولم يقل اعلقوا عنه شيىا‏.‏


Narrated Um Qais:

I went to Allah's Messenger (ﷺ) along with a a son of mine whose palate and tonsils I had pressed with my finger as a treatment for a (throat and tonsil) disease. The Prophet (ﷺ) said, "Why do you pain your children by pressing their throats! Use Ud Al-Hindi (certain Indian incense) for it cures seven diseases, one of which is pleurisy. It is used as a snuff for treating throat and tonsil disease and it is inserted into one side of the mouth of one suffering from pleurisy."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬৩/ চিকিৎসা (كتاب الطب) 63/ Medicine
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে